নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০
শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে মির্মমভাবে নিহত হন। জাতির পিতার সঙ্গে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি। সেদিন তার স্ত্রী আরজু মনিকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। শেখ মনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবসময় দ্রোহ, তারুণ্য এবং ভিন্ন চিন্তার একজন মানুষ ছিলেন।
শেখ ফজলুল হক মনি সবসময় ব্যতিক্রমী একজন মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ছায়াতলে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করেও তিনি একটি ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ধারা লালন করতেন। শেখ মনির হাতে প্রতিষ্ঠিত পত্রিকায় সেটা প্রকাশিত হতো। যেমন, প্রতিটি বিপ্লবের পর একটি প্রতিবিপ্লব হবে, মোনায়েমের প্রশাসন দিয়ে মুজিবের সরকার চলবে না’ ইত্যাদি সামালোচনামূলক লেখা দিয়ে তিনি আলোচিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সরকারের সুস্থ সমালোচনা করা এবং একটি সমাজতান্ত্রিক ন্যায় বিচারের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর শেখ মনির যুবলীগই প্রথম বিদ্রোহ এবং প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছিলো বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে। কিন্তু তারপর মনির চিন্তা চেতনা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে খুব কমই সঞ্চালিত হয়েছিলো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আবার শেখ ফজলুল হক মনির রাজনীতি, তার চিন্তাধারা আওয়ামী যুবলীগে আবার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তার দুই পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশ এবং শেখ ফজলে নূর তাপস দুজনই এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যক্তি।
শেখ ফজলে শামস পরশ এখন যুবলীগের চেয়ারম্যান। শেখ মনির হাতে গড়া সংগঠনটি আবার মনির হাতেই ফিরে এসেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের প্রতিক হয়ে উঠেছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। তিন বারের এমপি এবং মেয়র হিসেবেও তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শেখ মনিকে যেমন আলাদা করে রাখা যায় তেমনি পরশ এবং তাপসকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আলাদা করে রাখা যায়। পরশ এবং তাপস মাধ্যমেই হয়তো মনির রাজনৈতিক পুনরুত্থান হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
ওবায়দুল কাদের গত তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার ভাবে দলের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা যেন নির্বাচনে না দাঁড়ায় সে জন্য আহ্বান জানাচ্ছিলেন। এ জন্য তিনি কঠোর হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি বলছিলেন, যারা দলের নির্দেশনা লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ব্যবস্থাগ্রহণ তো দূরের কথা তাদেরকে সতর্ক পর্যন্তও করা হয়নি। উল্টো ৩০ এপ্রিলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি।