রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যই দেশের বাজারে বেড়েছে আলুর দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বাড়তি চাপে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তাই আলু আমদানির সিদ্ধান্তের ফলে বাজার দরের চিত্রে আশানুরূপ পরিবির্তন আসবে বলে মনে করছেন অনেকে।
দেশের বাজারে
আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু
হয়েছে।
শুক্রবার (৩
নভেম্বর) প্রথম দিনে ভারতীয় ৭ ট্রাকে ১৮০ টন আলু আমদানি হয়েছে।
ভারত থেকে প্রতি
কেজি আলু ১৩ থেকে ১৫ রুপি (১৭ থেকে ২০ টাকা) দরে ক্রয় করা হচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবহণ খরচ
ও কেজি প্রতি শুল্ক রয়েছে সাড়ে তিন টাকার ওপরে। তাতে আলু আমদানিতে খরচ পড়ছে ২৬ থেকে
২৭ টাকার মতো।
এর আগে প্রতি
কেজি আলুর দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি
গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আলুর দাম
বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকার মতো। এই অবস্থায় আমদানি শুরু হওয়ার ফলে দাম পড়তে শুরু করেছে
আলুর।
কাওরানবাজারের
এক পাইকারি আলু ব্যবসায়ী বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, আমরা বাড়তি দামে কিনলে তো বাড়তি দামেই
বিক্রি করতে হবে। এখন আমদানি করলে যদি দাম কমে তাহলে সবার জন্যই তো সুবিধা।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, শুধু আলু না, প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে যায়। আমাদের তো আর কমে ছাড়ার কোনো সুযোগ নাই।
রাজধানীর কাওরানবাজারে
বৃহৎ পরিসরে যারা আলুর ব্যবসার সাথে জড়িত, তারা অনেকেই বলছেন আলুর দাম বৃদ্ধির মূলে
রয়েছে অসাধু মজুতদারদের কারসাজি। আলু মজুত থাকার পরও খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে
আলু বিক্রি করেন না মজুতদাররা। ফলে বাধ্য হয়েই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে আলু, যার প্রভাব
গিয়ে পড়ছে সাধারন ক্রেতাদের ওপর।
কাওরানবাজারের
প্রবীণ আলু ব্যবসায়ী, মদিনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কামরান বেপারী বাংলা ইনসাইডারকে
বলেন, আলু আমদানি হলে কৃষকদের কোনো ক্ষতি হবে না। কৃষকদের আলু নষ্ট হবে কিভাবে, তাদের
ঘরে এখনও আলু উঠেই নাই। যদি এখন বিদেশ থেকে আলু আমদানি করা যায়, তাহলে এই বাড়তি দাম
আর থাকবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু তা বাজারে আসেনি। তাই আমদানির অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি বাজারে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলোও সরকারকে দূর করতে হবে বলে জানাচ্ছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
আলু আমদানি স্বস্তি ব্যবসায়ী কাওরানবাজার বাজার
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।