আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি তাদের শাসনামলে পদ্মা সেতু তৈরি করার কোনো উদ্যোগ তো গ্রহণ করেই নি বরং বাংলাদেশে পদ্মা সেতু যেন না হয়, সেজন্য সমস্ত ধরনের কর্মকাণ্ড বিএনপি করেছে। নানা রকম অপপ্রচার এবং অপচেষ্টা তারা করেছে। বিএনপির শাসনামলে পদ্মা সেতু করতে না পারা ছিল বিএনপি-জামায়াত, খালেদা জিয়া জোট সরকারের একটা চরম ব্যর্থতা এবং অবহেলা। যেটা সারা বাংলাদেশের মানুষের পাশাপাশি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ পর্যবেক্ষণ করেছে এবং জাতি তাদের এই কর্মকাণ্ড দ্বারা মারাত্নক হতাশ হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়া পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন- বিএনপির এমন দাবির প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথা বলেন। পাঠকদের জন্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সেসময় ওই অঞ্চলের মানুষের যে আবেগ-অনুভূতি সেটা তারা উপলদ্ধি করতে পারেননি। এখন তাদের সে ব্যর্থতার দায় ঢাকার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচারের ভিতর দিয়ে বিএনপি নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার একটা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের এই অপপ্রচার কোনো কাজে লাগবে না, ব্যর্থ হবে।
তিনি আরও বলেন, মিথ্যাচার করাই হচ্ছে বিএনপির প্রধান এবং অন্যতম কাজ। দলটির মধ্যে মিথ্যাচার চরিত্র দিয়ে ভরে গেছে। অপপ্রচার আর গুজবের ফ্যাক্টরিতে বসে উনারা শুধু অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং সেটা তাদের নিত্য-নৈমিত্তিক কাজে পরিণত হয়েছে বলে আমি মনে করি। যেকারণ তারা ইতিহাসকে অস্বীকার করে বিকৃত ইতিহাস তৈরি করার অপচেষ্টা করছে। এখন পদ্মা সেতুর ইতিহাসকে ভিন্ন পথে পরিচালনা করে নিজেদের জন্য বিকৃত ইতিহাস তৈরি করছে। বিএনপি নিজেদের সফলতার গাওয়ার এই মানসিকতা ভিন্ন কিছু নয়। এটা তাদের মধ্যে আগেও ছিল এবং এখনো আছে।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যাপারে দেশের ১৭ কোটি মানুষসহ সারা বিশ্ব জানে ২০০১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পদ্মার মাওয়াঘাট প্রান্তে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের খবর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সমস্ত মিডিয়াতে এ সম্পর্কিত তথ্য প্রচারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের পাঁচ বছরের শাসনামলে শুধু টালবাহানাই করেছে, তারা কোনো উদ্যোগই নেয়নি। তারা একবার বলেছে পাটুরিয়া ঘাট, অন্যবার বলেছে আরিচাঘাট, আরেকবার বলেছে মাওয়া ঘাট। নানা জায়গায় নানান রকম কথা বলে বিএনপি সময়ক্ষেপণ করেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।