নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইভ অনলাইন বুলেটিন বন্ধ হয়ে গেছে। নানা কারণে হয়তো এটা করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি জানতে পারলে মানুষ এটা নিয়ে সচেতন হয়। করোনা প্রতিরোধে যেকোন ব্যবস্থা নিতেও উদ্বুদ্ধ হয়।’ বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করোনা বুলেটিন বন্ধ করাটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লাইভ বুলেটিন না করে তারা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানাবে। বিষয়টা হলো, করোনা পরিস্থিতিটা সবাইকে জানানো। সেটা প্রেস রিলিজের মাধ্যমেই হোক, কিংবা লাইভ বুলেটিনের মাধ্যমেই হোক। করোনার তথ্য সবার জানাটা খুবই দরকারি। জনগণ জানতে চায় যে, আক্রান্ত কত হচ্ছে, মৃত্যু কত হচ্ছে। এজন্য জনগণকে করোনা পরিস্থিতি জানানোর একটা ব্যবস্থা থাকা উচিৎ। তাদের জানার অধিকার আছে। তাছাড়া এসব জানলে মানুষ সচেতন হয়। তাই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জনগণকে অন্ধকারে রাখা ঠিক না।’
ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘লাইভ বুলেটিনের বদলে প্রেস রিলিজ ততটা কার্যকর হবে কি হবে না তা নিয়ে অনেকে নানা রকম কথা বলছেন। অনেকে বলছেন যে, এর ফলে নানা রকম গুজব ছড়াবে। তবে আমি মনে করি যে, যেহেতু নতুন ব্যবস্থায় করোনা তথ্য জানানো হচ্ছে। তাই আমাদের কিছুদিন এটা পর্যবেক্ষণ করা উচিৎ। কিছুদিন দেখে তারপর মন্তব্য করা যেতে পারে যে, প্রেস রিলিজ কার্যকর নাকি কার্যকর নয়।`
প্রবীণ এই চিকিৎসক বলেন, ‘মানুষের সচেতনতাই সবচেয়ে জরুরী। লাইভ বুলেটিন বন্ধ হওয়া মানেই যে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে, তা কিন্তু নয়। সুতরাং আমাদের সবার এখনও সাবধান থাকতে হবে, সতর্ক হতে হবে। প্রত্যেককে মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে। এটা নিয়ে কোনো শৈথল্য দেখানো যাবে না।’
সবাইকে পরামর্শ দিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন,‘অনেকের মধ্যেই করোনা নিয়ে গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা ঠিক না। এখনও আপনার করোনা হয়নি, তার মানে আপনি বেঁচে গেলেন, আপনার আর করোনা হবে না, তা কিন্তু নয়। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই এখনও সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। আপনার সুস্থতা আপনার হাতে। আপনি সুস্থ থাকলে আপনার পরিবার সুস্থ থাকবে। সেই সাথে আপনার কর্মক্ষত্র ও আশেপাশের মানুষগুলোও সুস্থ থাকবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।