ইনসাইড পলিটিক্স

আইন না সার্চ কমিটি: কোন পথে নির্বাচনের রাজনীতি?

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail আইন না সার্চ কমিটি: কোন পথে নির্বাচনের রাজনীতি?

রাষ্ট্রপতির তত্ত্বাবধানে গত দুইবার সার্চ কমিটির ব্যবস্থা হলেও এবার সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান ব্যক্ত করছে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো। সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে সরকার, বিরোধী দল এবং সুশীল সমাজের মধ্যে তৈরি হয়েছে একটি ত্রিমুখী সংকট। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে সার্চ কমিটির মাধ্যমে। অপরদিকে বিএনপি বলছে যে, নির্বাচন কমিশন নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। অন্যদিকে আরেক পক্ষ সুশীল সমাজ দাবি করছে যে, আইনের মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠন করা হোক। তবে নেতাদের চলমান বক্তব্যে সার্চ কমিটি অথবা আইন প্রণয়ন নিয়ে কোনো ধরনের নমনীয়তার আভাস দেখছেন না বিশ্লেষকরা।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের এখনো দেড় বছরের মতো সময় বাকি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। এ কমিশন থাকতে থাকতেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্বে থাকবে নতুন কমিশন। আর এ কারণেই সার্চ কমিটি গঠিত হলে এটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক হবে এবং রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলো এ নির্বাচন কমিশন নিয়ে ইতোমধ্যে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। অন্যদিকে এর নেপথ্যে থেকে সুশীল সমাজ কলকাঠি নাড়াচ্ছে। তারা বলছে যে, এরকম সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলে, এটি হবে অনুগত কমিশন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সার্চ কমিটির পক্ষেই আছেন। রাজনীতিবিদদের অমিলের কারণে এ ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে ইতোমধ্যে চলছে নানা ধরনের আলোচনা, হিসেব-নিকেশ।

সুশীল সমাজ থেকে আইনের কথা বলা হলেও সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, এবারও ইসি গঠনে আইন করার সম্ভাবনা নেই। রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটির মাধ্যমেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন হতে যাচ্ছে। সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেই ক্ষমতার বলেই তিনি সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করেন। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে  গঠন করা হয় বর্তমান নির্বাচন কমিশন। এটিই স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। পরবর্তী ইসিও সেভাবেই গঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে মতামত জানিয়েছেন। গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করবেন। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’ নতুন ইসি গঠন নিয়ে দেশে চলমান আলোচনায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য। প্রধানমন্ত্রীর কথাই আওয়ামী লীগের কথা। ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সার্চ কমিটির পক্ষেই থাকছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তবে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও তার মিত্রদের সুর সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা সার্চ কমিটি নিয়ে কিছু ভাবছে না। তারা বলছে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হলে তার অধীনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক অনুষ্ঠানে সরকারের উদ্দেশে বলেছিলেন, কিসের সার্চ কমিটি? আপনারা যাকে চাইবেন, সে-ই হবে। যদি আগের পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়, আমাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের যে অভিজ্ঞতা আমাদের আছে, সেই অভিজ্ঞতা হচ্ছে, এক. এটি একেবারেই সরকারের নিজস্ব লোকজনকে দিয়ে, প্রাধান্য দিয়ে গঠন করা হয়। দুই. এটা ধোঁকাবাজি ছাড়া কিছু নয়। দলটির স্থায়ী কমিটির একটি ঘনিষ্ঠসূত্রের ভাষ্য, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ন্যূনতম সমঝোতা হলে নির্বাচন কমিশন গঠনে সর্বদলীয় সংলাপের আয়োজন করতে পারে বিএনপি। আর এই সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসি গঠনে ঐক্যপ্রক্রিয়া কার্যকর করার পরিকল্পনা করছেন দলটির শীর্ষনেতৃত্ব।

অন্যদিকে সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে ধোঁয়া তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে সুশীল সমাজ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে ইতোমধ্যে ৫৩ জন গণমাধ্যমে বিবৃতিও দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা দাবি করেছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোগ এখনই শুরু করতে হবে। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হবে একটি আইন প্রণয়ন করা। আমরা আশা করি, সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করবে। নাগরিক হিসেবে মতামত প্রদানের মাধ্যমে আমরা এ ব্যাপার প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে পারি।

এদিকে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুশীল সমাজের দাবি করা আইন তৈরির প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এই যে সার্চ কমিটির কথা যা বলা হয়েছে, সেটা গঠন করা হয়েছিল সব রাজনৈতিক দলের অভিমত নিয়েই এবং সব রাজনৈতিক দল রাজি হওয়ার পরই গেজেট করা হয়। যদিও সার্চ কমিটির গেজেটটা আইন নয়, কিন্তু এটা যেহেতু সবার কনসেন্টের মাধ্যমে হয়েছিল তাই মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেটা গেজেট করেছিলেন। তাই এটি আইনের কাছাকাছি। আমি এমন কথা বলছি না যে নির্বাচন কমিশন গঠনে যে আইনের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে তা করা হবে না, কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি এবং সব কিছু মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে হতে হবে। তাই এখন এ আইন করাটা সম্ভব না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন সার্চ কমিটির মাধ্যমে করা হবে। তবে রাজনীতির মাঠে এই তর্কযুদ্ধ পাশ কাটিয়ে এই মুহূর্তে প্রথমে একটি নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে মনোনিবেশের কথা বলছেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা।

আইন তৈরি ও আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আইনমন্ত্রী বলছেন সময় নেই। এতে নাকি সংসদকে সংশ্লিষ্ট করতে হবে। সংসদকে যুক্ত করার এখন নাকি আর সময় নেই। কিন্তু সংসদকে সংশ্লিষ্ট না করেই তারা অনুসন্ধান কমিটি করে নিয়োগ দিয়ে ফেলবেন! এটা তো কোনোভাবেই হয় না, এ দুটো তো একত্রে যায় না। আমরা বলছি, এখনো অনেক সময় আছে। এটি একটি সংক্ষিপ্ত ও সহজ আইন। আমরা একটি খসড়াও করেছি। এটি অতি সহজেই অন্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করতে পারেন। তারপর সংসদে এর অনুমোদন হবে।’ 


রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাষ্ট্রপতি যদি সার্চ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে সেই কমিটির সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা। যেহেতু সিইসিসহ নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রথম ধাপ সার্চ কমিটি, তাই এ কমিটিকে কেন্দ্র করে কোনো বিতর্ক যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। তারপর সেই কমিটির কাজ হবে এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা, যাদের গ্রহণযোগ্যতা হবে সর্বজনীন। এ সার্চ কমিটির দায়িত্ব যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠন করা, সেহেতু সকল পক্ষের মতামত নিয়ে যদি সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশনের নাম প্রস্তাব করে, সেটিই সবার জন্য ভালো হবে। একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের কোনো বিকল্প নেই এমন বাস্তবতা মেনে নিয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। বর্তমান নির্বাচন আইনে, নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। চলতি আইনে নির্বাচন কমিশন চাইলে নির্বাচন বাতিলও করতে পারে, যা ভারতের নির্বাচন কমিশনও চাইলে পারে না। আমাদের শুধু কিছু ভালো, সৎ,নির্ভীক, সাহসী, মেরুদণ্ডী মানুষকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

যেভাবে গঠিত হয় সার্চ কমিটি

সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন এবং তারা সংবিধান ও আইনের অধীনে স্বাধীনভাবে কাজ করার বিধান। ইসি নিয়োগে আইন না হওয়ায় গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে আসছেন। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। বিগত সার্চ কমিটি গঠনের পরপরই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচটি নাম পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সব মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের নামের তালিকাও মন্ত্রীপরিষদ সচিবের কাছে চেয়েছিল গতবারের সার্চ কমিটি। একইভাবে সুপ্রিম কোর্টের নিবন্ধককে অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারকদের নামের তালিকা কমিটিতে পাঠানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল।

এ ছাড়া সার্চ কমিটির সদস্যরা নিজ বিবেচনায় যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সংগ্রহ করেন। সব নাম নিয়ে বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। তারপর তারা সুপারিশের তালিকা চূড়ান্ত করে। এ রকম আলোচনায় বিএনপিসহ ছোট-বড় সকল দলই অংশ নিয়েছিল। এবারও সে রকমই হবে বলে মনে করছেন অনেকে। বস্তুত নির্বাচন কমিশন গঠনের সম্পূর্ণ এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। ভালো এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে যদি একটি সার্চ কমিটি হয়, তাহলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রথম ধাপ তৈরি হয় বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির লক্ষ্যই হলো চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা: কাদের

প্রকাশ: ০৯:৩৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে।

শনিবার (৪ মে) রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে অভিযোগ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে ফাঁদ মনে করে, আর সে কারণেই তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়।  তিনি বলেন, বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাঁক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতাদখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে।’

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না। বরং জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি। 


বিএনপি   ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৫ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কার হওয়া পাঁচ নেতাকর্মী হলেন, পঞ্চগড় জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও বোদা উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব এবং বোদা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কলস মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, একই উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, বোদা ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল।

নোটিশে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সকল নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের সকল নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলমান। কিন্তু এর মাঝে যারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে না মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বহিষ্কার করেছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে তারেকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেতাদের

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে যারাই প্রার্থী হবে তাদেরকেই বহিষ্কার করা হবে। তারেক জিয়ার এই নির্দেশনার বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। হেভীওয়েট নেতারা বলছেন, এধরনের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং ঢালাওভাবে এধরনের সিদ্ধান্ত দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী, বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদেরকে দলের সিনিয়র নেতারা আশ্বস্ত করেছেন এ বিষয়টি তারা দেখবেন। আর এই আশ্বাসের কারণেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপির প্রার্থীরা সরে যাচ্ছেন না। তারা বুঝতে পেরেছেন এ সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনা করা হবে পুর্নমূল্যায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গীরাও তারেকের ওপর বিরক্ত

প্রথম দফায় বিএনপির ৬৩ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ৫ জন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। দ্বিতীয় দফায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৩ জন। তাদের মধ্যে থেকে মাত্র ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আর তৃতীয় দফায় বিএনপির ৬৮ জন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

অন্যান্য নির্বাচনগুলোতে যেমন বিএনপি নেতাদের হুমকির পর পরই প্রার্থীরা তাদের মনোন য়ন প্রত্যাহার করেন, এবার তা হচ্ছে না। দলের নির্দেশনা অমান্য করেই উপজেলা নির্বাচনের মাঠে বিএনপির প্রার্থীরা রয়েছেন। এর পেছনে একটি বড় কারণ হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিভক্তি। বিএনপির যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা মনে করছেন, এই নির্বাচন তাদের মধ্যে একটি সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। নির্বাচনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে প্রার্থী হিসেবে বহাল থাকতে পারলে তাদের জন্য জয় সহজ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। এই কারণেই দলের নির্দেশনা অমান্য করছেন।

আবার কেউ কেউ ভিন্ন চিন্তা থেকে নির্বাচন করছেন। তারা মনে করছেন যে, একের পর এক নির্বাচন বর্জনের কারণে নেতা-কর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে, সংগঠন দূর্বল এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরকম বাস্তবতায় যদি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যায় তাহলে কর্মী সমর্থকদের কাছে যাওয়া যাবে। দল সংগঠতিত করার জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। আর এই সুযোগ সৃষ্টি করতেই তারা উপজেলা নির্বাচন করছেন।

আরও পড়ুন: বিএনপির সরব নেতারাও এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন

বিভিন্ন প্রার্থীরা জানিয়েছেন, যখন তাদেরকে বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হয়েছে তখনই তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। একাধিক প্রার্থী দাবী করেছেনে, তারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের প্রতি নমনীয় এবং সহানুভূতিশীল বলে দাবী করেছেন অন্তত ৩ জন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাড়ানো প্রার্থী। দলের মহাসচিব তাদেরকে বলেছেন, ঠিক আছে, নির্বাচন করে জিতে আসুন তারপর দেখা যাবে।

আরও পড়ুন:  খালেদার বিদেশে চিকিৎসা: পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে?

অন্যদিকে কয়েকজন নেতা রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে, রুহুল কবির রিজভী তাদেরকে মোটেও উৎসাহিত করেননি। কয়েকজন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা দুজনই তাদেরকে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দেন। যদি তারা মনে করেন, তারা নির্বাচনে জয়ী হবেন তাহলে তারা নির্বাচন করতে পারেন এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে অনেক নেতাকে।

আর একারনেই উপজেলা নির্বাচন থেকে বিএনপি প্রার্থীরা সড়ে যাচ্ছেন না। তারা মনে করছেন যে, নির্বাচনে যদি ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, তাহলে শেষ পর্যন্ত তাদেরকে আবার দলে ফিরিয়ে নেয়া হবে।  


বিএনপি   তারেক রহমান   মির্জা ফখরুল   মির্জা আব্বাস   রুহুল কবির রিজভি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা দলগতভাবে নির্বাচন করবে না। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেননি এবং দলীয় প্রতীকও ব্যবহার করছে না। উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রথম ধাপের মনোনয়ন পত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উপজেলায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাতে গোনা দু’একজন। যেমন, তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ছাড়া বেশির ভাগ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরাই এ সিদ্ধান্ত মানেননি। তাদের আত্মীয় স্বজনরা প্রার্থী হয়ে আছেন। ইতিমধ্যেই আত্মীয় স্বজনের একটি নতুন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:  উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, স্ত্রী-পুত্র নিয়ে পরিবার। এর বাইরে যদি কেউ নির্বাচন করে তাহলে তাদেরকে আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ধরা হবে না। একই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এটিও বলেছেন যে, অনেকের আত্মীয় স্বজনরা ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের নেতা। কোথাও কোথাও তারা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান রয়েছেন। তাদেরকে বাঁধা দেওয়া যায় কিভাবে সে প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তুলেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, স্ত্রী, ভাই, বোন সবাইকে নির্বাচনে প্রার্থী করা ঠিক না। এর বাইরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বঞ্চিত হবে। আর এই প্রেক্ষিতেই এ স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন কোন আলোচনা করছে না।

আরও পড়ুন: স্বজন বলতে স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনটাকে সুষ্টু, অবাধ এবং অর্থপূর্ণ করার জন্য কৌশলগত কারনেই এখন কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না। তবে উপজেলায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় দেখা হবে। যেসমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা কতগুলো সুনির্দিষ্ট অপরাধ করবেন তাদেরই কপাল পুড়বে। কোন কোন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ উপজেলায় মন্ত্রী এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দিবেন তার একটি ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:  এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে মন্ত্রী-এমপিদের কপাল পুড়বে। যেমন..

১। যদি ঢালাওভাবে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলায় প্রার্থী করা হয়। যেমনটি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, স্ত্রী, পুত্র একসাথে যদি নির্বাচনে প্রার্থী হয় তাহলে সেই মন্ত্রী এমপিদেরকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

২। যদি কোন মন্ত্রী-এমপি তাদের পক্ষের প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতানোর জন্য প্রভাব বিস্তার করে তাহলে তাকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে।

৩। যদি মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগের বা অন্য কোন প্রার্থীর উপর চড়াও হয় বা সহিংসতা করে বা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সেক্ষেত্রে যেসমস্ত মন্ত্রী এমপিদের স্বজনরা এসমস্ত কাজে জড়িত থাকবেন তাদের কপাল পুড়বে।

৪। যদি মন্ত্রী-এমপিরা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রেও তাদের কপাল পুড়বে।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কৌশলী আওয়ামী লীগ

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলছেন, চটজলদি কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাসময়ে যথাযথভাবে সিদ্ধান্ত শৃঙ্খলা লঙ্ঘণকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা করবেন।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মন্ত্রী-এমপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় আরও ৬১ জন নেতাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। শনিবার (৪ এপ্রিল) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য ২য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বহিষ্কার হওয়া চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে- রংপুর বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৬ জন, ফরিদপুর বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন, সিলেট বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, কুমিল্লা বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন।

বহিষ্কার হওয়া সর্বমোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬ জন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৯ জন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৬ জন। ২য় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বহিষ্কার বিএনপি প্রার্থী ৬১ জন।

এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ার শুরুতে ৭৩ জনসহ সবমিলিয়ে ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।


বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন