নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, বেগম রোকেয়ার উপাচার্য ড. কলিমউল্লাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ে যে কথা বলেছেন সেটা কুরুচিপূর্ণ। আমরা যদি আমাদের ইমিডিয়েট বসের ব্যাপারে এভাবে কথা বলা শুরু করি তাহলে চেইন অব কমান্ড থাকবে না।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে চলমান বিতর্ক এবং উপাচার্যদের নৈতিকতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান। পাঠকদের জন্য ড. মীজানুর রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ড. মীজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি অনেক সম্মানের এবং দায়িত্বের। কিন্তু সেখান থেকে বিতর্কে জড়ানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করা অসম্মানের। উপাচার্য হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক সুতরাং তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় কিন্তু ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করার বিষয়টা বিতর্কের।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রীকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করলেন সে বিষয়ে আপনার মতামত কি, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে যে জবাব দিয়েছে আমি সেটার সঙ্গে একমত। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিয়ে যে কথা বলেছেন সেটা কুরুচিপূর্ণ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়, নির্দশনা আসে, অর্থ বরাদ্দ হয় সুতরাং তাদের ব্যাপারে কথা বলা শুরু করি তাহলে চেইন অব কমান্ড থাকবে না।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে অভিযোগ করা হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে অনেক কিছু বলেছেন। তবে এখন থেকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সময় উপাচার্যের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালেয়ে উপস্থিত থাকার বিষয়ে নিশ্চয়তা নিতে হবে যাতে কেউ ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন না করেন।
বেগম রোকেয়ার উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ উঠছে তাতে করে তার পদত্যাগ করা উচিৎ কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি পদত্যাগ করবেন কি না সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয় তবে আমি হলে পদত্যাগ করতাম। আমি অনেকদিন দায়িত্ব পালন করছি কিন্তু কোনো ধরনের সুপারিশ আমলে নেইনি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমার কাজে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।