নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২১
তারেক জিয়ার মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সিসিইউতে আছেন এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন একথা বলছেন চিকিৎসকরা। এই সময় চিকিৎসার চেয়ে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন তাহলো নিকটজনদের পাশে থাকা। একজন মানুষের যখন চিকিৎসার সবগুলো পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন নিকটাত্মীয়দের পাশে থাকা এবং তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করাই একমাত্র কাজ। এটি সর্বক্ষেত্রে বয়োপ্রবীন মানুষের জন্য করা হয়। যেকোনো মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের জন্য তার পরিবারের দোয়া এবং প্রার্থনাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এরকম সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং সংকটাপন্ন অবস্থায় তারেক জিয়ার দেশে ফেরা দরকার।
আগে বিএনপির যারা বলতেন যে, তারেক জিয়া এখন দেশে ফিরলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে, তিনি হয়রানির শিকার হতে পারেন, তারাই এখন তারেককে অভয় দিচ্ছেন। তারা তারেক জিয়াকে বলছেন, আপনি দেশে আসুন, আমরা আপনার পক্ষে থাকবো, আমরা আপনার জন্য লড়বো, কারাগারে আপনাকে রাখা যাবে না। এমনকি বিএনপির তৃণমূলের নেতারা তারেক জিয়ার কাছে লিখিতভাবেও বার্তা দিচ্ছেন যে, তার দেশে আসাটা এখন জরুরি। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে শুধু যে আওয়ামী লীগের দিকে সমালোচনার তীর ছোঁড়া হবে তা নয়, বরং তারেক জিয়াও যে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হবেন এই উপলব্ধি বিএনপির অনেকের রয়েছে। ইতিমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন যে, খালেদা জিয়ার কিছু হলে জনরোষ থেকে বিএনপিও মুক্তি পাবে না। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় স্পষ্টতই তারেক জিয়াসহ জিয়া পরিবারের ভূমিকার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
কারণ, বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার অনুমতি দিলো না, সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু তারেক জিয়া কেন তার মায়ের শেষ সময়ে এসে তার পাশে দাঁড়ালেন না, সেই প্রশ্নের উত্তর তারেক জিয়া কিভাবে দিবেন। বিএনপির মধ্যেই এই প্রশ্নগুলো এখন ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। তারেক জিয়া যে সমস্ত নেতার সঙ্গে কথা বলছেন, তারা সবাই তাকে বলছেন যে, আপনি দেশে আসেন। আপনার যদি কিছু হয় তাহলে আমরা প্রবল প্রতিবাদ করবো, আন্দোলন করবো এবং খালেদা জিয়া অসুস্থতা এবং আপনাকে গ্রেপ্তার, দুটো কাজ একসাথে সরকার করলে সরকারকেই একটা ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে। কিন্তু তারেক জিয়া নিজের দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আস্থাশীল নয়। তিনি বারবার নিজের বিষয়টি দেখছেন। অন্তত দু’জন বিএনপি নেতাকে তিনি বলেছেন যে, আমি দেশে ফিরলেই ওরা আমাকে জেলে নেবে। বিএনপি নেতারা তার জবাবে এটা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকেও জেলে নেয়া হয়েছে।
রাজনীতি করতে গেলে সাহস থাকতে হবে, জেলে যাওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। এটাই রাজনীতির বাস্তবতা। কিন্তু তারেক জিয়ার কোনো অবস্থাতেই তার আরাম-আয়েশের জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে চান না। তিনি তার মায়ের সেবা করতে এসে নতুন কোন ঝামেলায় জড়াতে চান না। শুধু তিনি নন, তাঁর পরিবারের কাউকে তিনি ঝামেলায় জড়াতে চান না। কাজেই, তারেক জিয়া দেশে আসবেন, মায়ের পাশে দাঁড়াবেন, এমন প্রত্যাশা যারা করেন বিএনপিতে তারা নতুন করে আশাহত হচ্ছেন। কারণ, তারেক জিয়া তাঁর দলের নেতাকর্মীদেরকে এখন বিশ্বাস করতে পারছেন না। আর এ কারণেই হয়তো শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বসেই সবকিছু দেখবেন। আর এটি যদি করেন তাহলে খালেদা জিয়ার জীবনপ্রদীপ নিভে গেলে তারেকের রাজনীতির প্রদীপও নিভে যাবে বলে অনেকে মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।