নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ইউরোপ ও হংকংয়ের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশংকা, আসন্ন শীতে বাংলাদেশে করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ শুরু হতে পারে। শীতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, এমন ইঙ্গিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’, সেইসাথে করোনা চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন সমস্যা ইত্যাদি নানা বিষয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ এম এ আজিজ। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজম্ব প্রতিবেদক মির্জা মাহমুদ আহমেদ।
বাংলা ইনসাইডারঃ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শীতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সারা বিশ্বে করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ আসছে এমন পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) প্রস্তুতি কি ধরনের…
এম এ আজিজঃ প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। করোনা সংকট মোকাবেলায় বিগত সময়ে উনি অনেক প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। কোভিড চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন। সারা বিশ্ববাসী প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত উদ্যোগের প্রশংসা করেছে। ভ্যাকসিনের ব্যাপারে ওনার অনেক প্রশংসনীয় উদ্যোগ ইতিমধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এবং আমরা নিজেরাও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে মনে করি, এবারের শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আসার সম্ভাবনা আছে। সেই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন। প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
আমি মনে করি যে, আমরা চিকিৎসক সমাজ গত এই কোভিড সিচুয়েশনে খুব দক্ষতার সাথে কাজ করেছি। সরকারের ইকুয়েপমেন্ট এবং জনবল সহায়তা নিয়ে চিকিৎসকরা দক্ষতার সাথে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। হু এর গাইড লাইন, বিভিন্ন দেশের চিকিৎসা রিজিউম এবং কোভিড পরিস্থিতিতে নতুন যে চিকিৎসা প্রেক্ষাপট; এতে আমাদের চিকিৎসকরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। রোগীরাও এখন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। সুস্থতার হার এখন প্রায় ৭৩ শতাংশের উপরে। সুতরাং আমরা চিকিৎসকরা মনে করি, আসন্ন শীতে করোনার যে সেকেন্ড ওয়েভের কথা বলা হচ্ছে, সেটা মোকাবেলায় আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সরকারও কোভিড পরিস্থিতিতে ফুড সিকিউরিটি, ইকোনমিক সিকিউরিটি নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।
আমাদের পাশের দেশ ভারতের যা অবস্থা, সেখানে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বাড়ছে। সংক্রমণের দিক থেকে আমেরিকা-ব্রাজিলের চেয়ে এখন ভারত এগিয়ে আছে। ইউরোপে ইতোমধ্যে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ হানা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে শীতে করোনা সংক্রমন নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে শঙ্কা করেছেন, সেই বিবেচনায় আমাদের আসলেই প্রস্তুতি রাখা দরকার।
বাংলা ইনসাইডারঃ সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে কোভিড চিকিৎসায় যে সকল চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন, তাদের আবাসন নিয়ে এক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। সেই সমস্যা নিরসনে স্বাচিপ কি ধরণের ভূমিকা রাখছে…
এম এ আজিজঃ কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের আবাসন নিয়ে যখন আমরা সরকারের এ রকম সিদ্ধান্তের কথা শুনেছি, তখন আমরা স্বাচিপের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বিশ্বাস করি জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার চিকিৎসকবান্ধব সরকার। আমার বিশ্বাস চিকিৎসক দের স্বার্থ রক্ষা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলা ইনসাইডারঃ বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি এখন কেমন বলে মনে করেন…..
এম এ আজিজঃ বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি এখন উন্নতির দিকে। আমরা মনে করি যে, সংক্রমণের হার কমেছে, মৃত্যুর সংখ্যাও এখন আগের চেয়ে কম। চিকিৎসা পদ্বতিও অনেক উন্নত। জনগণও ঘরে বসে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা নিতে পারছে। টেলিমেডিসিন এখন অনেক জনপ্রিয়। অনেক হাসপাতালই এখন রোগী শূন্য। বেসরকারি পর্যায়ের কোভিড হাসপাতালগুলোও এখন রোগী শূন্য। সরকার ইতোমধ্যে কোভিড হাসপাতালগুলো নন-কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করা শুরু করেছে। করোনা পরীক্ষাও আগের চেয়ে অনেক সহজতর হয়েছে। সারা দেশে ৯৪টি আরটিপিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে করোনা শনাক্ত করা হচ্ছে। দ্রুত টেস্ট করার জন্য সরকার র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের অনুমতি দিতে যাচ্ছে। সার্বিক প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করি কোভিড সিচুয়েশন এখন উন্নতির পথে। কোভিড চিকিৎসায় সরকারের উদ্যোগও সফলতার পথে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।