নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৪ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৭
পর্দা নামছে চমকে ভরপুর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক মেগা ইভেন্ট ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’- এর। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী আয়োজিত এ ইভেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার।
পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭ শুরু হয় গত বুধবার।
চার দিনের এ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের সমাপ্তি ঘটছে ৯টি সেশনের মধ্য দিয়ে। সেশনগুলো হলো- আইটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প, দ্য প্রসপেক্ট অ্যান্ড চ্যালেঞ্জ অব ডিজিটাল কারেন্সি ইন বাংলাদেশ, এপিআইসিটিএ ইয়ুথ কার্নিভাল, অগমেন্টেড রিয়েলিটি অ্যান্ড ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ডিজিটাল মার্কেটিং ফর ফিউচার, ডিজিটাল অপরচুনিটি অব ইয়োথ, টুমরোস স্কিল টু গেট রেডি ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভোলেশন, ইনোভেশন ইন গভার্মেন্ট এবং ক্লোজিং সিরিমনি (অ্যাওয়ার্ডস নাইট)।
এ আয়োজনের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘রেডি ফর টুমরো’। আইসিটি খাতের গত ৯ বছরের অর্জন তুলে ধরা হয়েছে এ উৎসবে। এছাড়া মেলায় প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবন ও অর্জন তুলে ধরা হচ্ছে। গেমিং সম্মেলন, ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা বৃদ্ধি, ই-কমার্স সম্প্রসারণ বিষয়ক সেমিনারসহ মেলায় প্রতিদিন অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন সেমিনারে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/টিবি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পরিবেশের ওপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রভাব মোকাবিলার একটি উপায় হয়তো খুঁজে পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা।
ক্রমবর্ধমান বিপুল পরিমাণ খাদ্যচাহিদা পূরণে চাষাবাদের জন্য প্রচুর জমির প্রয়োজন। কিন্তু জমি তো সীমিত।
এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি নতুন হাইব্রিড খাদ্য উদ্ভাবন করেছেন। ধানের ভেতরে গরুর মাংসের সমন্বয়ে এই হাইব্রিড খাদ্য গঠিত।
গবেষণাটি ম্যাটার নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নসি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ার সোহেয়ন পার্ক।
গবেষণাগারে উদ্ভাবিত খাবারটি দেখতে মাংসের কিমা ও ভাতের এক অদ্ভুত সংমিশ্রণের। তবে খাবারটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান।
বিজ্ঞানসংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইট সায়েন্স অ্যালার্টকে গবেষণাটি সম্পর্কে বিজ্ঞানী পার্ক বলেন, কোষ-কালচারড প্রোটিন চাল থেকে মানুষের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়ার কথা ভাবুন। ভাতে এমনিতেই উচ্চমাত্রায় পুষ্টি উপাদান আছে। কিন্তু প্রাণিসম্পদ থেকে কোষ যুক্ত করে এই পুষ্টি উপাদানকে আরও বাড়ানো যায়।
পার্ক আরও বলেন, এই খাদ্য তৈরি একটু শ্রমসাধ্য ব্যাপার। তবে এই খাদ্য একদিন খাবারের ওপর চাপ কমাতে পারে।
গবেষণা দলের ভাতকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো—এটি মানুষের প্রধান একটি খাদ্য। এতে ৮০ শতাংশ শ্বেতসার, ২০ শতাংশ প্রোটিনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই খাবার দেখতে গোলাপি রঙের। গবেষকেরা বলেছেন, এই চাল সস্তা, নিরাপদ, আরও টেকসই পরিবেশসম্মত মাংসের বিকল্প হতে পারে। জলবায়ু সংকটের মধ্যে মানুষ যেভাবে খাচ্ছে, তাতে একটা বদল আনতে পারে এই চাল।
মন্তব্য করুন