নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২১
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে বিএনপি, খালেদার জিয়ার চিকিৎসক এবং খালেদা জিয়ার পরিবার যে ধুম্রজাল তৈরি করেছে তার অবশান দরকার। এজন্য তাদের দলেও পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার প্রকৃত শারীরিক অবস্থা মানুষের কাছে তুলে ধরা দরকার।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান এবং বিএনপির অসংলগ্ন আচরণের বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন বাহাউদ্দিন নাসিম। পাঠকদের জন্য বাহাউদ্দিন নাসিমের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক জুয়েল খান।
বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কোনো রাজনীতি চাই না। তার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ি যেখানে নেয়ার প্রয়োজন হবে তাকে সেখানেই চিকিৎসা করাতে পারবেন অফিসিয়াল ফলমালিটি মেইনটেইন করে। তবে বিএনপি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, অসুস্থতা, করোনা, এবং বর্তমান অবস্থা নিয়ে নানামুখী লুকোচুরি করে যাচ্ছে। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসরকা বলছেন তিনি ভালো আছেন, সুস্থ আছে আবার বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তিনি অনেক অসুস্থ এবং তারা নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা রয়েছে। তাহলে মানুষ কোনটা বিশ্বাস করবে। এই মূহুর্তে দেশের সাধারণ মানুষ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে এক ধরনের ধোয়াশার ম্যধ রয়েছে কাজেই খালদা জিয়ার আসলে শারীরিক অবস্থা কি সেটা সাধারণের কাছে প্রকৃতভাবে তুলে ধরা বিএনপির দায়িক্ত।
তিনি বলেন, আমরা চাই খালেদা জিয়ার প্রয়োজন অুনযায়ি চিকিৎসা পাক, সুস্থ হোক। সেখানে চিকিৎসার জন্য হোক দেশে-বিদেশে তার পরিবার, তিনি নিজে এবং তার দল যেভাবে চাইবে সেভাবেই তিনি চিকিৎসা নেবেন। আমাদের চাওয়া হচ্ছে ওনার প্রয়োজন অুনযায়ি চিকিৎসা নিক তবে সেটা আইন কানুন মেনেই করতে হবে।আওয়ামী লীগ একটি মানবিক রাজনৈতিক দল এবং এই দলের সভাপতি শেখ হাসিনা একজন অত্যন্ত মানবিক মানুষ। শুধুমাত্র মানবিকতার কারণে জেলে থাকা খালেদা জিয়াকে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। যদিও আমাদের দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং ভালো হাসাপাতালেও অভাব নেই তার পরেই কিছু মানুষ বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করান।
তিনি বলেন, শুরু থেকেই মেন হচ্ছিলো খালেদা জিয়ার অনুস্থতা নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করেছে। তারা প্রথমে স্বীকার করেনি যে তার করোনা হয়েছে। পরে যখন জানাজানি হলো তখন বিষয়টি মেনে নিলেন এরপর থেকে একের পর এক মিথ্যা বলে খালেদার জীবনের থেকে দলেরর নেতারা রাজনীতিকেই বেশি প্রাধ্যান্য দিয়ে যাচ্ছেন। আর এভাবে রাজনীতিকে প্রধান্য দেয়ার কারণে তাদের কথাও ওপরে আর মানুষের আস্থা নেই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।