‘দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের ১৩টি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষায় কেউ কেন পাশ করেনি এ বিষয়টি আমাদের ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে চিঠি দিবে, যেমন রাজশাহীতে ৯টি, আমাদের আছে ১৩টি বা ১৫টি- এমন বিভিন্ন জায়গায় মিলিয়ে বোধহয় ৫০টি কলেজ রয়েছে, যেখানে কেউই পাশ করেনি। কেন পাশ করেনি প্রথমে এ নিয়ে তদন্ত হবে। তারপর বোঝা যাবে। এসএসসিতেও কিন্তু অনেকগুলো পাশ করেনি বিভিন্ন জায়গায়। প্রথমত আমরা মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো। তাদের যদি কোনো সহায়তা লাগে যে, কেন পাশ করছে না, শিক্ষক নাই, বা ঘরবাড়ি নাই, না ছাত্র নাই?- সেটা আগে দেখতে হবে। আমরা ওদের পানিশমেন্টটা আসলে ওইভাবে দিতে চাই না। আমরা চাই যে, তারা কেন ফেল করলো, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কেউ কেন পাশ করলো না- সে কারণগুলো ক্ষতিয়ে দেখে সেই ব্যবস্থাগুলো মন্ত্রণালয় এবং আমরা করে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি।’- বলছিলেন দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম।
গতকাল
প্রকাশিত হয়েছে এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার
ফলাফল। এই পরীক্ষায় দিনাজপুর
শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসিতে ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে
কেউ পাস করেনি, তারা
কেন পাশ করেনি, কলেজ
কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি আছে
কি না? এ অবস্থা
থেকে উত্তরণের জন্য কি ধরনের
ব্যবস্থা নেওয়া উচিত- এসব বিষয় নিয়ে
বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হয়েছে
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম-এর সঙ্গে। তিনি
বাংলা ইনসাডারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায়
জানিয়েছেন দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় ১৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে
কেন কেউ পাস করেনি,
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কি
ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এসব
বিষয়। পাঠকদের জন্য প্রফেসর মোঃ
কামরুল ইসলাম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক
আল মাসুদ নয়ন।
প্রফেসর
মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, যেসব কলেজগুলো থেকে
কেউ পাশ করেনি- সে
অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রথমত,
তারা কেন পাশ করেনি
সে কারণগুলো আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।
দ্বিতীয়ত যদি কোনো ধরনের
গাফিলতি থাকে, যেমন শিক্ষক আছে,
তারা হয়তো ক্লাস নিচ্ছেন
না, বা কলেজে আসেন
না। যদি সে রকম
হয়, তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
আর যদি তাদের কোনো
ঘাটতি থাকে, যেমন তাদের শিক্ষকই
নাই, ঘর-দোয়াড় নাই বা অনেক
সময় দেখা গেলো, ছাত্র
একজন বা দুইজন- এ
রকম কলেজও কিন্তু আছে। সেই ব্যাপারগুলো
ক্ষতিয়ে দেখে আমরা বরং
সহায়তামূলক ব্যবস্থা নিতে চাই, যাতে
ভবিষ্যতে তারা যেন এই
কলেজগুলো থেকে পাশ করতে
পারে। তারা শিক্ষক, ওই
কলেজের যে প্রিন্সিপাল এবং
কলেজের যে গভর্নিং বডি
আছে, তারা সক্রিয় যেন
থাকতে পারে। ওখানকার প্রশাসন যারা আছে, তারাও
যেন সক্রিয় থাকতে পারে এবং কলেজগুলো
যেন ভবিষ্যতে ভালো চলে। আমরা
কলেজগুলো নিয়ে পজেটিভলি ভাবতে
চাই।
পরীক্ষাকে
কেন্দ্র করে, কলেজ বা
স্কুলগুলোতে কোচিং বাণিজ্য হয়, সেখানে অর্থ
দিয়ে যদি কোনো ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ না করে, তবে
কলেজ কর্তৃপক্ষের তাদের ব্যাপারে গাফিলতি পরিলক্ষিত হয়, সে ব্যাপারে
কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে
বলে আপনি মনে করেন?-
এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম
বলেন, আমাদের একটা মিটিং হয়েছে,
সেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, কোচিং সেন্টারগুলো
পরীক্ষার আগে অন্তত একমাস
বন্ধ থাকবে। কোচিং সেন্টার যে একেবারেই বন্ধ
হবে সেটা নয়, অনেক
দুর্বল ছাত্র আছে, যারা
কোচিং সেন্টারগুলোতে গিয়ে নিজেরা উপকৃত
হয়। আবার কলেজগুলো তারা
নিরেজরাই যদি ক্লাস না
নিয়ে সেদিকে নজর দেয়, তো
সেই ব্যাপারে আমাদের ভাবা উচিৎ। শুধু
ক্লাস বাদ দিয়ে কোচিং
করানো কলেজে বা স্কুলে-এইটা
যদি হয়, তাহলে সেই
ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিব
বা আমাদের মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিবে।
তিনি
বলেন, বাইরের কোচিংগুলোর ব্যাপারে আমরা বলতে পারি
যে, পরীক্ষার এক মাস আগে
বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে স্কুল-কলেজে কোচিং চালানোর ব্যাপারটা- এক সময় একটা
নিয়ম চিল যে, যারা
দুর্বল ছাত্র, এমন একটা চিঠি
এসেছিল, তাদের ক্ষেত্রে এক্সট্রা ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। এরকম
ছিল যে, যারা দুর্বল
ছাত্র-ছাত্রী, তারা স্কুল বা
কলেজে ক্লাস করে নিজেদের উন্নতি
করতে পারছে না, তাদের ক্ষেত্রে
অভিভাবকের আবেদনের মাধ্যমে তারা যদি শ্রেণিকক্ষের
বাইরে অন্য কোথাও অংশগ্রহণ
করে, তাহলে সেটার অনুমতি রয়েছে- এমন একটা ব্যাপার
ছিল। তবে দেখা যাচ্ছে
যে, এটাকে অনেকে কাজে লাগিয়ে একবারে
কোচিং বাণিজ্য করেই বসছে। সেটা
স্কুল কলেজে অযৌক্তিক এবং ঠিক নয়।
এটা আমরা, মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে আমরা
ব্যবস্থা নিব। স্কুল-কলেজ
নিচে কোচিং সেন্টার চালাতে পারে না।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড এইচএসসি পরীক্ষা ফলাফল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।