নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১
সম্প্রতি ইন্টারপোলের রেড নোটিশে যে ৭৮ জন বাংলাদেশীর নাম এসেছে, তার মধ্যে সাবেক ছাত্রদল নেতা গোলাম ফারুক অভি অন্যতম। মডেল অভিনেত্রী তিন্নীকে হত্যার পর থেকেই অভি পলাতক। বর্তমানে তিনি কানাডায় আছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
গোলাম ফারুক অভি, রাজনীতিতে এক লাগামহীন তারুন্যের নাম। এইচএসসিতে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। তখন ছিলো জিয়ার শাসন আমল। জিয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের নৌ বিহারে নিয়ে গিয়েছিলেন। ‘হিযবুল বাহার’ নামে ঐ ভ্রমন তরীতে যারা সংগী হয়েছিলেন, তাদের অধিকাংশই পরবর্তীতে বিপথগামী হন। ঐ নৌ বিহারের মাধ্যমেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে নাম লেখান অভি। এসময় অস্ত্র আর পেশী শক্তির উপর ভর করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে কর্তৃত্ব শুরু করে ছাত্রদল। গোলাম ফারুক অভি হয়ে ওঠেন ছাত্রদলের অন্যতম শীর্ষ ক্যাডার। নীরু-অভি, অস্ত্র দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান হাতিয়ারে পরিণত হন। এরশাদও বুঝতে পারেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার অবস্থান পোক্ত করতে হলে অস্ত্র দিয়েই করতে হবে। আর একারণেই এরশাদ অভিকে হাত করেন। ৯০-এ ২৭ নভেম্বর অভি বাহিনীই আক্রমন করে হত্যা করে মিলনকে। এরপর সারাদেশে শুরু হয় উত্তাল আন্দোলন। এই আন্দোলনে পতন হয় এরশাদের।
অভি আত্মগোপনে যান। পরবর্তীতে জাতীয় পাটি থেকে নির্বাচন করে বরিশালে রাশেদ খান মেননকে হারিয়ে দেন অভি। কিন্তু অস্ত্রের ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি অভি। এসময় সে সময়কার জনপ্রিয় মডেল তিন্নীর সংগে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু ভয়ংকর অভির রোমান্সও ছিলো ভায়োলেন্সে ভরপুর। একদিন তিন্নীর লাশ পাওয়া যায় বুড়ীগঙ্গা সেতুর নীচে। সকলেই নিশ্চিত হয় যে, অভিই এই কান্ড করেছে। তিন্নী বিবাহিত ছিলো, তার স্বামীর নাম ছিলো পিয়াল। তাদের এক কন্যা সন্তানও ছিলো। তিন্নীর মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন তদন্ত তদন্ত খেলা চলেছে। নিরুদ্দেশে থাকা অভিও আছে বহাল তবিয়তে। ৮০ এবং ৯০ এর দশকে ছাত্ররাজনীতিতে যারা অস্ত্র আমদানী করেছিল। যারা সংগঠনকে শক্তিশালী প্রমাণের জন্য পেশী শক্তির ব্যবহার করতো, তাদের অন্যতম অভি। কিন্তু অস্ত্র আর রাজনীতি যে এক সাথে চলতে পারে না, অভি সম্ভবত তার বড় উদাহরণ।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।