ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার যে সিদ্ধান্তের জন্য তাকিয়ে সবাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। যে কোন অন্যায় এবং অবিচার হলেই সবাই তাকিয়ে থাকে তার দিকে। যে কোন সংকটে মানুষ অপেক্ষা করে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের জন্য। দুর্যোগে ভরসা যেন শেখ হাসিনাই। রাষ্ট্র এবং দল পরিচালনা করছেন তিনি নিপুণ দক্ষতায়। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জনগণ শেখ হাসিনার কিছু সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে। শেখ হাসিনা কিভাবে এই সিদ্ধান্ত নেন, তা দেখার অপেক্ষায় গোটা দেশ। এ রকম কিছু বিষয় হলো:-

১। মন্ত্রীসভার রদবদল
দীর্ঘদিন ধরেই মন্ত্রীসভার রদবদল নিয়ে কথা হচ্ছে। বিশেষ করে করোনা সংকটের পর অনেক মন্ত্রীর কর্মকাণ্ডেই সাধারণ মানুষ হতাশ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেতরও মন্ত্রীসভার রদবদল নিয়ে গুঞ্জন আলাপ-আলোচনা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেপ্টেম্বরেই মন্ত্রীসভা রদবদল হতে পারে এমন ধারণা ছিলো অনেকের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ধারণা সত্যি পরিণত হয়নি। অক্টোবরে কি মন্ত্রীসভার রদবদল হবে? এই প্রশ্ন অনেকের।

২। আওয়ামী লীগের কমিটি
দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি বেশ কিছুদিন ধরেই দলটিকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন। সে লক্ষ্যে নানা নির্দেশনাও দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গুলো করা প্রয়োজন, এর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এই কমিটি গঠনের কথা ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। অক্টোবরে কি এই কমিটি গুলো হবে? এই প্রশ্ন অনেকের।

৩। জেলায় জেলায় শুদ্ধি অভিযান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ফরিদপুরে শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হয়। শহর আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রভাবশালী নেতাদের আইনের আওতায় আনা হয়। একই ধারায় কুষ্টিয়াতেও শুদ্ধি অভিযানে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আটক হন। এই ধারায় কি সারাদেশে শুদ্ধি অভিযান হবে? এই প্রশ্ন জনগণের। এই শুদ্ধি অভিযান স্থানীয় জনগণকে স্বস্তি দেয়।

৪। দুর্নীতি বিরোধি অভিযানে কি ধরা পরবে রাগব বোয়ালরা
টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেই শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। একের পর এক দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে। বিশেষ করে করোনা কালে স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি বন্ধে তিনি কঠোর অবস্থানে যান। কিন্তু এই সব দুর্নীতিবাজদের ধরা হলেও এদের নেপথ্যে গডফাদার’রা প্রভাবশালী বড় কর্তারা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এরা আইনের আওতায় আসবে কবে? এ প্রশ্ন মানুষের।

এ রকম আরো কিছু সিদ্ধান্ত জানার জন্য দেশবাসী তাকিয়ে শেখ হাসিনার দিকে।

 
 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পৌরসভা-ইউপিসহ শত পদে চলছে ভোট

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ১০০ পদে সাধারণ ও শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, স্থানীয় সরকারের ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ ছাড়া দুইটি পৌরসভায় মেয়র ও দুইটি জেলা পরিষদে কাউন্সিলর এবং ৬৫টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্যপদে উপনির্বাচন হচ্ছে। এ ছাড়া সাতটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে।

এর মধ্যে নীলফামারীর জলঢাকা ও রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচন হচ্ছে। পাশাপাশি সাত পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের শূন্যপদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে– ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, খুলনার চালনার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, গাইবান্ধা পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নওগাঁ পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নোয়াখালীর কবিরহাটের ২ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর, টাঙ্গাইলের কালীহাতির ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার ৮ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

যে ১৯ ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে– লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়া; পটুয়াখালীর কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলী; সাতক্ষীরার আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ ও পোকখালী।

গত ২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে ইসি। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে।



উপজেলা নির্বাচন   জেলা পরিষদ   পৌরসভা   ইউনিয়ন পরিষদ   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় গণ প্রতিরোধের মুখে মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন এবং নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন এবং তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে তাদের মাই ম্যানদেরকে জয়ী করার জন্য চেষ্টাও চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর এড়ায়নি প্রসঙ্গটি। আর এ কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে এ ব্যাপারে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব সতর্কবার্তা সত্ত্বেও মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের আধিপত্য বজায় রাখা এবং নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য মাই ম্যানদের প্রার্থী করেছেন। কেউ আত্মীয় স্বজনকে, কেউ নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন। আর এই প্রার্থী করার ফলে এলাকার মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অসন্তোষ, ক্ষোভ এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া।

আর আওয়ামী লীগ দলগতভাবে যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন নির্দেশনা দিয়েছেন যে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না, তখন মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের বিরুদ্ধে একটি গণ প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে উপজেলার নির্বাচনগুলোতে।

একাধিক উপজেলায় দেখা গেছে, মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ একাট্টা হয়েছে এবং স্থানীয় তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে তারা কাজ শুরু করেছেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় তাদের নিজেদের প্রার্থী দিয়েছেন তারা এখন নিজস্ব বলয়ের বাইরে মূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাচ্ছেন না।

অবশ্য কোন কোন উপজেলায় আগেই প্রভাব বিস্তার শেষ করে ফেলেছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রার্থীরা। তারা কোথাও কোথাও একক প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। কোথাও কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করার জন্য চেষ্টা করছেন। কিন্তু যে সমস্ত এলাকায় এটা সম্ভব হয়নি, যে সমস্ত এলাকায় তৃণমূল শক্তিশালী সেই সমস্ত এলাকাগুলোতে আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে পড়ছেন উপজেলার প্রার্থীরা। ফলে শেষ পর্যন্ত যদি উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরপেক্ষ থাকে তাহলে বেশিরভাগ উপজেলায় মন্ত্রী-এমপিদের মাই ম্যানদের ভরাডুবি ঘটবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন উপজেলায় যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতি মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন, কাজেই মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটা হল একেবারেই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন এবং এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা নেতাকর্মীদের দায়িত্ব।

আর এ কারণেই নেতাকর্মীরা এখন মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন এবং তারা তাদের বিকল্প প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এর ফলে উপজেলা নির্বাচন একটি নতুন মাত্রা এবং প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করেছে।


উপজেলা নির্বাচন   গণ প্রতিরোধ   মন্ত্রী-এমপি   মাই ম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এবার বেকায়দায় আলাল

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবার বেকায়দায় পড়েছেন। ডিবিসি চ্যানেলের রাজকাহন অনুষ্ঠানে একটি বক্তব্য দিয়ে বিএনপির নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। আর তোপের মুখে পড়ে যথারীতি ইউটার্ন নিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি এটি বলেননি।

কিন্তু সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ভুলে গেছেন যে, ডিবিসির রাজকাহনে প্রচারিত তার বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে। সেখানে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যা বলেছেন সেটি প্রচারিত হচ্ছে। সেটি বিকৃত করার কোন সুযোগ নেই। তিনি কোন সাক্ষাৎকার দেননি বা তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিকের কাছে মৌখিকভাবে এ বক্তব্য দেননি। তিনি দিয়েছেন সরাসরি টেলিভিশনে এবং এটি লাইভ প্রচারিত হয়েছে। শুধুমাত্র লাইভ প্রচারিতই নয়, বরং এই বক্তব্য এখন ইউটিউবে ভাসছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রাজকাহনে কী বলেছেন তা একটু দেখে নেওয়া যাক। তিনি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কি না সে বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। তিনি জানান, প্রয়োজনে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে। যারা তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নেবে।

আলালের এই বক্তব্য বিএনপির মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিএনপির লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এই বক্তব্য সম্পর্কে আলালের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন বলেও জানা যায়। এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জানতে চান যে, কেন আলাল এই ধরনের কথা বললেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন যে, বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক জিয়ার বিকল্পের কোন ভাবনা নেই এবং এ ধরনের কোন আলোচনাও হয়নি। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে তারেক জিয়া যথেষ্ট যোগ্যতা এবং পরিপক্কতার সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের বাইরে বিএনপিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন না গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এই বক্তব্য যখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তখন আলাল তোপের মুখে পড়েছেন। আলালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও দলের ভিতর তিনি ব্যাপক তিরস্কার এবং ভর্ৎসনার মুখোমুখি পড়ছেন।

এরকম পরিস্থিতিতে অন্যান্য রাজনীতিবিদরা যা করেন, আলাল সেই একই কাণ্ড করেছেন। তিনি তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে এরকম বক্তব্য তিনি দেননি। তার বক্তব্য, মিথ্যা এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল তার এক প্রতিবাদ বার্তায় বলেছেন। অথচ বক্তব্যটি এখনও ডিবিসিতে রাজকাহন অনুষ্ঠানে পাওয়া যাচ্ছে।

তাছাড়া বিএনপির নেতারাও এই বক্তব্যগুলো দেখেছেন। যে কারণে আলালের এই প্রতিবাদ বা তিনি এ ধরনের কথা বলেননি বলে যে মন্তব্য করছেন তা তারেক জিয়া বা অন্য নেতাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। এই বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ার কারণে বেকায়দায় পড়েছেন বিএনপির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সামনের দিনগুলোতে এখন বিএনপি আলালের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখার বিষয়।

উল্লেখ্য, এর আগে বিতর্কিত বক্তব্য রেখে বিএনপির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাই দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। যাদের মধ্যে শওকত মাহমুদ অন্যতম। আলালকেও সেই পরিণতি বরণ করতে হবে কী না সে নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।


বিএনপি   যুগ্ম মহাসচিব   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএন‌পির আন্দোলন সফল হ‌বে না তা আগেই বুঝেছিলাম: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর দ‌লের তৃণমূ‌লের নেতা‌দের মতামত উপেক্ষা করে কে‌ন নির্বাচ‌নে অংশ নি‌য়ে‌ছি‌লেন তা জানিয়েছেন জাতীয় পা‌র্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। দলটির কেন্দ্রীয় কমি‌টির সাম‌নে তিনি বলেছেনে, ‘বিএন‌পির আন্দোলন সফল হ‌বে না তা আগেই বুঝেছিলাম। তাই দলের অস্তিত্ব টি‌কি‌য়ে রাখ‌তে নির্বাচ‌নে অংশ নি‌য়ে‌ছিলাম। তবে ভোট ভালো হয়নি।’

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ব‌র্ধিত সভায় এসব কথা ব‌লেন তিনি।

গত বছ‌রের ১২ ন‌ভেম্বর ব‌র্ধিত সভায় জাপার নেতারা নির্বাচন বর্জনের প‌ক্ষে মতামত দেন। ত‌বে আওয়ামী লী‌গের কাছ থে‌কে ২৬ আস‌নে ছাড় পে‌য়ে নির্বাচ‌নে অংশ নেন জি এম কা‌দের।

নির্বাচ‌নের আগের প‌রি‌স্থি‌তি ব্যাখ্যা ক‌রে কেন্দ্রীয় ক‌মি‌টির সভায় বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।

নির্বাচনে অংশগ্রহ‌ণের প্রশ্নে নেতাকর্মীদের ম‌ধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল জা‌নি‌য়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কি না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি। আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি।

মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিলেন। আর বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে, এমন ইতিহাস বাংলা‌দে‌শে নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝ‌তে পে‌রে‌ছিলাম’।

বি‌রোধীদলীয় নেতা ব‌লেন, বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়, যা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না। এবং জাতীয় পার্টি গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি না।


জাতীয় পা‌র্টি   জাপা   জি এম কাদের   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মে দিবসে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (মে দিবস) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী ১ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, আগামী ১ মে শ্রমিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া দলের অন্যান্য নেতারাও এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে, গতকাল খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ঘোষণা করেছিল বিএনপি। কিন্তু তীব্র গরমের কারণে পরে সেই সমাবেশে স্থগিত করা হয়।


মে দিবস   নয়াপল্টন   সমাবেশ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন