সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু সিনেমা, যেমন- আয়নাবাজি, মুনপুরা, তামিল সিনেমা ৯৬, জোকার এবং অতি সম্প্রতি বলিউড চলচ্চিত্র থি ইডিয়টসের রিমেক বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তে বেশ আলোচনায় এসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদ। পাঠকদের জন্য ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন- এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার- এর নিজস্ব প্রতিবেদক কাজী অহনা।
প্রশ্নঃ আপনার
সিনেমা রিমেকের যাত্রা কবে থেকে শুরু এবং এই যাত্রায় কি কি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন?
উত্তরঃ আমি তো বর্তমানে শুধু সিনেমা রিমেকের কাজ করছি। আমার অভিনয়ের শুরু ২০১৬ সাল থেকে। শুরুর দিকে আমার পরিবার কিংবা আশেপাশের মানুষজন থেকে খুব একটা সাপোর্ট পাইনি। পরবর্তীতে যখন ধারাবাহিক ভাবে কাজ গুলো করতে থাকি নিজের অদম্য ইচ্ছে নিয়ে, এরপর দেখলাম মানুষজন আস্তে আস্তে আমাকে সাপোর্ট করতে শুরু করে। তবে রিমেকের ক্ষেত্রে অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলে, যে এইগুলো কোনো মৌলিক কাজ না। তাদেরকে আমি বলবো, একটি সিনেমার বাজেট থাকে শতকোটি টাকা, সেই সিনেমা আমরা জিরো বাজেটে করি। এইজন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। একটি নেগেটিভ কথা বলার আগে ভাবা উচিত কেননা কাজটি করতে অনেক ধৈর্য, পরিশ্রম ও সময় লাগে।
প্রশ্নঃ পরবর্তীতে
নিজের মৌলিক কোনো কাজের পরিকল্পনা আছে?
উত্তরঃ জ্বী অবশ্যই। খুব সম্ভবত সামনের মাসেই আমরা মৌলিক কাজ শুরু করবো। এরজন্য আমরা নোয়াখালীতে একটি শ্যুটিং এর পরিকল্পনা করেছি। পুরো টিমের সাথে আলোচনা করে বাকি সিদ্ধান্ত আমরা খুব দ্রুত নিয়ে নিবো।
প্রশ্নঃ ব্যক্তিগত
ভাবে আপনার প্রথম যেই কাজটি আমার চোখে পড়েছে, সেটি হলো হূমায়ন ফরিদী স্যারের একটি ছবি
আপনি রিক্রিয়েট করেছিলেন, ৫০ বছর আগে ও পরে। পরবর্তীতে হূমায়ন ফরিদী স্যারের কোনো সিনেমা
রিমেক করার পরিকল্পনা আছে আপনার?
উত্তরঃ হূমায়ন ফরিদী স্যারের সর্বশেষ কাজ দেখেছি ‘জয়যাত্রা’। সেখানে তাঁর ‘পঞ্চানন সাহা’ চরিত্রটি করার পরিকল্পনা আছে। তিনি নিঃসন্দেহে একজন দূর্দান্ত অভিনেতা, তাঁর সব কাজ ই আমার পছন্দ, তবে এই চরিত্রটি আমাকে ভাবাচ্ছে।
প্রশ্নঃ সাম্প্রতিক
সময়ে আপনার করা থ্রি ইডিয়টসের রিমেক নিয়ে একটু কথা বলি। রিমেকটিতে এত মিলিয়ে কাস্ট
কীভাবে পেয়েছেন? কাস্টিং এর ক্ষেত্রে কি আপনাদের আলাদা কোনো টিম আছে?
উত্তরঃ কাস্টিং সিলেকশন গুলো মূলত আমি ই করে থাকি। থ্রি ইডিয়টসের পরিকল্পনা করার পর আমি সিনেমাটি পূনরায় দেখি। এবং তখন থেকেই ভাবতে শুরু করি, কোন চরিত্র কাকে ভালো মানাবে। আমার রিমেকটিতে ‘রাজু’ চরিত্রটিতে যে অভিনয় করেছে, সে আমার বিভাগের ই বন্ধু, শরীফ। আরেকটি চরিত্রের কথা না বললেই না, সেটি হলো রাজুর মায়ের চরিত্র। এটি করেছেন আমার বিভাগের ছোট বোন। আমি যখন ভাবছিলাম এই চরিত্রগুলো কার সাথে ভালো মানায়। তখন ব্যক্তি পর্যবেক্ষনের জায়গা থেকেই আমার মনে হয়েছে তাঁদের সাথে এই চরিত্রগুলো ভালো যায়। এভাবেই আসলে আমার আশেপাশে যার সাথে যেই চরিত্রগুলো ভালোভাবে যায়, তাঁদের সবার সাথে কথা বলে, তাঁদের সুবিধামত অবসর সময়ে কাজ গুলো করেছি।
প্রশ্নঃ এখন
পর্যন্ত আপনার করা কাজের মধ্য থেকে, আপনার সবচেয়ে পছন্দের কাজ কোনটি? এবং সেই কাজের
ক্ষেত্রে আপনার বিশেষ কোনো স্মৃতি আছে?
উত্তরঃ সবগুলো কাজ ই নিজের সন্তানের মত, খুব ই প্রিয়। যদি বিশেষ করে বলতে হয় তবে বলব ‘জোকারের’ কথা। হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা ‘জোকার’, এই সিনেমার চরিত্রটি অস্কার ও পেয়েছে। এই সিনেমা রিমেক করতে গিয়ে একটি ঘটনা স্মরণীয় ছিলো। সেটি হলো ‘জোকারের’ ড্রেস টা আমি বাংলাদেশের কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। প্রায় একমাস আমি এই ড্রেস খুঁজেও পাইনি। পরবর্তীতে আমার চারুকলার বন্ধুদের দিয়ে এই ড্রেসটি তৈরী করিয়েছিলাম। এটা আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ও স্মরনীয় ছিলো।
প্রশ্নঃ এখন
পর্যন্ত আপনার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী?
উত্তরঃ সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মানুষের ভালোবাসা। এটাই আসলে উদ্দ্যেশ, কাজের মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা অর্জন করা।
প্রশ্নঃ খুব
শীঘ্রই আমরা আপনার নতুন কোনো কাজ দেখতে পাচ্ছি কি?
উত্তরঃ খুব
শীঘ্রই ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে চঞ্চল চৌধুরী স্যারের ‘লাল খাম বনাম নীল খাম’
নাটকটির রিমেক করার পরিকল্পনা করছি। এবং এর পরেই আমরা আমাদের মৌলিক কাজ শুরু করবো।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।