নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০২ পিএম, ১৭ জানুয়ারী, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: এবি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি কম এবং আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে দেশে ভ্যকাসিন আসছে। এই দুইটা বিষয় মিলে বাংলাদেশে সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।
করোনা পরিস্থিতি এবং ভ্যাকসিনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা: এবি এম আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে ফেব্রয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভ্যাকসিন বিরতণ হতে পারে এবং এই বিষয়ে সরকার ইতিমধ্যে নীতিমালা করেছে, কারা কীভাবে ভ্যাকসিন পাবেন। আর এর অংশ হিসেবে প্রায় ৪২ হাজার লোককে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং ৭ হজারের মতো সেন্টার করা হচ্ছে। এ ছাড়া করোনার ভ্যাকসিন বিতরণে জন্য টিম করা হয়েছে। ভ্যাকসিন সঠিকভাবে বিতরণ করা হচ্ছে কি না এই টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকনি দেয়ার জন্য অ্যাপ করা হয়েছে। যারা ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী তারা আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া সারাদেশে এখন ইউনিয়ন পরিষদে ইন্টারনেট সুবিধ রয়েছে ফলে কেউ চাইলে প্রত্যান্ত এলাকা থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিন পেতে পারবেন। প্রাধ্যান্য অনুযায়ি সবাইকে করোনার টিকা পাবে। প্রথমে হয়তো নির্দিষ্ট পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেয়া হবে কিন্তু পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সাবাই ভ্যাকসিনের আওতায় আসবেন।
তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কিছুটা কমেছে এটা আমাদের দেশের জন্য একটা ভালো লক্ষণ। আমরা ভেবেছিলাম শীতকালে করোনার ঝুঁকি বাড়বে এবং দ্বিতীয় ওয়েভ আসবে কিন্তু এখন পর্যন্ত সেরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যেখানে আমেরিকা কিংবা ইউরোপের দেশগুলো এখন করোনায় টালমাটাল পরিস্থিতিতে আছে সেখানে বাংলাদেশে কমছে এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো খবর। এই মাসের শেষের দিকে ভ্যাকসিন আসবে এটা আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক হবে। করোনা ও ভ্যাকসিনের বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী নিজে তদারক করেন কাজেই ভ্যাকসিন যথাসময়েই আসবে।
ডা: এবি এম আব্দুল্লাহ বলেন, শুধুমাত্র ভ্যাকসিনের ওপরে নির্ভর হলেই চলবে না। ভ্যাকসিনের বিকল্প হিসেবে আমাদের তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে, সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে এবং হাত ধোঁয়াটা চালু রাখতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানার দিকে জোর দিতে হবে এবং যতদূর সম্ভব সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো পরিহার করতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।