নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে প্রশাসনকে আরও শক্ত ভূমিকায় যেতে হবে। মাঝে কিছুদিন করোনার প্রকোপ কমায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছিলো যার কারণে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
চলমান করোনা পরিস্থিতি এবং করোনা চিকিৎসার বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। যেহেতু দেশে করোনা মোকাবেলার সব ধরনের অবকাঠামো, ভালো হাসপাতাল, চিকিৎসা ব্যবস্থা, টিকাদান কর্মসূচি চলমান এবং টিকার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে আমাদের এখন দরকার হলো সচেতনতা। সচেতন হতে হবে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য।
তিনি বলেন, শুরুতে করোনা মোকাবেলার জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি যেসব বেসরকারি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য আইসিইউ এবং বেডের ব্যবস্থা করেছিলো এখন সেসব হাসপাতালগুলো আবার নতুন করে স্বচল করতে হবে। এ ছাড়া বেসরকারি সেসব হাসপাতালের আইসিইউ এর ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলোকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসতে হবে যাতে করে রোগীরা কম খরচে করোনার চিকিৎসা নিতে পারেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বেড, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে করোনা রোগীর চিকিৎসায় কোনো ধরনের ঘাটতি না হয়।
ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ আরো বলেন, একটি ভয় হলো পৃথিবীর অনেক দেশে কিন্তু এখন সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই যাচ্ছে। অনেক দেশে লকডাউন চলছে বা কারফিউ চলছে। ওই সব দেশ থেকে আমাদের দেশে লোক আসছে। তারাও ভাইরাসটি বহন করে দেশে আনছে। এখন থেকে বিমানবন্দরগুলোতে আরও বেশি মনিটরিং এর ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে ইউরোপের দেশগুলো থেকে আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন করানো যায়।
তিনি বলেন, এখন এমন একটা অবস্থা বিরাজ করছে অথচ কারও কোনো ধরনের সচেতনতা নেই। বিশেষ করে রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে এবং সেখানে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। এ ছাড়া বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে সেখান থেকেও করোনা ছড়াচ্ছে। ফলে এখন থেকে এসব কিছু সীমিত করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশসানকে আরও কঠোর ভূমিকায় যেতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।