নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২০
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা: ইকবাল আর্সলান বলেছেন, ভ্যাকসিনে নিয়ে এতো আলোচনার কিছু নেই। ভ্যাকসিন এখনও একটি অনিশ্চিত বিষয়। এজন্য করোনা নিয়ন্ত্রণে মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোঁয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
বাংলা ইনসাইডারের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ডা: ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘ভ্যাকসিন আসলেই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এমন ধারণা সঠিক নয়। ভ্যাকসিন দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করতে হলে একটা সমাজের ৮০ শতাংশ মনুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। তাহলে ১০০ শতাংশ মানুষের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। হার্ড ইমিউনিটি দু‘ভাবে হয়, একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে সংক্রমিত হয়ে প্রাকৃতিকভাবে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়। অন্যটি, মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে ইমিউনিটি তৈরি করা। কিন্তু বাংলাদেশের পেক্ষাপটে ভ্যাকসিন দিয়ে ইমিউনিটি তৈরি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বাংলাদেশে ১৮ কোটি লোকসংখ্যার ৮০ শতাংশ হিসেবে সাড়ে ১৪ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এদের ভ্যাকসিন দিতে হলে ২৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে। ২৯ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া আর এতো মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে অনেক বছর লেগে যাবে।’
শীতে করোনা বাড়ার কারণ জানতে চাইলে এই চিকিৎসক নেতা বলেন, ‘শীতকালে আবহাওয়া এবং পরিবেশ এমনিতেই শুষ্ক থাকে ফলে বাতাসে ধূলিকণা থাকে প্রচুর পরিমাণে। এতে করে ধূলিকণা বাতাসে চলাচল অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। এই ধূলিকণা বা বিভিন্ন গ্যাস, ইটের ভাটা কিংবা বস্তির কাঠের জ্বালনি থেকে তৈরি হওয়া জীবাণুগুলো শীতকালের বাতাসে বহুগুণ বেশি থাকে ফলে সংক্রমণের ঝুঁকিটা বেড়ে যায়। আর যাদের শ্বাসজনিত নানা রকম রোগবালাই আছে তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে মানুষ স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো চলাফেরা করছেন। যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না তারা নিয়মিত হাত ধোয়ার বিষয়টাও মানছেন না কারণ তারা এ বিষয়ে সচেতন নয়। অন্যদিকে সামজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। ফলে করোনা থেকে নিরাপাদ থাকতে যে বিষয়গুলো মানা উচিত সেগুলো যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে না। এতে করে করোনা বাড়ছে।’
দ্বিতীয় ওয়েভের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা: ইকবাল আর্সলান বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য করোনা দ্বিতীয় ওয়েভ প্রযোজ্য নয় কারণ বাংলাদেশে প্রথম ওয়েভই শেষ হয়নি। যদি করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যেতো তারপর যদি আবার বাড়তো তাহলে দ্বিতীয় ওয়েভ বলা যেত কিন্তু নিয়ন্ত্রণইতো করা যায়নি। মাঝে হয়তো করোনা কিছুটা কমে আসছিলো কিন্তু একই ধারায় চলছিলো। সুতরাং করোনা ভ্যাকসিনের ওপরে নির্ভর না করে করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতে হবে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।