নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০২০
‘এ বছর নানা দুর্যোগ-দুর্বিপাকের মধ্যেও আমাদের জন্য একটু স্বস্তির ব্যাপার হলো দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতিটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি। গত বছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে। হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগীতে সয়লাব ছিল। এবার তেমনটি হয়নি। এবার শুরু থেকেই কর্তৃপক্ষ এবং সাধারণ মানুষ মশক নিধনে ব্যাপক কাজ করেছে। এখনও বিভিন্ন মশক নিধন অভিযান চলছে। এভাবে যদি আমরা আর এক দু’টো মাস পার করতে পারি, তাহলে ডেঙ্গু নিয়ে আর কোনো ভয় থাকবে না।’
কথাগুলো বলছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় আজ তিনি বলেন, ‘গত বছর এই সময়টাতে আমরা দেখেছি, প্রতিদিনই একের পর এক ডেঙ্গুতে মৃত্যুর খবর আসছিল। প্রচুর মানুষ হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছিল, বেড পাওয়া যাচ্ছিল না। এবার ওই ব্যাপারটা হচ্ছে না। দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে। তবে ব্যাপক হারে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বা মৃত্যু ঘটছে না। এই মাহামারির মধ্যেও এটা আমাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।’
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, করোনাতেই এবার আমাদের হাসপাতালগুলোতে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কিছুদিন আগেও হাসপাতালগুলো রোগীদের জায়গা দিতে পারছিল না। বারান্দায় ফ্লোরে শুইয়ে চিকিৎসা দিতে হচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে, রাস্তায়, হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে বা হাসপাতালের গেইটেও মানুষ মারা যাচ্ছিল। এই অবস্থার মধ্যে ডেঙ্গুও যদি ব্যাপক আকারে বাড়তো, তাহলে ভয়াবহ অবস্থা হতো। আল্লাহ’র রহমতে এবার তেমন কিছু হয়নি।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘গত বছর জানুয়ারি থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপটা শুরু হয়েছিল। এখন আগস্ট মাস। সুতরাং আর এক দু’টো মাস যদি আমরা এভাবে পার করতে পারি, মশক নিধন যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ডেঙ্গু বাড়বে না। কয়েক মাস পর শীত আসবে। আর শীত আসলে ডেঙ্গু এমনিতেই কমে যাবে।’
তিনি সবাইকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, সিটি কর্পোরেশন এবং সাধারণ মানুষ এবার শুরু থেকেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছিল। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে ইতিমধ্যেই আমরা খবর পাচ্ছি যে, মশার লার্ভা কমছে। এই প্রচেষ্টাটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো ধরনের ঢিলেঢালা ভাব যেন চলে না আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।