নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ২৬ মার্চ, ২০২০
বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন সেলিনা ইসলাম। তারা বলেছেন, কোনো রাজনীতি নয়, বেগম জিয়ার চিকিৎসাই এখন প্রধান বিষয়। রাজনীতি নিয়ে ভাবার মতো অবস্থা তার নেই। গতকাল বুধবার ফিরোজায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে শামীম ইস্কান্দার এবং সেলিনা ইসলাম তাদের এই কথা বলে বিদায় দেন।
শামীম ইস্কান্দার এবং সেলিনা ইসলাম বিএনপি নেতাদের বলেন যে, রাজনীতি এখন খালেদা জিয়ার বিষয় নয়। তিনি এখন কোনো রাজনৈতিক তৎপরতায় নিজেকে জড়াবেন না।
শামীম ইস্কান্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র চিকিৎসা করার জন্য। কাজেই আমরা চিকিৎসার বিষয়েই মনোযোগ দিচ্ছি। তিনি শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ।
শামীম ইস্কান্দার আরও বলেন, বেগম জিয়া যেন করোনায় আক্রান্ত না হন, আমরা প্রথমে সেই বিষয়টিতে খেয়াল রাখছি। তারপর পর্যায়ক্রমে তার অন্যান্য চিকিৎসা করা হবে।
তবে বেগম জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে শামীম ইস্কান্দার জানান, এখন বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে তারা দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ভাবছেন না। তাদের মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর বিএনপি নেতৃবৃন্দ কয়েক দফা তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরিবারের বেষ্টনী বলয় পেরিয়ে তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না বলেই জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।