নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২০
বাংলাদেশে যেটা আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটাই হচ্ছে, গত কয়েকদিনে করোনা রোগী শনাক্তের হার জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। যদি পরীক্ষার হার তেমন বাড়েনি। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইভাবে বাড়তে থাকলে মহামারিতে প্রবেশ করতে বেশি সময় লাগবে না। আর বাংলাদেশের এই জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়, যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে যে এটা একটা বৈশ্বিক বিপর্যয় তাই কেউ দায়ী নয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ মনে করছে, আমাদের সামনে একটা বিরাট সুযোগ ছিল। কারণ বাংলাদেশে করোনার বিপর্যয় শুরু হয়েছে অনেক দেরিতে, এই সুযোগটি আমরা কাজে লাগাতে পারেনি। যেকোন সমস্যা সমাধানের আগে ক্ষত চিহ্নিত করতে হয়, কার কতটুকু ব্যর্থতা সেটা নির্ণয় করতে হয় এবং সেই ব্যর্থতার ক্ষতগুলোকে নিরাময় করেই সামনে এগোতে হয়। কাজেই বাংলাদেশে করোনার মোকাবেলার ক্ষেত্রে এবং মহামারি ঠেকানোর ক্ষেত্রে কার কোথায় ব্যর্থতা তা নির্ণয় করতে হবে নির্মোহভাবে। কাউকে ছোট করার জন্য নয় বা কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নয়, বরং করোনা মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্যই ব্যর্থতাগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। আসুন আমরা সেই ব্যর্থতাগুলো দেখে নেই-
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলার অনেক সুযোগ ছিল। যখন চীনের উহানে করোনা শনাক্ত হয়েছে, তখন থেকেই বাংলাদেশ জানতো যে, বাংলাদেশে এই করোনা সংক্রমণ হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা যদি জানুয়ারি মাস থেকেও প্রস্তুতি গ্রহণ করতাম, তাহলে আমাদের এই সঙ্কটগুলো তৈরি হতোনা। যখন ৮ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা বাংলাদেশে শনাক্ত হলো, তখন দেখা গেল যে আমাদের চিকিৎসকদের জন্য পিপিই নেই, পর্যাপ্ত আইসিইউ নেই, বিশেষায়িত যে হাসপাতালগুলোর কথা বলা হয়েছে সেগুলো প্রস্তুত নয়। এমনকি রক্ত পরীক্ষার কিটসহ বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের স্বল্পতা রয়েছে। কাজেই আমরা যতই আন্তরিক থাকি না কেন, আমরা যদি চেকলিস্ট তৈরি না করি এবং আমাদের করণীয় কি সেটা বের না করি আর অন্যান্য দেশকে দেখে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে না পারি- তাহলে সেই ব্যর্থতার দায় আমাদেরকে নিতেই হবে। কাজেই এক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের সূচনা হয় ইউরোপ থেকে আসা প্রবাসীদের মাধ্যমে। যখন ইতালিসহ ইউরোপে করোনা ছড়িয়ে পড়ে, তখন ঐসব দেশের অভিবাসীরা বাংলাদেশে ফেরা শুরু করে। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় যদি ঐ দেশগুলোতে অবস্থারত দূতাবাসকে কঠোর নির্দেশনা দিতো এবং যারা দেশে আসতো তাঁদেরকে আগেই বলা হতো যে দেশে আসলে তাঁদের বাধ্যতামূলোক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং তালিকা তৈরি করে সেই তালিকা বাংলাদেশ বিমানবন্দর বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দিত তাহলে তাঁদের চিহ্নিত করা এবং কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা সহজ হতো। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা জানতোই না যে আমাদের দেশে কতজন অভিবাসী এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দূতাবাসগুলোর কর্মদক্ষতা এবং দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি, এবার সেটার প্রমাণ আমরা হাড়ে হাড়ে পেয়েছি। কাজেই এই ব্যর্থতার দায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এড়াতে পারবেন না।
বাণিজ্য মন্ত্রী
অনেকে মনে করেন যে, করোনায় বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, তাঁর মূল অঘটনটি ঘটিয়েছেন আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী। কারণ তিনি তাঁর স্বার্থের উর্ধ্বে থেকে গার্মেন্টসগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। বরং নিজে গার্মেন্টসের মালিক হওয়াতে তিনি গার্মেন্টস খোলার মতো একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সেই সিদ্ধান্তের মাশুল বাংলাদেশকে দিতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়াও শুরু থেকেই যখন সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো- তখন যারা এই সিদ্ধান্তের সাথে রাজি ছিলেন না তাঁদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রীও একজন বলে জানা গেছে। আর এই কারণে ব্যর্থতার দায় অবশ্যই বাণিজ্য মন্ত্রীকেও নিতে হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
যখন প্রধানমন্ত্রী নিজে বললেন যে মসজিদগুলোতে আপাতত না যাওয়ার জন্য, জুম্মার নামাযসহ সকল নামায বাড়িতে পড়ার জন্য, যখন আমরা দেখলাম যে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন ইসলামিক দেশগুলো মসজিদ বন্ধ করে দিল, তখন বাংলাদেশে মসজিদগুলো খোলা ছিল দীর্ঘদিন। ২৬শে মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরেও মসজিদগুলোতে মুসল্লী সীমিতিকরণের কোন উদ্যোগ নিতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের একটা বড় ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে এই মসজিদগুলো থেকে। কারণ করোনা ভাইরাস খুব সহজেই সংক্রমিত হয় গণজমায়েতপূর্ণ স্থানগুলোতে এবং তাই বারবার বলার পরেও মসজিদগুলো বন্ধ না করতে পারার ব্যর্থতা অবশ্যই নিতে হবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে।
দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
যখন বিদেশ থেকে লোকজন আসে, তাঁদেরকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে রাখার দায়িত্ব ছিল দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের এবং দূর্যোগ মন্ত্রণালয় এই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেনি। যখন ইতালি ফেরতরা অভিযোগ করেছিল যে, সেখানে নূন্যতম থাকারা অবস্থা নেই, খাবার, পানি বা বিছানার চাদর নেই তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে যে এটা দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল এবং দূর্যোগ মন্ত্রণালয় এটা করতে পারেনি। দ্বিতীয় ব্যর্থতা হলো যে, যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো, সারাদেশের যত নিম্ন আয়ের মানুষ এবং দিনমজুর রয়েছে তাঁদের মাঝে যে যেভাবে পারে খাদ্য বিতরণ করা শুরু করলো এবং তাতে দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিলনা। ফলে আবার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়লো এবং বিভিন্ন স্থানে মানুষ জড়ো হওয়া শুরু করলো। একারণে আমরা বলতে পারি যে এখানে দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সমন্বহীনতা ছিল এবং দূর্যোগ মন্ত্রণালয় নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
আমরা কাউকে দোষী প্রমাণিত করতে চাই না কিংবা কাউকে ব্যর্থ বলে বাতিলও করতে চাচ্ছি না। কিন্তু এই ব্যর্থতাগুলো আমাদের শেখাবে এবং করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে আমরা জন্য সকলেই সমন্বিতভাবে কাজ করি, সেজন্য এই ক্ষতগুলো চিহ্নিত করতে করা হলো।
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আওয়ামী লীগ বিজেপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
বহিষ্কারাদেশ বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
গতকাল ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বৈঠক ঘিরে সারাদেশের আগ্রহ ছিল। উপজেলা নির্বাচনে যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে, যারা দলের নির্দেশনা মানেনি- তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে ব্যাপারে সকলের আগ্রহ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনার কথা বললে উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি উঠেনি। কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কেবলমাত্র দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিভিন্ন কর্মসূচী এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে যে, উপজেলা নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছে, যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কথা হচ্ছিল। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাও বলছিলেন যে, যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি হল না কেন? এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন নেতার কাছেই তেমন কোন উত্তর নেই। বরং আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভবত চাননি বিষয়টি এই কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচিত হোক।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, কৌশলগত কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এই প্রসঙ্গটি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উত্থাপন করেননি এবং এই কৌশলগত অবস্থানের ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিভিন্ন রকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
প্রথমত, অনেকে মনে করছেন আওয়ামী লীগ আসলে দেখতে চাচ্ছে যে উপজেলা নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হয়। যারা আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তারা উপজেলা নির্বাচনে কী ধরনের ফলাফল করে। এই ব্যাপারে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় এবং সুযোগ আছে। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা যদি এমনিতেই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে সেটিই হবে তাদের একধরনের শাস্তি। আর যদি তারা জয়ী হন তবে তাদেরকে অন্যভাবে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা যাবে। এ কারণে এটি একটি কৌশলগত অবস্থান বলে অনেকে মনে করেন।
উপজেলা নির্বাচনের আগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নির্বাচনের উপর তার প্রভাব পড়বে। উপজেলা নির্বাচনে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এরকম একটি উপলব্ধি থেকেই হয়তো উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেই উপজেলা নির্বাচনের যে প্রচারণা, সে প্রচারণাই ভাটা পড়তে পারে।
দ্বিতীয়ত, সারাদেশ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ। উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। যদিও দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের তথ্যের উপর আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্ভরশীল নন। তিনি নিজস্ব উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানা গেছে এবং এই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পরপরই হয়তো তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।
তৃতীয়ত, দলের দুর্বলতা প্রকাশ না করা। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা, বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিরা যেভাবে সিদ্ধান্ত লঙ্ঘণ করেছে সেটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এই মুহূর্তে যদি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের দুর্বলতাই প্রকাশ পাবে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা, দলের মন্ত্রী-এমপিরা যদি দলের সিদ্ধান্ত না মানেন তাহলে তৃণমূলে তার প্রভাব পড়বে এবং এক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দলের ভেতর একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এসব বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী হয়তো উপজেলা নির্বাচনে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি
মন্তব্য করুন
প্রথম দফায় প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল ছিল দ্বিতীয় দফায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দ্বিতীয় দফায় ১৫৯ টি উপজেলায় ২১ মে নির্বাচন হওয়ার কথা। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন দেখা গেছে, যে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তারা দলের নির্দেশ মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
গতকাল ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বৈঠক ঘিরে সারাদেশের আগ্রহ ছিল। উপজেলা নির্বাচনে যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে, যারা দলের নির্দেশনা মানেনি- তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে ব্যাপারে সকলের আগ্রহ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনার কথা বললে উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি উঠেনি। কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কেবলমাত্র দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিভিন্ন কর্মসূচী এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।