ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের
পজিটিভ ডেভেলপমেন্টের একটা ভবিষ্যৎ আছে এবং আসলে এটা হচ্ছে কি না তা নির্ভর করবে জনগণের
ওপর।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক
‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস জানুয়ারি ২০২৩’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জিডিপি অর্জনে চীন-জাপান-যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এসব
কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার
এর নিজস্ব প্রতিবেদক আল মাসুদ নয়ন।
বিশ্ববাংকের
এমন প্রতিবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য? এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন,
বিশ্বব্যাংক এ ধরনের প্রতিবেদন রাজনৈতিক চিন্তা থেকে প্রকাশ করেছে এটা চিন্তা করা ঠিক
হবে না। কারণ যারা বিশ্বব্যাংকে কাজ করেন, তাদের যে সব ক্যাটাগরি রয়েছে, তা দেখে তারা
কাজ করেন। আবার যখন লোন দেয়, তার মধ্যে রাজনীতি থাকতেই পারে। কিন্তু এই ধরনের, কার কত
গ্রোথ হচেছ এটা নির্ভর করে আমার গবেষণা কতখানি স্বচ্ছ অথবা গবেষণাগুলো কি দেখছে ইত্যাদি
ইত্যাদি।
তিনি বলেন,
এটা আমার মনে হয় না, এটা রাজনীতির সাথে সরসরি কোনো সম্পর্ক আছে। যেটা বলা যায়, বিশ্বব্যাংক
যেহেতু বলছে যে জিডিপি গ্রোথ হবে, শুধু বিশ্বব্যাংক নয়, আরও যারা আছে এগুলো নিয়ে কাজ
করে, তারা সবাই মোটামুটি বলছে, বাংলাদেশের পজিটিভ ডেভেলপমেন্টের একটা ভবিষ্যৎ আছে এবং
সেটা নির্ভর করবে জনগণের ওপর, আসলে এটা হচ্ছে কি না।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু বিশ্লেষণের সাথে ওই লোনের ব্যাপারটা সরাসরি এক করা ঠিক হবে না। কারণ লোনের মধ্যে থাকতে পারে, কে কাজ করবে বা করবে না। যে লোনটা দিবে সেখানে ঠিকাদাররা কারা হবে? ঠিকাদার আমেরিকার হবে না কানাডার হবে, ওইগুলো উঠে আসে। সুতরাং বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের সাথে সরাসরি লোনের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ-জ্বালানির সংকট এবং বিএনপি আন্দোলনে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির যে ব্যাপারটি যোগ করেছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সেটা কতটা গ্রহণযোগ্য? -এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসলে বিরোধিতা করা এক জিনিস এবং পরিকল্পনা দেয়াটা আরেক জিনিস। এমনিতে চাইলে যে কোন জিনিসেরই বিরোধিতা করা যায়। কিন্তু বিরোধিতা করে কিছু লোকের সমর্থন হয়তো পাওয়া যেতেও পারে। কিন্তু প্রশ্ন থাকবে যে, কে কিভাবে এর সমাধান করবে।
অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, জনগণ আমার মনে হয় না, এই ব্যাপারটি দেখে। জনগণ বিদ্যুতের বাড়তি দাম তখনই মেনে নিতে পারবে যখন, তার আয়ের তুলনায় এই মূল্য বৃদ্ধি সহনীয় হবে। কিন্তু বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধি এমন আকারে হচ্ছে না যেখানে জনগণের বড় আকারে ক্ষতি হবে। বড় আকারে যখন ক্ষতি হবে তখন বিএনপি বলুক কিংবা না বলুক জনগণ এমনিতেই সেটার বিরোধিতা করবে। কোন দল বিরোধিতা করছে বলে করবে না।
দলের কাছ থেকে যেটা আশা করা যায় এবং যেটা উচিত সেটা হল, সে কি পরিকল্পনায়, বিশ্বে যেখানে বিদ্যুতের সংকট, সেখানে তার কি কোন ম্যাজিক ফর্র্মুলা আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সেই ফর্মুলাটি কি? সেটি যদি না বলতে পারে তাহলে আমার মনে হয় না শুধু এসব রাজনীতিক কথা জনগণ খুব একটা আমলে নিবে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ উন্নয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাক্ষাৎকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।