নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ০২ এপ্রিল, ২০২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডবের সময় প্রশানসকে সেখানে আহ্বান জানিয়েও ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। পাঠকদের জন্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, হরতালের সময় কোনো রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে হামলা হতে দেখিনি সেটা এবার হেফাজত করেছে। হেফাজত বলছে যে ছাত্রলীগের একটা হামলা হয়েছিলো যদিও এটা মিথ্যাচার। যদি ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করেও থাকে তাহলে এর জন্য মানুষের বাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেয়ার বিধান কোরআন এবং হাদিসের কোথায় আছে আমার এই প্রশ্ন হেফাজত নেতাদের কাছে। তারা যেহেতু ওইদিন হরতাল ডেকেছে সেহেতু সেদিন তাদের কর্মসূচির দিনে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে তার দ্বায় তাদের নিতেই হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আপনি কি ভূমিকা রেখেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখে আমরা হেফাজতের কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার কোনো প্রস্তুতি রাখিনি। হেফাজতের তাণ্ডবে আমরা যতি প্রতিরোধ করতাম তাহলে অনেক প্রাণহানী হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। আর এ কারণে ২৭ তারিখ অনুমান হয়েছিলো হেফাজত অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে তার পরেও আমরা হেফাজতকে প্রতিহত করার কোনো প্রস্তুতি রাখিনি। হেফাজতের তাণ্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক স্থাপনা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিন্তু আমরা যদি তাদেরকে প্রতিহত করতার তাহলে সেখানে বহু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হতো।
হেফাজতের এই তাণ্ডবের বিরুদ্ধে কি ধরনের আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অল্প কিছু গ্রেফতার হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় অনেকগুলো মামলা হয়েছে। আমার অফিসে ভাঙচুর হওয়ার ঘটনায় আমি নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। কিন্তু আমার একটা ছোট ভুল হয়েছে, যারা সরাসরি ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত ছিলো তাদের নামে মামলা করেছি। কিন্তু যারা উস্কানি দিয়েছে মামলায় তাদের নাম দেয়া হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত যা ঘটিয়েছে সেটাকে ইসলামের পরিপন্থী ঘটনা মনে করি এবং এরা ধর্ম ব্যবসায়ী। তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চায়। সুতরাং আগামীতে হেফাজত যাতে এ ধরনের কাজ না করতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।