নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচন অনেক আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এ নির্বাচন অনেক উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও এই নির্বাচন জাতীয় এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে কোন ভূমিকা রাখবে না। কারণ এই নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন ক্ষমতার পদ পরিবর্তন হবে না এবং গুরুত্বপূর্ণ কোন ভূমিকাও রাখবে না। কিন্তু এই নির্বাচনে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মর্যাদার লড়াই হিসেবে দেখছে। মর্যাদার লড়াইয়ের কারণে এখন চসিক নির্বাচন সারাদেশের একটি আলোচনার বিষয় হয়েছে। এ নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে তাহলে আওয়ামী লীগের তেমন কোন লাভ হবে না আবার হারলেও আওয়ামী লীগের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। কারণ এই নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে, তাহলে আওয়ামী লীগ আরেকটি নির্বাচনে জিতবে। যদি আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়, সেক্ষেত্রেও বড় ধরনের ব্যত্যয় ঘটবে না। যেহেতু চট্টগ্রামের সবগুলো এমপি আওয়ামী লীগের, কাজেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও বড় ধরণের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। কাজেই এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়-পরাজয় গুরত্বপূর্ণ নয়।
তবে এই নির্বাচনে যদি জেতার জন্য যদি সাময়িক ফলাফল আওয়ামী লীগ পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, ব্যালট বাক্স হনন, এসমস্ত অভিযোগগুলো উঠে, সেটা আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষতিকর হবে। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যেই ঐতিহ্য, সেই ঐতিহ্য ইতিমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ নির্বাচনে সেটি আওয়ামী লীগ করবেনা বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আশা করেন। আবার এই নির্বাচনে বিএনপি যদি জয়লাভ করে তাহলেও বিএনপির বড় কোন প্রাপ্তি নেই। কারণ সারা দেশে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন। তাই নির্বাচনে জয়লাভ করলেও তাতে বিএনপি তেমন লাভবান হবে না। যেমন সিলেটে বিএনপির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আছেন কিন্তু তাতে কোন জাতীয় কিংবা স্থানীয় রাজনীতিতে তেমন প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। এর আগে মোহাম্মদ মনজুর আলম চট্টগ্রামের মেয়র ছিল, সেটিও বিএনপির জন্য তেমন লাভজনক কিছু বয়ে আনতে পারেনি। কাজেি এই নির্বাচনে বিএনপি যদি যেতে তাহলে খুব বড় ধরনের লাভ হবে এমন মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আবার বিএনপি যদি নির্বাচনে পরাজিত হয়, তাহলে বিএনপির যে ক্ষতি আছে সেই ক্ষতিই থাকবে। তাই এই নির্বাচন থেকে বিএনপির যেমন অর্জন করার কিছু নাই, তেমনি হারানোরও কিছু নাই। তবে, গত কিছুদিন ধরে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যে তামাশা করছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যে আত্মঘাতী পথ বেছে নিয়েছে সেটা যদি এই নির্বাচনেও করে তাহলে বিএনপির রাজনৈতিক অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে পড়বে। অন্যান্য নির্বাচনেও দেখা যাচ্ছে যে বিএনপি নির্বাচনকে ছেলেখেলা বানাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনের আগে থেকেই বলছে যে কারচুপি হবে এবং দেখা যায় নির্বাচনের দিন বিএনপির কোন এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। ভোটের দিন দুপুরের দিকে বিএনপির প্রার্থীরা সব বাসায় ফিরে যাচ্ছেন এবং নির্বাচন বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। এই প্রবণতা কখনোই গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। এর ফলে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে পরিকল্পনা করতে চাইছে, তার চেয়ে বিএনপির সাংগঠনিক ক্ষতি বেশী হচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির শক্তিমত্তা প্রশ্নবিদ্ধ করছে। কাজেই আওয়ামী লীগেরও যেমন উচিত হবেনা নির্বাচনের ফলাফলকে নিজের দিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা, তেমনি বিএনপিরও উচিত হবেনা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নির্বাচনের মাঠ থেকে মাঝপথে সরে আসা এবং যেকোন মূল্যে নির্বাচনকে প্রহসন বানানোর চেষ্টা করা। গণতন্ত্রের জন্য এই নির্বাচন পরিচ্ছন্ন নির্বাচন হোক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হোক এবং যেই জিতুক না কেন নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের জয় হবে।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।