ইনসাইড পলিটিক্স

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আ.লীগ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০২১


Thumbnail

বসুরহাট পৌসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার ছোট ভাই সাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (৮ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। কাদের মির্জার ভাগনে ও খিজির হায়াত গ্রুপের অন্যতম নেতা ফখরুল ইসলাম এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান মারধরের এ অভিযোগ করেন।

কাদের মির্জার ভাগনে ফখরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি মেয়র কাদের মির্জার অপরাজনীতির বিরোধিতা করে আসছিলেন খিজির হায়াত খান। এ বিরোধের জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটান কাদের মির্জা। খিজির হায়াত খান বর্তমানে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি আরও বলেন, কাদের মির্জা ও তার ছোট ভাই সাহাদাতের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা এই হামলা করে। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ ফরহাদ লিংকনকে আটক করে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে আটকে রাখা হয়। এসময় কাদের মির্জা ও সাহদাতের সন্ত্রাসী বাহিনী বাজারে অস্ত্রের মহড়া দেয়।

মারধরের বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একা অবস্থান করছিলাম। ওই সময় মেয়র কাদের মির্জা অফিসে এসে প্রথমে কলার ধরে আমাকে লাঞ্ছিত করেন এবং পরে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা সমর্থকরা জামার কলার ধরে রাস্তার নিয়ে আসেন এবং লাথি, কিল ও ঘুষি মেরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন। আমাকে এমনভাবে পেটালেন যেন আমি একজন পকেটমার, চোর। এসময় আমি থানা পুলিশকে জানালেও তারা আমাকে কোনো সহযোগিতা করেননি।’

এ বিষয়ে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। একপর্যায়ে অন্য এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে দাবি করেন, কাদের মির্জা কোনো হামলা করেননি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

লোকসভা নির্বাচন দেখতে আওয়ামী লীগকে বিজেপির আমন্ত্রণ

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাতটি ধাপে ভারতের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখতে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

বুধবার (১ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ভারতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সাথে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবে। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে, যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।

লোকসভা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিরা কেন দলের সিদ্ধান্ত মানছেন না

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম দফায় প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। গতকাল ছিল দ্বিতীয় দফায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দ্বিতীয় দফায় ১৫৯ টি উপজেলায় ২১ মে নির্বাচন হওয়ার কথা। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন দেখা গেছে, যে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তারা দলের নির্দেশ মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে ১৪ জন এমপি এবং মন্ত্রীর নিকট আত্মীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। 

দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে দুইজন মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রীর স্বজন শেষ পর্যন্ত প্রার্থীতায় থাকলেন। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী থাকার বিষয়ে অটল রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। তিনি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই। 

রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সেখানকার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম। তিনি রেলমন্ত্রী এবং রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মোঃ জিল্লুর হাকিমের চাচাত ভাই। 

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ছেলে জামিল আহসান দূর্জয় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। 

এ তিনজন মন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। 

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ এবং ছোট ভাই ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুজ্জামান আহমেদ প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের ভাই গোলাম সরোয়ার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায়। এভাবে দ্বিতীয় দফাতেও মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা ভীতিহীনভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর হুশিয়ারিকে তারা পাত্তাই দিচ্ছে না। 

প্রথম দফায় অনেকে বলেছেন যে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিতে অনেক দেরি করেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এবং সেই সময় তিনি বলেছিলেন যে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হওয়ার জন্যই তিনি তার ছেলেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিতে পারেননি। কিন্তু ২১ মে যে উপজেলাগুলোতে নির্বাচন হবে এবং গতকাল যার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল সে উপজেলাগুলোতেও আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।
 
প্রশ্ন হলো যে, দলের মন্ত্রী-এমপিরা কেন দলের নির্দেশনা মানছেন না। এর পেছনে কি কারণ রয়েছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একাধিক কারণের কথা উল্লেখ করছেন। 

১. দলের প্রতি আনুগত্যের অভাব: যারা মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন তাদের দলের প্রতি আনুগত্যের অভাব তীব্রভাবে দেখা যাচ্ছে। তারা দলের চেয়েও নিজের স্বার্থকে বেশী দেখছেন। দলে কি হলো না হলো তার চেয়ে তাঁর নিজের অবস্থান কতটা সংহত হলো সেটা তিনি বিবেচনা করছেন। এজন্য দলের নির্দেশনা তারা মানছেন না।  

২. এলাকায় অস্তিত্ব রক্ষা: এসমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা এলাকায় নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তাদের শক্ত প্রতিপক্ষ রয়েছে। নিকট আত্মীয়দের এলাকার চেয়ারম্যান বানিয়ে তাদের অবস্থঅন শক্ত করতে চাই। এলাকায় তাদের অবস্থান সংহত করার জন্যই আসলে তারা দলের সিদ্ধান্ত তারা মানছেন না। 

৩. অতীত অভিজ্ঞতা: অতীতে দেখা গেছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে দলের প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তারা এবারও মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত সবকিছু ম্যানেজ করে নিবেন। আর এই কারণেই দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন এই মন্ত্রী-এমপিরা।         


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সস্ত্রীক সৌদি আরবে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail ফাইল ছবি

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে যাবেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। বৃহস্পতিবার তার সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আগামী ২ মে ওমরাহ পালন করতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ৭৭ বছর বয়সি মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে বেরিয়ে আসেন তিনি। 

সৌদি আরব   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

টাকা দিলেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয় বিএনপিতে

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজনৈতিক দলগুলোতে নানারকম বাণিজ্য এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। টাকা দিয়ে মনোনয়ন পাওয়া যায়, টাকা দিয়ে কমিটিতে থাকা যায়, টাকা দিয়ে বিভিন্ন পদে আসীন হওয়া যায়। কিন্তু ইদানিং বিএনপি রাজনৈতিক বাণিজ্যের এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে। টাকা দিলেই বিএনপি থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা যায়। 

বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল সময়ে বিএনপিতে প্রায় ৫ হাজার ৪শ জনকে বিভিন্ন অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একটি বড় অংশই ছিলো স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এদের মধ্যে অন্তত দুই হাজার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকে আবার দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তাদের অনেকেই টাকা দিয়ে দেন-দরবার করে দলে ফিরে এসেছেন। 
বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, বিভিন্ন স্থানে পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, এমন অন্তত ৮ জন নেতা এখন আবার বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। 

কিভাবে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হলো—এ প্রশ্নের জবাবে তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। তবে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে যে, বহিষ্কারাদেশের পর তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দাম নিয়ে দফারফা করেছেন। এবং কেউ ১০ লাখ, কেউ ২০ লাখসহ সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে আবার দলের পদ পদবীতে ফিরে এসেছেন। 

এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্বে ৭৩ জনকে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বহিষ্কারাদেশের পরও তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি। 

দ্বিতীয় পর্যায়ের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল গতকাল। সেখানে দেখা গেছে, বিএনপির ৫৪ জন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করেছেন। কেন তারা দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন—এর জবাবে একাধিক উপজেলা চেয়ারম্যান বলেছেন, বহিষ্কার আদেশ নিয়ে তারা আতঙ্কিত নয়। বরং বিএনপির একাধিক প্রার্থী যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। তারা বলছেন যে, আগে নির্বাচন হয়ে যাক, তারপর সবকিছু ম্যানেজ করা যাবে। 

এক এগারোর পর থেকে বিএনপিতে ঢালাও বহিষ্কারের রীতি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর তারেক জিয়া নেতৃত্বে আসলে কথায় কথায় বিএনপিতে বহিষ্কারের মত চরম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। কিন্তু বহিষ্কারাদেশ বিএনপিতে এখন একটি বাণিজ্য হয়ে গেছে। যে কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করে পরে টাকার বিনিময়ে তাকে আবার দলে নেয়ার এক অদ্ভুত কৌশল বিএনপি চালু করেছে। 

শুধুমাত্র নির্বাচনের মনোনয়ন নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বিভিন্ন সময়ে যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তারা অনেকেই আবার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং নানারকম দেন দরবারের পর একটি নির্দিষ্ট অর্থ ঐ কেন্দ্রীয় নেতার হাতে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতা লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে যোগাযোগ করে এই বিষয়টি নিয়ে একটি চূড়ান্ত দফারফা করেছেন। এবং তার প্রেক্ষিতেই শেষ পর্যন্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

বিভিন্ন বিএনপি নেতা স্বীকার করেছেন যে, বহিষ্কার হবার পরও অনেককে বিএনপিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় টাকার দিয়ে বহিষ্কারাদেশের ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন। তার মতে, কেউ যদি বহিষ্কৃত হয়, তারপর যদি তার অনুশোচনা হয়, আত্ম উপলব্ধি হয় তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আবেদন করেন এবং এই আবেদন যদি গ্রহণযোগ্য মনে করা হয় তাহলে তাকে ক্ষমা করা হয়। এটি যেকোন রাজনৈতিক দলের রীতি বলে তিনি দাবী করেছেন। 

বহিষ্কারাদেশ   বিএনপি   তারেক জিয়া   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নিয়ে কেন আলোচনা হল না আওয়ামী লীগে?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ বৈঠক ঘিরে সারাদেশের আগ্রহ ছিল। উপজেলা নির্বাচনে যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে, যারা দলের নির্দেশনা মানেনি- তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় সে ব্যাপারে সকলের আগ্রহ ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনার কথা বললে উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি উঠেনি। কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কেবলমাত্র দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিভিন্ন কর্মসূচী এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে যে, উপজেলা নির্বাচনে যেসব মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছে, যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কথা হচ্ছিল। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাও বলছিলেন যে, যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি হল না কেন? এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন নেতার কাছেই তেমন কোন উত্তর নেই। বরং আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভবত চাননি বিষয়টি এই কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচিত হোক।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, কৌশলগত কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এই প্রসঙ্গটি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উত্থাপন করেননি এবং এই কৌশলগত অবস্থানের ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিভিন্ন রকমের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।

প্রথমত, অনেকে মনে করছেন আওয়ামী লীগ আসলে দেখতে চাচ্ছে যে উপজেলা নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হয়। যারা আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তারা উপজেলা নির্বাচনে কী ধরনের ফলাফল করে। এই ব্যাপারে নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় এবং সুযোগ আছে। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা যদি এমনিতেই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে সেটিই হবে তাদের একধরনের শাস্তি। আর যদি তারা জয়ী হন তবে তাদেরকে অন্যভাবে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা যাবে। এ কারণে এটি একটি কৌশলগত অবস্থান বলে অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচনের আগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নির্বাচনের উপর তার প্রভাব পড়বে। উপজেলা নির্বাচনে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এরকম একটি উপলব্ধি থেকেই হয়তো উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেই উপজেলা নির্বাচনের যে প্রচারণা, সে প্রচারণাই ভাটা পড়তে পারে।

দ্বিতীয়ত, সারাদেশ থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ। উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। যদিও দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুধু দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের তথ্যের উপর আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্ভরশীল নন। তিনি নিজস্ব উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানা গেছে এবং এই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পরপরই হয়তো তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।

তৃতীয়ত, দলের দুর্বলতা প্রকাশ না করা। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা, বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপিরা যেভাবে সিদ্ধান্ত লঙ্ঘণ করেছে সেটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এই মুহূর্তে যদি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের দুর্বলতাই প্রকাশ পাবে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা, দলের মন্ত্রী-এমপিরা যদি দলের সিদ্ধান্ত না মানেন তাহলে তৃণমূলে তার প্রভাব পড়বে এবং এক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে দলের ভেতর একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এসব বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী হয়তো উপজেলা নির্বাচনে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছেন।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন