নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২১
জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দেশে নানা সমস্যা রয়েছে। সেখান থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদ সমবায় দলের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, সরকার দেশের স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে তার সংস্থা দিয়ে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সংকট কী? সংকট গণতন্ত্রের, সুষ্ঠু নির্বাচনের, ভোটাধিকারের, যা তারা হরণ করছে, একনায়কতন্ত্র কায়েম করে ক্ষমতা দখল করে আছে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ক্রমেই সরকার গণতান্ত্রিক স্পেস সংকুচিত করছে। পল্টন ময়দান, মানিক মিয়া এভিনিউ, মুক্তাঙ্গনসহ সভা-সমাবেশের জায়গা সংকুচিত করে ফেলছে সরকার। এখন প্রেসক্লাবও বন্ধ করে দিল।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোভিড–১৯–পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। চিকিৎসকেরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন, তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিশ্বের উন্নত হাসপাতালে হওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তাঁকে সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন প্রাপ্য। তাঁকে মুক্তি দিতে হবে, যাতে তিনি সুচিকিৎসা নিতে পারেন।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি। বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ সংগঠনের নেতারা।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অন্তত পাঁচবার সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিল তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছিল। একই সাথে বলা হয়েছিল যে, সারাদেশে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন তাদের তালিকা প্রণয়ণ করতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কিছুই হচ্ছে না।