নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ০৩ মার্চ, ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশে আসছেন হয়তো নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের এজেন্ডা নির্ধারণ করতে। ফলে এই সফরে বাংলাদেশের বড় কোনো অর্জন হবে না।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের বাংলাদেশ সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। পাঠকদের জন্য ড. ইমতিয়াজ আহমেদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
বাংলাদেশে ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে আলোচনার বিষয় কি হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের বাংলাদেশ সফরটা মূলত ভিভিআইপি সফরের এজেন্ডা তৈরির সাথে সম্পর্কিত। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সফরের আগেই কোন বিষয়ে আলোচনা হবে, কি কি চুক্তি সই হবে বা সফরের বিভিন্ন দিক আগেই নির্ধারণ করা হয় আর সেই কাজেই হয়তো ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর।
ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে যে বড় কোনো অর্জন হবে সেটা ভাবার কারণ নেই। আর ভারতের সঙ্গে আমাদের যে একেবারে ভালো সম্পর্ক সেটাও বলা যাবে না কারণ সীমান্ত হত্যা, অমিমাংসিত পানি ইস্যু কিংবা এনআরসির মতো ইস্যুগুলোর এখনও সমাধান হয়নি। আবার সম্পর্ক খারাপও বলা যাবে না কারণ মহামারীর মধ্যে আমরা করোনার টিকা পেয়েছি। সুতরাং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক চলমান।
বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়া, এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফর, এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর এবং সামনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফররকে ঘিরে নানা মহলে কথা উটছে যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ করতে চাইছে ভারত। এ বিষয়ে কি বলবেন, ‘বাংলাদেশ সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। তবে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক এতোটা উষ্ণ বা শীতল ভাবার কারণ নেই। আমরা এখন দেশ হিসেবে ভালো অবস্থানে আছি কাজেই আমরা সুবিধা বুঝে নেয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছেছি। কাজেই যে আমাদের বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা দেবে আমরা সেখানেই যাবো। আর চীনের সঙ্গে আমাদের এখন যেসব চুক্তি কিংবা সম্পর্ক হচ্ছে সেটা বাণিজ্যিক কারণে। চীন বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে ফলে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বাড়ছে। কিন্তু চীন বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করতে পারবে ভারতের সেই সক্ষমতা নেই। কাজেই আপনা আপনি চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।