'সম্প্রতি ডিএমপির পক্ষ থেকে পিকনিকের নিরিখে যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে - তা হয়তো নানান প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কারণ, আপনার স্কুল-কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অনেক সময় নিজ উদ্যোগে অথবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে পিকনিকের আয়োজন করা হয় সেখানে নিরাপত্তা একটি বড় ব্যাপার। অনেক সময় এটি বিবেচনায় আনা হয়না এবং প্রায়ই নানা রকম দূর্ঘটনা ঘটে।'- বলছিলেন প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে বার্ষিক বনভোজন বা পিকনিক করতে গিয়ে হতাহতের ঘটনা বেড়ে গেছে। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে এসব আয়োজনের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বনভোজন বা পিকনিক আয়োজনে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত নয়টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মানতে হবে সাতটি নির্দেশনা। এসব বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল-এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ-এর সঙ্গে। পাঠকদের জন্য প্রফেসর ড. কলিম উল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান খান।
প্রফেসর
ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, আমরা কক্সবাজারে সমুদ্র
সৈকতে গিয়ে কারো বাড়ি
না ফেরা কিংবা বান্দরবানে
ঝর্ণার পানিতে ভেসে যাওয়া, রাস্তায়
মুখোমুখি সংঘর্ষ এই
জাতীয় মারাত্মক দূর্ঘটনা প্রায়ই আমরা ঘটতে দেখি।
যদি এই বিধিনিষেধ সংক্রান্ত
আইন কার্যকর করা হয় তাহলে
দায়িত্বহীনভাবে যত্রতত্র যাওয়া-আসা করা, কিংবা
পরিকল্পনাবিহীন এইসব আয়োজন করা
ভবিষ্যতে হ্রাস পাবে। সমাজে সেফটি-সিকিউরিট, সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি এ বিষয়গুলো যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে এবং একটি
দায়িত্বশীল সমাজ গঠনে ডিএমপির
এই বিধিনিষেধ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি মনে
করি।
কলিম
উল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার পর আমরা
কিন্তু অনুশোচনা করি। কিন্তু যে
ক্ষতি হয়ে গেলো সেটাতো
আর ফিরে আসবে না।
এই বিধি নিষেধের ফলে
আমার ধারণা মানুষ সতর্ক হবে। যে প্রতিষ্ঠান
দায়িত্বে আছেন তারাও অবগত
থাকবেন। অনেক সময় দেখা
যায় একটা ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা
নিজেদের উদ্যোগে এমন আয়োজন করতে
গিয়ে যখন দুর্ঘটনায় নিপতিত
হয় তখন দেখা যায়
কেউই দায়দায়িত্ব নিতে চায় না।
অনেক সময় দেখা যায়
অভিভাবকরাও বিষয়টি জানেন না। তাদের অনুমতির
তোয়াক্কা না করেই এ
ধরনের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
ডিএমপির এমন উদ্যোগের ফলে আমি মনে করি দায়িত্ব
নিরূপণের একটি অভ্যাস গড়ে উঠবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।