ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেছেন, পদ্মা সেতুর টোল কতো বছরে উঠবে এসব তো হিসাব করে লাভ নেই। কারণ শুধু ব্রিজের টোল দিয়ে কখনো টাকা উঠে আসবে না। ব্রিজের দাম উঠে আসবে পদ্মা সেতু হওয়ার পর এই যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হবে এবং ওই জেলাগুলোতে শিল্পায়ন হবে তার মধ্য দিয়ে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যে মালামাল আসা-যাওয়া করবে, ওই অঞ্চলের কৃষিভিত্তিকসহ অন্যান্য যা আছে, এই সমস্ত দিয়ে টোল উঠে আসবে।
পদ্মা সেতুর টোল নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত বলেন, আমি যখন পদ্মা সেতুর হিসাব নিয়ে কাজ করি তখন এই সেতুর টোলের হিসাব নিয়েও কাজ করেছি। অর্থনীতি সমিতির ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত আমার বইয়ের ২৩ নম্বর পৃষ্টায় উল্লেখ করা আছে। সেখানে আমি সারণি-৩ এ দেখিয়েছি যে, পদ্মা সেতুতে সম্ভাব্য যান চলাচল সংখ্যা, টোল মোট আদায় প্রথম বছরে প্রতিদিন। আমার ওই হিসাবে, প্রথম বছরে প্রতিদিন ট্রাক যাবে ৩৩৮৯টি এবং টোল দিবে ১৯৪৯ টাকা। এটা ২০১২ সালের হিসাব ধরে।
তিনি বলেন, বাস প্রতিদিন যাবে দুই হাজার ৮ শত বার টি, তারা টোল দিবে ১৫৮৩ টাকা। হালকা যান (কার) ১৬৩৩টি। তারা টোল দিবে ৮১২ টাকা। এখন এই যে একটা ফিগারে বলার হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার। আমি যে হিসাব করেছি সেখানে আমার হিসাবে সর্বোচ্চ ১৯৪৯ টাকা। এটা ছিল ২০১২ সালে। তাহলে এখন দুই দিয়ে গুণ করলে হচ্ছে ৩৮০০ টাকা বা প্রায় চার হাজার টাকা। আমি জানি টোলের এই হিসাবটা প্রাথমিকভাবে বেশি বলা হয়েছে। এটা নিয়ে সবাই একটু চিল্লাচিল্লি করবে। প্রধানমন্ত্রী এটা কমিয়ে দিবে। সেটা অনেকটা হুবহু আমার ফিগারের সাথে ম্যাচ করবে।
অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত আরও বলেন, ২০১২ সাল আর এখন ২০২২ সাল এই দশ বছরে তো অনেক কিছুর তারতম্য হয়েছে। এখন ডলারের দাম এক নাই। তখন আমি ৮২ টাকা ডলারের দাম ধরে করেছি কিন্তু এখন তো ডলারে দাম ৯০ টাকা। তার মানে আমার ট্রাকের হিসাব ওখানে যা দেওয়া আছে সেটা এখন সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার বা চার হাজার টাকা হওয়া উচিত। বাসের হিসাব ১৫৮৩ টাকা দেওয়া আছে। এটা ২৫০০ হওয়া উচিত। আর হালকা গাড়ি ৮১২ টাকা দেওয়া আছে সেটা এখন ১২০০ টাকা হওয়া উচিত। এর বেশি নয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।