নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১৯ পিএম, ২১ জুন, ২০২১
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এটা প্রতিহিংসাপরায়ণ ও ব্যর্থ এক বিরোধীদলের ঈর্ষাকাতরতা ছাড়া কিছু নয়। বিএনপি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে নিজেদের আমলের ব্যর্থতা ঢাকতে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করছে।’
সোমবার (২১ জুন) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নিজেদের সময় দেশে একটি মেগা প্রকল্প করার সাহস ও সক্ষমতা দেখাতে পারেনি তারাই আজ মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা-মিথ্যাচারে নেমেছে। এটা তাদের পরিকল্পিত অপচেষ্টা।’
অব্যাহত মিথ্যাচার করে দেশের ইমেজ নষ্ট করা বিএনপির লক্ষ্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নিজেরা ক্ষমতায় থাকাকালে দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল, আর এখন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত হয়ে দুর্নীতির গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে দুর্নীতিতে বারবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্কতিলক দেশকে পরিয়েছিল, যা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি। যারা হাওয়া ভবন নামের খাওয়া ভবন তৈরি করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল তাদের মেগা-প্রকল্প দেখলে মনোযন্ত্রণা হওয়াই স্বাভাবিক।’
বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি স্পষ্ট ও কঠোর। যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও ছাড় দেয়া হয়নি। অপরদিকে বিএনপি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, গঠনতন্ত্র থেকে দুর্নীতিবাজদের অযোগ্যতা বিষয়ক ধারা বাতিল করে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের দল হিসেবে নিজেদের স্বীকৃতি দিয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সাহস থাকলে আপনাদের গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিবিরোধী ৭-ধারা ফিরিয়ে আনুন।’
একদিকে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে অন্যদিকে কল্পিত অভিযোগ করাকে জনগণ নৈতিকতা বিরোধী বলেই মনে করে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপিকে উন্নয়নবিমুখ কথা-সর্বস্ব রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘তাদের সময় বড় প্রকল্প নেয়ার মানসিক সাহস-সক্ষমতা ছিল না।’
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সড়ক অবকাঠামো খাতে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, টানেলসহ যে কয়টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে সেখানে কোনো দুর্নীতি হলে কাল্পনিক অভিযোগ না করে সুস্পষ্ট প্রমাণ দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, ‘স্পেসিফিক প্রমাণ দিন, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে।’ বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘আসলে দুর্নীতি প্রবণতা তাদের মগজে এবং অস্থিমজ্জায় মিশে গেছে।’
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।