নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার উল্লেখ করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল তাজ ‘নতুন প্রজন্মের ভাই-বোনদের জন্য কিছু প্রশ্ন’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তুলে ধরেছেন।
পোস্টে তিনি ওই সরকারের সময়ে ঘটে যাওয়া ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট’, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্রসহ, জঙ্গিবাদ বিস্তারের ঘটনা উল্লেখ করেন। তিনি এসব ঘটনার সময় ‘তথাকথিত বিশেষজ্ঞ-বুদ্ধিজীবীদের’ ভূমিকা কী ছিল তা জানতে চান।
সোহেল তাজ তার পোস্টে লেখেন, নতুন প্রজন্মের ভাই-বোনদের জন্য কিছু প্রশ্ন...
২০০১ সালের নির্বাচনের পর জামায়াত/বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর "অপারেশন ক্লিন হার্ট" নামক একটি অভিযান করা হয়। সেই অভিযানে কত জন মানুষকে হত্যা এবং গুম করা হয়েছিল? তার পাশাপাশি বিরোধী দলসহ কত জন নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়? কত জন মানুষকে নির্যাতন করা হয় এবং চিরতরে পঙ্গু করা হয়? কত জন নারীকে ধর্ষণ করা হয়?
সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার কারা করেছিল? একসঙ্গে বাংলাদেশের ৩০০ জায়গায় ৫০০ বোমা বিস্ফোরণ কারা করে এবং কাদের ইন্ধনে করে? "বাংলা ভাই" কে ছিল এবং কারা তাকে প্রশ্রয় দিয়েছিল? ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা কাদের ইন্ধনে হয়েছিল? সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর এখনও জেলে কেন?
জজ মিয়া কে ছিল? দশ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র কেন আর কারা এনেছিল? গাজীপুরের আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপিকে কারা হত্যা করেছিল? সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়াকে কারা হত্যা করেছিল? গিয়াসউদ্দিন আল মামুন কার বন্ধু ছিল? সে কত হাজার কোটি টাকা পাচার করেছিল? সে এখন কোথায় আর তার বন্ধু এখন কোথায়?
আর যারা (তথাকথিত বিশেষজ্ঞ/বুদ্ধিজীবী) এখন "হায় হায় দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে" বলে মুখে ফেনা তুলছেন তাদের জন্য আমার একটা প্রশ্ন- আপনারা সেই সময় কই ছিলেন?
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।