নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০২১
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বারবার আমাদের পার্টির সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। কিন্তু তারপরও সতর্কতা আমরা অবলম্বন করতে ব্যর্থ হচ্ছি। সত্যিকার অর্থে এটা দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আত্মহননের পথে এগিয়ে যাচ্ছি বলে আমি মনে করি। এই আত্মহননকে রুখতে হলে আমাদের সকলকেই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এরা কোন ফাঁকফোকর দিয়ে ঢুকতেছে সেই ফাঁকফোকর গুলোকে চিহ্নিত করা এবং সে ফাঁকফোকর গুলোকে বন্ধ করে দিতে হবে। যারা এদেরকে ঢুকায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের উপস্থিতি, তাদের সৃষ্ট বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, তাদের চিহ্নিত করতে পারলে তো ফাঁকফোকর বন্ধ হত। যেহেতু চিহ্নিত আমরা করতে পারছি না সেই কারণেই এই ফাঁকফোকর থেকে ভুঁইফোড় অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। এই অনুপ্রবেশ কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না বা আমরা পারছি না তার সঠিক জবাব আমি দিতে পারবো না। তবে পারছি না এটাই হলো সত্য, এটাই হলো অপ্রিয় সত্য কথা।
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এমন প্রসঙ্গে তিনি বলনে, আমি খুব মারাত্মকভাবে উপলব্ধি করি, অনুভব করে। অবহেলিত দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের বুকফাটা কান্না, আর্তনাদ তার আমারও বুকফাটা কান্না আর্তনাদ মিশে আছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি জানিনা কোন পদ্ধতিতে সহ-সম্পাদক পদগুলোতে ঢুকেছে। তবে যে সহ-সম্পাদক পদগুলোতে যেখানেই যারা ঢুকে থাকুক না কেন সেই পদের সম্পাদককে এর দায়িত্ব নিতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থা না, এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা উচিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মত আমাদের দলের নিবেদিতপ্রাণ, আদর্শবাদী নেতাকর্মীরা যে মেধা এবং শ্রম দিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ান সবকিছুই এসব ঘটনার কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।