নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১
যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাত-শিবির সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সামনে থেকে নয়, নেপথ্যে থেকে সরকার বিরোধি শক্তি গুলোকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে স্বাধীনতা বিরোধি গোষ্ঠী। চলতি বছরই সরকারের বিরুদ্ধে বড় ধরনের আন্দোলনের সূচনা করতে জামাত-শিবির ৫ কৌশল গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে রয়েছে:
১. সরকার বিরোধি অভিন্ন প্লাট ফরম গঠন: জামাত শিবিরের উদ্যোগে সরকার বিরোধি একটি অভিন্ন প্লাট ফরম গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত শনিবার কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ ইব্রাহিমের ডাকা সুধী সমাবেশ এর প্রথম পদক্ষেপ। জানা গেছে, এই প্লাট ফরমে কেবল রাজনৈতিক দলগুলো থাকবে না। বিভিন্ন শ্রেনী, পেশার মানুষকে রাখা হবে। বিশেষ করে প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা, সাবেক আমলা, শিক্ষক এবং আইনজীবীদের রাখা হবে। এদের সংগঠিত করতে জামাতের একাধিক টীম কাজ করছে বলে জানা গেছে।
২. তৃনমূলে সরকার বিরোধি ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলন: তৃণমূলে ধর্ষন সহ বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু, ছাত্রলীগ, যুবলীগের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে মানুষজনকে উস্কে দিয়ে স্থানীয় ভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে।
৩. ঢাকায় ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলন : কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, ধর্ষন বিরোধি আন্দোলনের মতো ঢাকার ছাত্র এবং তরুনদের দিয়ে ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই আন্দোলন গড়ে তুলতে সাবেক ডাকসু ভিপি নূরকে ব্যবহার করা হবে।
৪. ভাস্কর্য বিরোধি আন্দোলনকে বেগবান করা: ঝিমিয়ে পরা ভাস্কর্য বিরোধি আন্দোলনকে নতুন করে বেগবান করার চেষ্টা করছে জামাত-শিবির। এতে সরকার বিরোধি তৎপরতার দিকে নজর দিতে কম সময় পাবে।
৫. জঙ্গী সংগঠন গুলোকে তৎপর করা: গত এক বছর ধরেই দেশের জঙ্গী সংগঠন গুলোকে তৎপর করার চেষ্টা করছে জামাত-শিবির। এজন্য জঙ্গীদের অর্থায়নও করছে। জঙ্গী সংগঠন গুলো তৎপর হলে, সরকার অন্যরকম চাপে থাকবে।
মূলত: এই পাঁচ কৌশলে নতুন বছরে সরকারকে কোনঠাসা করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে জামাত-শিবির।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।