নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২১
বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ। বিএনপির নেতারা যেমন বলছেন যে, তিনি অত্যন্ত ক্রিটিক্যিাল। ঠিক তেমনিভাবে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরাও বলছেন তার অবস্থা সংকটাপন্ন। হঠাৎ হঠাৎ করে তার হিমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে। লিভারের জটিলতা থেকেই তার এই সমস্যা বলে জানা গেছে। এছাড়াও অন্যান্য সমস্যাগুলোরও কোন উন্নতি হয়নি। এই অবস্থায় বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার যেকোনো সময় দ্রুত অবনতি ঘটতে পারে বলে এভারকেয়ার হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকরা বলেছেন।
হায়াৎ মউত আল্লাহর হাতে, এটি সকলেই জানেন। একজন ব্যক্তির যেভাবে মৃত্যু নির্ধারিত সেভাবেই তার মৃত্যু হবে, এটি আদি নিয়তির লিখন এবং কেউ সেটি ঠেকাতে পারবে না। আর সে কারণেই বেগম জিয়া বেঁচে যাবেন না তার জীবন প্রদীপ নিভে যাবে, এটা একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তাই বলতে পারেন। তবে চিকিৎসকরা বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষণ গণনা শুরু করেছেন। এই ধরনের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কি ধরনের পরিণতি হয় এ ব্যাপারে একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার দেশে-বিদেশে কোথাও এখন আর কোন চিকিৎসা করে সারানোর সম্ভাবনা খুবই কম যদি অলৌকিক কিছু না ঘটে। বেগম খালেদা জিয়ার লিভারের যে অবস্থা তাতে তার লিভার প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার এই ৭৬ বছর বয়সে তার লিভার প্রতিস্থাপন প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এভারকেয়ার হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেছেন যে, বাংলাদেশে তো নয়ই, পৃথিবীর কোন উন্নত দেশেও ৭৬ বছর বয়সী এবং নানারকম জটিলতায় আক্রান্ত একজন ব্যক্তির লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়। ওই চিকিৎসক এটিও জানান, লিভার প্রতিস্থাপন সাধারণত করা হয় তরুণ বয়সে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে। কিন্তু এই ধরনের লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য যে দীর্ঘমেয়াদী অপারেশন করা দরকার সেটি এই বয়সে প্রায় অসম্ভব। দ্বিতীয়ত, তার চিকিৎসার যেটি উপায় সেটি হলো স্টেমসেল এবং সেটিও বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ এ ধরনের চিকিৎসা করতে গেলে যে ধরনের শারীরিক সক্ষমতা দরকার লাগে এবং অন্যান্য রোগ থেকে মুক্ত হতে হয় সেটিও বেগম জিয়ার পক্ষে সম্ভব নয়।
ইতিমধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কাগজপত্র লন্ডনে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা যে বার্তা দিয়েছেন সেটিও বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যায় না। তারাও বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এখন যে পরিস্থিতিতে আছে তাতে তার চিকিৎসা করে সারানোর কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে আছেন এবং বিভিন্ন রকম ওষুধপত্র এবং ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করে তাকে যতদিন রাখা সম্ভব ততদিনে তিনি হয়তো থাকবেন। চিকিৎসকরা এটাকে সংকটাপন্ন সময়কাল বলেন। সাধারণত চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনো রোগী সংকটাপন্ন সময়কালে উপনীত হলে তখন তার ক্ষণ গণনা শুরু হয়। চিকিৎসকরা তখন বলতে পারেন না যে কখন সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। এটি শুধু অপেক্ষার পাহাড়।
আর একারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার দাবী যারা করছেন তারা এক ধরনের অমানবিক আচরণ করছেন বলেই মনে করেন বিভিন্ন চিকিৎসকরা। তারা মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এখন যে অবস্থায় আছেন, এই অবস্থায় যেন তিনি আরো কিছুদিন থাকতে পারেন এবং শেষ কয়েকটি দিন যেন তিনি ঝামেলা মুক্তভাবে থাকতে পারেন সেটি করাই সবার জন্য দরকার। কারণ এখন যদি বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আরও টানা হ্যাচরা করা হয়, সেটি বেগম খালেদা জিয়ারই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ (শনিবার) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন
মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
ওবায়দুল কাদের ক্ষমতায় বিদেশি দাসত্ব বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশিত উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যেটি চেয়েছিলেন যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচন হবে, যে নির্বাচনে যে যার মতো করে অংশগ্রহণ করবেন এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বিজয়ী হবেন। সে রকম একটি নির্বাচন এখন দুরাশায় পরিণত হচ্ছে। আর এই দুরাশায় পরিণত হওয়ার প্রধান কারণ হল মন্ত্রীদের ক্ষমতার লোভ, এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা এবং কোথাও কোথাও পরিবারতন্ত্র কায়েমের আগ্রাসী মনোভাব।
শেষ পর্যন্ত খোকনের ব্যাপারে পিছু হটল বিএনপি। তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না। বরং চা-নাস্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত তিন ঘণ্টার বৈঠকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ঠিকঠাক মতো কাজ করে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন ঘণ্টার বৈঠকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও যুক্ত হয়েছিলেন। তারেক জিয়ার সঙ্গেও মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং তার বিরুদ্ধ পক্ষের নেতা কায়সার কামাল কথা বলেন বলে জানা গেছে।