প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, মাঙ্কিপক্স কোন নতুন রোগ না, এটা অনেক পুরনো একটা ভাইরাস। এটা ১৯৭০ সালে প্রথম কঙ্গোতে পাওয়া গেছে, পরে আফ্রিকাতে পাওয়া গেছে। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি সাধারণত বানর থেকে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। ইদানীং একটু উদ্বেগের কারণ হলো পূর্বে এটা শুধু আফ্রিকাতে ছিল কিন্তু এটা এখন আর আফ্রিকাতে নয় সারা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বেশকিছু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে দেখে মানুষের মধ্যে একটু ভয় ঢুকেছে।
দেশে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের ঝুঁকি, প্রতিরোধে সতর্কতা এবং মাঙ্কিপক্সের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিং।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মাঙ্কিপক্স রোগটি কোনো সিরিয়াস বা জটিল না। করোনার মতো ছড়ানোর অতোটা ঝুঁকি নাই। তবে সর্তক থাকতে হবে, আমাদের সচেতন থাকতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নাই। যদিও বলা হচ্ছে রোগটি বানর থেকে এসেছে কিন্তু আসলে বানর থেকে না। এটি মূলত হয় ইঁদুর থেকে, কাঠবিড়ালি, সজারু এইগুলো থেকে হয়। এই সমস্ত প্রাণীর সংস্পর্শে আসলে বা এরা যদি কামড় দেয়, আঁচড় দেয় তাহলে একটা ঝুঁকি থাকে। আর মানুষ যদি আক্রান্তও হয় তাহলে মানুষে মানুষে আক্রান্তের ঝুঁকিটা কম, বেশি না তবে আক্রান্ত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রোগীর কোনো রক্ত বা ঘা যদি থাকে তাহলে সরাসরি সংস্পর্শে বা তার ব্যবহার্য কোনো জিনিসপত্রের মধ্য দিয়ে ছড়াতে পারে। কিন্তু তাতেও ঝুঁকিটা অনেক কম এবং এক্ষেত্রে অনেক রেয়ার। তবে জনগণকে খেয়াল রাখতে, সচেতন থাকতে হবে। এই রোগটি খুব একটা সিরিয়াস না, অধিকাংশ রোগী দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়।
মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এই রোগটি হলে গায়ে একটু রেশ হয়, চুলকায়, পস্ক যেমন হয়, বসন্ত যেমন হয়, এরকম ফসকা হয়, পানি পানি হয়, দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে শুকায় যায়, সুস্থ হয়ে যায়। এটা কোনো ভয়ের কোনো কারণ নাই। তবে জনগণকে ঢিলেঢালা করা যাবে না, কেউ যদি কারো ক্ষেত্রে যদি এমন সন্দেহ হয় তাহলে পস্কের রোগীদের আমরা যেমন আলাদা করে রাখি, মশারি দিয়ে রাখি এ রকম আইসোলেশন করে রাখতে হবে। এটা শুধু তার জন্য নয় তার মাধ্যমে যেন অন্যজন আক্রান্ত না হয় সেজন্য। করোনার মতো জটিল না। করোনা হলে যেমন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, আইসিইউ লাগবে এ ধরনের কোনো কিছু দরকার হয় না। যেহেতু রোগটা সিরিয়াস না এক্ষেত্রে প্রতিকার ও প্রতিরোধই বড় ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।