নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ জানুয়ারী, ২০২১
টানা দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। দলে কর্মী বান্ধব, পরিশ্রমী এবং ত্যাগী নেতা হিসেবে স্বীকৃত। আওয়ামী লীগ সভাপতির সাথে তার ভালো বোঝা। দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতা হিসেবে কর্মীরাও তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু সেই অবস্থা ক্রমশ: টলটলায়মান। দলের ভেতর সিনিয়র মাঝারি নেতাদের কাছে এখন তার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। ওবায়দুল কাদের সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ এজন্য তিনি নিজে মোটেও দায়ী নন। তার ছোট ভাই কাদের মির্জার বাড়াবাড়ি এবং বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য এখন ওবায়দুল কাদেরের দিকে প্রশ্ন তুলছেন দলের অনেকে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এখন বলেন এবং বিশ্বাস করেন, ওবায়দুল কাদেরের জন্যই এভাবে আশকারা পাচ্ছেন মির্জা কাদের। আওয়ামী লীগের নেতারা সরাসরি প্রশ্ন করছেন, এরকম কাণ্ড যদি তার (ওবায়দুল কাদেরের) ছোট ভাই না করে অন্য কেউ করতো,তাহলে তিনি কি করতেন? তাহলে কি তিনি নীরবে মুখ বুঝে সহ্য করতেন?
বসুর হাট পৌরসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বিতর্কের শুরু। তখন থেকেই কাদের মির্জার লাগামহীন কথাবার্তা লুফে নেয় গণমাধ্যম। একে একে কাদের মির্জার নিশানা হন, বেশ ক’জন কেন্দ্রীয় নেতা এবং এমপি। এসময় সবাই চুপচাপ ছিলেন। এটা নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল এই ভেবে সবাই মুখ বুঝে থাকেন। সকলে আশা করেছিলেন, নির্বাচনের পর হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কোথায় কি? নির্বাচনের পর নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে মির্জার শব্দ বোমা। আওয়ামী লীগে নেতারা এবার বিরক্ত। অনেকে ক্ষুব্ধ। আগে আওয়ামী লীগের নেতারা এ প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনা করতেন, ফিসফাস করে এখন প্রকাশ্যে এনিয়ে কথা বলছেন। অন্তত দুই জন আওয়ামী লীগ নেতা এব্যাপারে আওয়ামীলীগ সভাপতির সাথে কথা বলেছেন। দলের চেইন অব কমান্ড নষ্ট হচ্ছে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আর মির্জার এই ঘটনায় এখন আওয়ামী লীগের নেতারা যতোটা না ক্ষুব্ধ মির্জার উপর, তারচেয়ে ক্ষুব্ধ ওবায়দুল কাদেরের উপর। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলছিলেন ‘আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যদি ছোট ভাইকে ডেকে ধমক দিতেন, তাহলে বিষয়টি এতদূর গড়াতো না।’ আর কাদের মির্জার ঘটনার সূত্র ধরে আওয়ামীলীগের অনেকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার ব্যর্থতার তালিকা বানাচ্ছেন। অনেকেই জেলায় জেলায় গ্রুপিং এর জন্য ওবায়দুল কাদেরকে দায়ী করছেন। সব কিছু মিলিয়ে, এক সময় সমালোচনাহীন ওবায়দুল কাদেরের ভূমিকা নিয়েই দলের ভেতর প্রশ্ন উঠেছে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।