ইনসাইড পলিটিক্স

চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ, বিস্মিত বিএনপি

প্রকাশ: ১১:২৫ এএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ, বিস্মিত বিএনপি

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের দেওয়া একটি বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটি চীনের রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্য নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ সরকার সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন ও মন্তব্যে গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর মতো আমরাও ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত।’

গতকাল শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া ভিডিও বক্তব্য বিএনপির গোচরীভূত হয়েছে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ সরকার সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন ও মন্তব্যে গণতন্ত্রকামী দেশবাসীর মতো আমরাও ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত।’

রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের প্রাণ আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতার মূল চেতনা হলো গণতন্ত্র, সাম্য, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার। জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন ক্ষমতাসীন গণবিরোধী এই অবৈধ সরকার গোটা দেশবাসীকে এসব অধিকার থেকে লাগাতারভাবে যখন বঞ্চিত করে চলছে, দেশের জনগণ যখন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে সোচ্চার, বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক মহল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো যখন লাগাতারভাবে এ সরকারকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে চলছে, ঠিক তখন চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের পক্ষে দেওয়া এই বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য দেশের মানুষকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও আহত করেছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা জনগণের সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র, প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বমূলক সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা, জবাবদিহি ও বাক্‌স্বাধীনতার মতো মৌলিক নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণ চর্চা করেছিল তাদের ভোটাধিকার। কিন্তু ক্ষমতাসীন এই অবৈধ সরকার তা ধ্বংস করে চলছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসপ্রাপ্ত। অর্জিত সংসদীয় সরকারব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা ও জবাবদিহি আদায়ের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের পথে বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীই আজ সবচেয়ে বড় বাধা। সরকারের কর্তৃত্ববাদী এ আচরণের কারণে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি আজ একটি গণধিকৃত ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।’

সরকারের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, অবাধ নির্বাচন, গণতন্ত্র তথা জনমতকে সরকার এতটাই ভয় করে যে জবাবদিহিবিহীন অস্বচ্ছ ঋণের টাকায় উন্নয়নের নামে লোক দেখানো মেগা প্রকল্পই সরকারের এখন একমাত্র স্লোগান। যা মূলত কর্তৃত্ববাদীদের দুর্নীতির উৎস। দেশের সংবিধান অনুযায়ী জনগণই রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক। কিন্তু গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা আর রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের মালিক জনগণকেই আজ পরিণত করা হয়েছে অধিকারবিহীন অসহায় প্রজায়।

রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, চীন তার নিজ দেশে কী ব্যবস্থা বহাল রাখবে তা একান্ত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ঐতিহ্যগতভাবে অবাধ নির্বাচন ও প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার চর্চার মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রীয় মালিকানা চর্চা করেছে ও করবে। কেননা, প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার প্রয়োগই হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ ও জনগণের ক্ষমতা চর্চার একমাত্র মাধ্যম, যার মাধ্যমেই রাষ্ট্র জনগণের কাছে জবাবদিহিতে আবদ্ধ থাকে। এটাই জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গণতন্ত্র চর্চার সর্বজনীন পন্থা। তাই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও দেশবাসীর প্রত্যাশা—অবাধ নির্বাচন, মানবাধিকার তথা গণতন্ত্রের স্বার্থে ও দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের জনগণের বন্ধুত্বের স্বার্থে গণবিরোধী ও গণবিচ্ছিন্ন জবরদস্তিমূলক এই অবৈধ সরকার নয়, দেশের প্রকৃত মালিক জনগণের পাশেই তারা সবসময় দাঁড়াবেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকায় চীনা দূতাবাসের ফেসবুক পেজে গতকাল শুক্রবার দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত গণতন্ত্র শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর মতে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আবার প্রশ্ন রয়েছে, গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করার যোগ্যতা যুক্তরাষ্ট্র রাখে কি না।

লি জিমিং আরও বলেন, বাংলাদেশ আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। যে দেশে একটি সরকারের যখন ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে, তখন তা যদি গণতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত না হয়, তাহলে হয়তো গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটি পুনর্মূল্যায়ন করার অথবা এই সংজ্ঞার পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে।

রিজভি   বিএনপি   চীন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বিএনপির যেসব বহিষ্কৃত নেতা

প্রকাশ: ০২:৪৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বুধবার (৮ মে) । বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলটির বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নেন। যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তবে ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত বেশ কয়েকজন নেতা।

দেখা গেছে, বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে পরাজিত করেছেন।

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুককে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ফারুক ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২টি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুটিতেই বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। গোমস্তাপুরে আশরাফ হোসেন আলিম ও ভোলাহাটে চেয়ারম্যান হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন রেজাকে পরাজিত করেছেন। আর আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেককে ভোটে হারিয়েছেন।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ আনাসর প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য।

গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন। তিনি পান ১৮ হাজার ৯৬৯ ভোট। মিলন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনকে পরাজিত করেছেন।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পান। সুহেল আহমদ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে পরাজিত করেছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান   উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপির ১০ স্বজনের জয়

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে তৃণমূলে যে দ্বৈরথ তৈরি হয়, তা উপজেলা নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে—এমন আশঙ্কায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত রাখতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচন থেকে বিরত থাকতেও নির্দেশ দেয় দলটি। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করার বিষয়ে অটল থাকেন মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা।

বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাদের মধ্যে ১০ জন জিতেছেন আর হেরেছেন চারজন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত-

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে জিতেছেন।

বগুড়া-১ আসনের এমপি শাহদারা মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল সারিয়াকান্দি উপজেলায় এবং ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।

পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কিছু ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।

খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার জামাতা রামগড় উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কারবারীও জয়ী হয়েছেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় নির্বাচনে লড়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী এবং মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাহজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান। তিনিও জয়ী হয়েছেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন আতাউর রহমান আতা। তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুবউল-আলম হানিফের চাচাতো ভাই।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচা ও এক চাচাতো ভাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়েন। তাদের মধ্যে জয়ী হন ছোট চাচা শফিকুল ইসলাম।

অন্যদিকে

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের এমপি শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই আব্দুল বাতেন ও ভাতিজা আব্দুল কাদের দুজন একই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে গেছেন।

টাঙ্গাইল-১ আসনের এমপি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই ধনবাড়ী উপজেলায় হারুনার রশিদ হিরা নির্বাচনে হেরে গেছেন।

নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক শরীফুল হক পলাশ উপজেলায় হেরেছেন। মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিবেশমন্ত্রী সাহাব উদ্দিনের ভাগনে সোয়েব আহমেদ বড়লেখা উপজেলায় পরাজিত হয়েছেন।

এর আগে, হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী অমি ও মুন্সীগঞ্জ-৩-এর এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবের চাচা আনিছ উজ্জামান আনিস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   মন্ত্রী-এমপি   স্বজন প্রার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাল আওয়ামী লীগের যৌথসভা

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হবে। দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


আওয়ামী লীগ   যৌথসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোটার খরায় সম্পন্ন প্রথম ধাপ

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথমধাপের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বুধবার (৮ মে)। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। নির্বাচন অনেকটা আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ফলে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটের মূল বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায় ভোটারের খরা।

বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। জাল ভোট দেওয়া, জবরদস্তি এবং ভোট কিনতে টাকা বিলানো, মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তার এসবের অভিযোগও ছিল।

মাদারীপুর সদর, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কিছু কেন্দ্রে সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় বোমাবাজি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। ভোটে অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ায় দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওই জেলার আরেক কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দুজনকে আটক করা হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোটের এদিনে রাত সাড়ে ১২টায় ১২২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম জানা গেছে। তাদের মধ্যে ১০১ জনই আওয়ামী লীগের।

দেশে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে ৪৪টি। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলিয়ে জাতীয় পার্টি, জেপি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি—এই চারটি দলের মোট ১২ জনের মতো দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ এবার তাদের কোনো প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক না দিলেও প্রতিটি উপজেলায় দলটির একাধিক নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রচারে উত্তেজনা ও প্রভাব বিস্তারের যে তথ্য ভোটের আগে ছিল, এর প্রায় সবগুলোর সঙ্গেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের নাম এসেছে।

গতকাল বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ চেয়ারম্যানসহ ২৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ উপজেলা ভোটের প্রথম পর্ব নিয়ে অখুশি নয়।

দলটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলবিহীন ভোটে ৪০ শতাংশ ভোট পড়লেই তারা সন্তুষ্ট থাকবেন। বরং ভোটের দিন বড় সংঘাত, প্রাণহানি হয়নি এটাই বড় সাফল্য। পরের পর্বগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

ভোট গ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে হতে পারে বলে প্রধান নির্বাচন। নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এমন ৩৪টি ঘটনায় ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম চার ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে থাকতে পারে। আর প্রথম দুই ঘণ্টার হিসাব জানিয়ে বলা হয়েছিল, ৭ থেকে ৮ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।

ভোটারের কম উপস্থিতির ব্যাখ্যায় সিইসি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে অনেকেই ধান কাটতে থাকায় ওরা ভোট দিতে আসেননি। সকালে বেশ কিছু জায়গায় ঝড়–বৃষ্টি হয়েছে, এটা একটা কারণ হতে পারে।’ ভোটের হার নিয়ে সন্তুষ্ট কি না, এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সিইসি।

উপজেলা নির্বাচনের ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম চারটি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল। সেগুলোতে ভোটারের উপস্থিতিও ছিল বেশি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে। সেবার ভোট পড়ে ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ। এবারও বিএনপি, জামায়াত, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ইসলামী আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো ভোট বর্জন করেছে।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার উপস্থিতি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে প্রথমবারের মতো দলীয় সিদ্ধান্তে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র ভোট করার সুযোগ দেয় আওয়ামী লীগ।

ইসির হিসাবে, জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। এই নির্বাচনের চার মাসের মাথায় উপজেলা নির্বাচন শুরু হলো। চার ধাপে ৪৫০টির মতো উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। সর্বশেষ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি সন্তোষজনক। অনেকের আশঙ্কা ছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচন খুনোখুনি–মারামারির মাধ্যমে সমাপ্ত হবে। প্রাণহানি ছাড়া একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।

২০১৯ সালে প্রথমবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ। সেবার পাঁচ ধাপে উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটারদের নির্বাচনবিমুখতা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত বলে তখন জাতীয় সংসদে বলেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

এর আগে, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশের মতো। সে বছর ছয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন হয়। দেড় দশক আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি তৃতীয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ গত দুই নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে কমেছে।

২০১৯ সালে প্রথমবার বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে। এর আগের নির্বাচনগুলোতে দলটির নেতারা অংশ নিয়েছিল। এরপর থেকেই ভোটারের উপস্থিতি কমতে থাকে। এবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৭৫ জন অংশ নিয়েছেন। তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করেছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের বেশির ভাগেরই উপজেলা ভোটে কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। দু-একটা দলের স্থানীয় নেতারা কিছু কিছু উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪–দলীয় জোটের একটি শরিক দলের শীর্ষ নেতা বলেন, অর্থ, প্রভাব, পেশিশক্তি ও লোকবল—এসব বিবেচনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে নামার মতো শক্তি তাঁদের নেই। এ ছাড়া প্রশাসন আওয়ামী লীগের নেতা ছাড়া অন্যদের খুব একটা পাত্তাও দেয় না। ফলে শুধু শুধু ভোটে নেমে লাভ কী?

এদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ উপজেলা ভোটের প্রথম পর্ব নিয়ে অখুশি নয়। দলটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলবিহীন ভোটে ৪০ শতাংশ ভোট পড়লেই তারা সন্তুষ্ট থাকবেন। বরং ভোটের দিন বড় সংঘাত, প্রাণহানি হয়নি—এটাই বড় সাফল্য। পরের পর্বগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, এখন ৪০ শতাংশ ভোটই একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। ভোটে প্রাণহানি এড়ানোই বড় সাফল্য মনে করেন তারা।

বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি সন্তোষজনক। অনেকের আশঙ্কা ছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচন খুনোখুনি–মারামারির মাধ্যমে সমাপ্ত হবে। প্রাণহানি ছাড়া একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে’।

তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, উপজেলার এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও ভোট নিয়ে মানুষের মধে৵ আস্থার সংকট রয়েছে। সে কারণে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার নির্বাচনেও ভোটারের উপস্থিতি কম।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একসময় বাংলাদেশের নারীদের দল বেঁধে ভোট দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে খবর হতো। এখন আস্থাহীনতার কারণে ভোটার আসে না। কারণ, ভোট দিতে পারবে কি না, দিলে সঠিকভাবে গণনা হবে কি না এবং ফলাফল পাওয়া যাবে কি না, সেই আস্থাহীনতা আছে।

তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বর্জনও ভোটার কমিয়ে দিয়েছে। মূলত নির্বাচন কমিশন ও ভোট-ব্যবস্থার ওপর আস্থাহীনতার কারণে দলগুলোও ভোট বর্জন করছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য দুঃসংবাদ।


উপজেলা নির্বাচন   ভোটার খরা   ইসি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়াকে বিদেশ নিতে এবার লবিস্ট ফার্ম

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার দাবি বিএনপির দীর্ঘদিনের। শুধু দাবি নয়, এ নিয়ে বিএনপির তদবিরও করছে। সরকারের সাথে পর্দার আড়ালে নানা রকম আলাপ আলোচনাও চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। আর বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য তাঁকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি যেন সরকার দেয় এ জন্য দুটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই লবিস্ট ফার্মের একটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক, অন্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক। এই লবিস্ট ফার্মগুলো যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করবে এবং বাংলাদেশ সরকারের ওপর যেন এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয় সে জন্য চেষ্টা করবে। 

তবে বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি নয়, বরং তাঁরা সরকারের সাথে এই ইস্যুটি নিয়ে আলাপ আলোচনা করব, একটা সম্মানজনক সমাধানের জন্য চেষ্টা করবে। উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে সবচেয়ে বেশি তৎপর। তিনি ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং যে কোন শর্তে তিনি রাজি আছেন এমন বার্তাও দিয়েছেন। 

তবে বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপি নেতারা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিপক্ষে। এ নিয়ে তারা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। আর এ কারণেই শেষ চেষ্টা হিসেবে দুটি লবিস্ট ফার্মের দ্বারস্থ হয়েছে। এই দুটি লবিস্ট ফার্ম প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগে যারা প্রভাবশালী তাদের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য যেন তারা সরকারের সঙ্গে একধরনের দর কষাকষি করে সেজন্য চেষ্টা করবে। 

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের লবিস্ট ফার্মটি লেবার পার্টির সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তারেক জিয়া সরাসরি এই লবিষ্ট ফার্মের সঙ্গে কথা বলছেন বলেও জানা গেছে। এই লবিষ্ট ফার্মের কাজ হবে যে, তারা যুক্তরাজ্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার জন্য সরকারকে রাজি করাবে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লবিষ্ট ফার্মটির প্রধান কাজ হবে সরকারের ওপর এ সংক্রান্ত চাপ সৃষ্টি করা যেন সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখার জন্য হলেও বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে রাজি হয়। 

তবে সরকারের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সরকার এ ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থানের কোন পরিবর্তন করেনি। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারক বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক নয়। এটি আইনগত বিষয়। তার মতে, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি পথ খোলা রয়েছে। প্রথমত, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি যদি তাঁর ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করেন তাহলে তার দণ্ড মওকুফ হয়ে যাবে। তখন তিনি একজন মুক্ত ব্যক্তি হবেন এবং মুক্ত ব্যক্তি হিসাবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন। 

দ্বিতীয় উপায় হলো কেগম খালেদা জিয়া আদালতের আশ্রয় নিবেন। আদালত যদি তার দণ্ড স্থগিত করে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয় সেক্ষেত্রে সরকার বাঁধা দিবে না।

তৃতীয়ত, বেগম খালেদা জিয়া যদি তার বর্তমানে যে নির্বাহী আদেশের জামিন সেই জামিন প্রত্যাহারের আবেদন করেন এবং তিনি কারাগারে যান, সেখান থেকে তিনি নতুন করে আবেদন করলে সেই আবেদন সরকার বিবেচনা করবে। তবে বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা এই তিন সমাধানের কোনটিতে যেতে চায় না। বরং সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিবে এটি তারা প্রত্যাশা করে। আর শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্ম কতটুকু সফল হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

খালেদা জিয়া   লবিস্ট ফার্ম   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন