নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আগামী রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করবেন। এর মাধ্যমেই মূলতঃ শেষ হয়ে যাবে রীভার বাংলাদেশে কূটনীতিক মিশন। ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রীভা গাঙ্গুলী। একজন রাষ্ট্রদূত সাধারণত তিন বছর মেয়াদের জন্য দায়িত্ব নেন। কিন্তু অর্ধেক সময় পরপরই রীভাকে ফেরত নেয়া হচ্ছে।
নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর নাম ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। কূটনৈতিক ব্যাকরণ অনুযায়ী এই পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন নয়। বরং এটি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বাঁক পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী। পরিবর্তিত মিশনে এবং নতুন বার্তা নিয়েই দোরাইস্বামী বাংলাদেশে আসছেন। কূটনীতিক মহল বলছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকতো, সেক্ষেত্রে রীভাকে পরিবর্তন করা হতো না।
ভারতীয় বিভিন্ন সূত্র বলছে, হর্ষবর্ধন শ্রিংলা যেভাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, রীভা গাঙ্গুলি সেটা পারেননি। আর এক্ষেত্রে নতুন কৌশল এবং বার্তা নিয়েই যে দোরাইস্বামী আসছেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। বাংলাদেশে ভারতের মূল লক্ষ্য তিনটিঃ
১। বাংলাদেশের মাটি ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য ব্যবহৃত হবে না।
২। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক সীমা অতিক্রম করবে না।
৩। বাংলাদেশে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত অগ্রাধিকার পাবে।
ভারতের কূটনীতিকরা মনে করেন, প্রথমটির জন্য কোন রাষ্ট্রদূতের প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অনঢ়, দৃঢ়। এটাই হলো ভারতের প্রধান আস্থার জায়গা।
অন্য দুটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতদের অনেক কিছুই করণীয় আছে, যা শ্রিংলা করেছেন। কিন্তু রীভা করতে পারেননি। বাংলাদেশে একাধিক বড় টেন্ডার ভারতের হাতছাড়া হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চীন নির্ভরতা বেড়েছে। এ কারণেই দোরাইস্বামী এই দুই লক্ষ্য পূরণের মিশনে বাংলাদেশ আসছে।
দোরাই স্বামী যুগ্ম সচিব থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও মিয়ানমার ডেস্ক দেখতেন। তাই বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে, চীনকে দুরে রাখার কৌশল হিসেবে ভারত নতুন কোন কৌশল করেছে কিনা- তা বোঝা যাবে দোরাই স্বামী এলে। তবে, বাংলাদেশকে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চাপ দিয়ে যে কিছু আদায় করা যায় না। এটা ভারতের সাউথ ব্লকের অজানা নয়।
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।