ইনসাইড ট্রেড

বাজারের হাল বেসামাল

প্রকাশ: ১০:০৩ এএম, ১৫ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

ভয়ঙ্কর ভাবে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিম্নবিত্তের মানুষ ছাড়িয়ে মধ্যম ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ঘরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এখন। ধাপে ধাপে দাম বাড়তে থাকা সয়াবিন তেল, চাল, ডালের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে পেঁয়াজ, আটা, ময়দা, মুরগি, সবজি, ডিমসহ মাছের দাম। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দামও বাড়তি। বাজারে গিয়ে কোনটা রেখে কোনটা কিনবেন, এই চিন্তায় বেসামাল অবস্থা ক্রেতাদের।  

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ফয়সাল আহমেদ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাস করেন। পাশাপাশি চার বছর ধরে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসলেই তার চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে ওঠে এখন। তিনি বলেন, গত বছরের এপ্রিল মাসে আমার পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে আর হয়নি। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম ঠিকই বাড়ছে। এমন একটা কিছু নাই, যেইটা দুই মাস আগেও সেইম দাম ছিল। এমন পরিস্থিতি আর কোথাও আছে কি না, তা তার জানা নেই বলেও এসময় জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক জানান, সরকারি টিসিবির ট্রাকের অপেক্ষায় থাকেন তিনি। সেখান থেকে নিত্যপণ্য কিনে বাসায় ফেরেন। বাজারের যা দাম, তাতে এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তার। প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও করোনা প্রভাবে অভিভাবকরা যে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত, তাতে ছাত্র পাওয়াই দুষ্কর। এ দিকে আমার পরিবারেও আমরা চার জন সদস্য। দুই বছর ধরে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। এর মধ্যে বাড়ছেই সংসারের ব্যয়।

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সবজি বাজার ও দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিনির দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ, ময়দার দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১২ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ এবং ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। ৫০ টাকার উপরে বেশিরভাগ সবজির দাম। মুরগির দামও উর্ধ্বমূখী। এগুলো দাম বাড়ার কয়েকটি উদাহরণ মাত্র। এর সঙ্গে বেড়েছে নিত্যব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর দামও। যেমন মাস তিনেক আগে বাজারে ১০০ গ্রাম ওজনের যে সাবানটি বিক্রি হতো ৩৫ টাকায়, সে সাবানটি এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বেড়েছে ডিটারজেন্ট, টুথপেস্ট, নারকেল তেল, শৌচাগারে ব্যবহার করা টিস্যুসহ বিভিন্ন পণ্যের দামও। সুপরিচিত ব্র্যান্ডের এক প্যাকেট টিস্যুর দাম যেখানে ছিল ১৭ টাকা, তা এখন ২০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। 

বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দিয়ে শীতের আগাম সবজি শিম কিনতে হচ্ছে। গাজার বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় এবং কেজি প্রতি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। ঢেঁড়স ও পটল কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

একই ভাবে কাঁচা মরিচের দাম ৭০ টাকা থেকে বেড়ে কেজিতে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এখন। এ ছাড়া গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকায়। এক মাস আগেও বয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ছিল। ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আর খুচরা দোকানে এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০-১১ টাকায়। চলতি মাসের শুরুতে এক ডজন ডিম ৯০-৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এমনিতেই সেপ্টেম্বর অক্টোবরে সাধারণত সবজির সরবরাহ কম থাকে। কয়দিন পর থেকে শীতের সবজি আসবে। এর সঙ্গে এবার অনেক জায়গায় বন্যাও হয়েছে। বন্যায় অনেক সবজি ক্ষেত ও মুরগির ফার্ম নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে সবজি ও মুরগির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।

মোহাম্মপদপুর টাউনহল বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. আলী জানান, টমেটো থেকে শুরু করে পেঁয়াজ, সবই আসে ভারত থেকে। এখন চলছে পূজা। টপ করে দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা কিনি পাইকার থেকে। এর থেকে দুই চার টাকা যাই লাভ করি, তা দিয়া বউ-বাচ্চা লইয়া বাইঁচা আছি। এখন একদিকে যেমন বেচা কেনা কম, অন্যদিকে সংসারের খরচ বাড়ছেই।

চিটাগাং বয়লার হাউজের মালিক সাইফুল ইসলাম জানান, জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় ব্যবসা ডাউন। কাস্টমার নাই। সকাল সাড়ে সাতটায় দোকান খুলছি, এখন বাজে ১২টা, মাত্র একজন কাস্টমার পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছ ২৮০-৩৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মৃগেল ২৪০ থেকে ২৮০, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০, পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ ও পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগের মতোই বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বড় (এক কেজির উপরে) ইলিশের কেজি ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা। মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। আর ছোটগুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম অপরিবর্তিতই রয়েছে বলা যায়।

চাল ও পণ্যসামগ্রীর বাজার ঘুরে জানা যায়, এক কেজি চালের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এগুলোর মধ্যে মিনিকেট ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ও স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল এক মাস আগে ১৪৫ টাকা লিটারে কেনা গেলেও ভোক্তাকে এখন আরও ৫ টাকা বেশি খরচ করে ১৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এদিকে, বাজারে দেশি পেঁয়াজ এখন ৭০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে এই দাম ছিল যথাক্রমে ৪৫ টাকা ৩৮ টাকা। মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ২৭ টাকা বেড়েছে। তবে দোকানিদের তথ্য অনুযায়ী, স্থির আছে ডাল ও চিনির দাম। এখন দেশি ডাল ১১০ টাকা, ভারতীয় ৯০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি বিধায় এখানেও তার প্রভাব পড়েছে। তবে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তার বলছেন, এখানকার বাজারের অনেক পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি দামের অজুহাতে অনেক পণ্যে টাকা বেশি নিচ্ছে। আর এ টাকা, আমার, আপনার, আমাদের সবার টাকা। তবে অনেক বাজার বিশ্লেষক এবারের দাম বাড়ার পেছনে করোনাকালে সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়া, উৎপাদন কমে যাওয়া, জ্বালানি তেলের দাম ও জাহাজভাড়া বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন দেশের মজুতপ্রবণতাকে দায়ী করছেন। 

টিসিবি লাইনে গরীব থেকে মধ্যবিত্ত

করোনা যখন জীবনকে নানাভাবে বিব্রত করছে, ঠিক সেই সময় নিম্নআয়ের মানুষের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে চিনি, মসুর ডাল ও বোতলজাত সয়াবিন ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। পণ্য নেওয়ার লাইনে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক মধ্যবিত্তও দাঁড়াচ্ছেন।

নাম না প্রকাশের শর্তে লাইনে দাঁড়ানো একজন উত্তেজিত হয়ে বলেছেন, সরকার বলছে যে, জিনিসপাতির দাম বাড়লেও দেশে মঙ্গা অবস্থা সৃষ্টি হয় নাই। তাহলে সরকার কি চাইছে দেশে মঙ্গার কবলে পড়ুক, তারপর সব দেখবে। রাগে ফেটে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, পেটে ভাত থাকলে উন্নয়ন দেখতে ভালো লাগে। একদিকে পেটে নাই ভাত, অন্যদিকে মন্ত্রী বলে যে, দু-এক মাসের মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা নাই। পরে দেখা গেল মন্ত্রীর কথায় আশকারা পেয়ে দাম আরো বাড়িয়ে দিল ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা কিভাবে পণ্যের দাম বাড়ায়, জানতে চাইলে বাজার বিশ্লেষকরা জানান, দেশে এবার বোরোতে বাম্পার ফলন হয়েছে। এরপরও দাম বেড়েছে চালের। এর কারণ হচ্ছে বাজারে ধান অপর্যাপ্ত। তাহলে এতো ধান গেল কোথায়। ধান চলে গেছে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ব্যবসায়ীদের হাতে। ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের হাতে। এ কারণে গত এক-দেড় বছর ধরে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এরপর ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অজুহাত দেয়া হচ্ছে বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধি। বিশ্ববাজারে দাম যে হারে বেড়েছে তার চেয়েও বেশি বাড়ানো হয়েছে দেশের বাজারে। এখানেও অনৈতিকভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, সাধারণ মানুষ মনে করে, উন্নয়ন তো অবশ্যই দরকার। কিন্তু বেঁচে-থাকাটা তার চেয়ে বেশি জরুরি। মানুষ যদি অভাবে থাকে, মানুষ যদি ঠিকঠাক মত বাজার-সদাই করতে না পারে, তাহলে উন্নয়ন তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। সেরকম পরিস্থিতির দিকে দেশ যেন না যায়, সেজন্য এখনই সবাইকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে হবে সরকারকে, তা যেকোনো মূল্যের বিনিময়ে। তা না হলে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের যে আবেদন তা জনগণের কাছে মূল্যহীন হয়ে পড়তে পারে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

সোনার দোকান উদ্বোধন করলেন পিবিআই প্রধান

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দুবাই এর স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেন এর ঢাকার নয়াপল্টনের রূপায়ন টাওয়ারে নব-প্রতিষ্ঠিত ‘হ্যালো পিওর গোল্ড’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনের রূপায়ন টাওয়ারে নবপ্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার। 

এ সময় পিবিআই প্রধান বলেন, ভেজালের ভীড়ে খাঁটী জিনিস পাওয়া খুবই কঠিন। স্বর্ণ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কথাটি আরো বেশি প্রযোজ্য। তিনি আরো বলেন, সততাই ব্যবসায়ের মূলধন। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার  আনোয়ার সাহেব সততা নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবেন মর্মে পিবিআই প্রধান প্রত্যাশা করেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিবিআই এর পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আখতার উল আলম, পুলিশ সুপার (লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া) মো. আবু ইউসুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. নাসিম মিয়াসহ অনেকে।


পিবিআই প্রধান   বনজ কুমার মজুমদার   হ্যালো পিওর গোল্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

ঢাকায় পেঁয়াজের বড় দরপতন

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে। ঢাকার নর্দ্দা, নতুনবাজার, কারওয়ানবাজার, মগবাজারে দেখা যায়-এদিন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

নতুনবাজারের ব্যবসায়ী বিশারত আলি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো আছে। পাবনা ও ফরিদপুর থেকে পণ্যটি প্রচুর আসছে। তাই দর হ্রাস পেয়েছে। আগের সপ্তাহে সাধারণ মানের পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এই সপ্তাহে সেটা বেচছি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। মাত্র ২/৩ টাকা লাভে তা বিক্রি করছি আমরা।

নর্দ্দা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম কমছে। এখন ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও যা ছিল ১০০ টাকা। তবে মূল্য কেন কমছে বা বাড়ছে-সেই সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। সাধারণত,  আমরা যেমন দামে কিনি, তেমন দামেই বিক্রি করি।

বাংলাদেশে পাঠাতে কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। সোমবার (১৮ মার্চ) দেশটির রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল) এমন তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি কেজি এই পেঁয়াজের দাম পড়বে ২৯ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এই সংবাদেই রান্নাঘরের মুখ্য পণ্যটির দরপতন ঘটছে।

রাজধানী   পেঁয়াজের দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

মাছ-মাংসসহ ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিল সরকার

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২৯টি পণ্যের মূল্য বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮-এর ৪(ঝ) ধারার ক্ষমতাবলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য কেনাবেচার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী মুগ ডালের পাইকারি বাজার মূল্য হবে ১৫৮ দশমিক ৫৭ টাকা ও খুচরা ১৬৫ দশমিক ৪১ টাকা।

এছাড়া মাসকলাইয়ের পাইকারি বাজার মূল্য ১৪৫ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ১৬৬ দশমিক ৪১, ছোলার (আমদানিকৃত) পাইকারি বাজার মূল্য ৯৩ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ৯৮ দশমিক ৩০, মসুরডাল (উন্নত) পাইকারি বাজার মূল্য ১২৫ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৩০ দশমিক ৫০, মসুরডাল (মোটা) পাইকারি বাজার মূল্য ১০০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ১০৫ দশমিক ৫০, খেসারিডাল পাইকারি বাজার মূল্য ৮৩ দশমিক ৮৩ টাকা ও খুচরা ৯২ দশমিক ৬১।

পাংগাস (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৩ দশমিক ৩৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ৮৭, কাতল (চাষের মাছ) পাইকারি বাজার মূল্য ৩০৩ দশমিক শূন্য ৯ টাকা ও খুচরা ৩৫৩ দশমিক ৫৯।

গরুর মাংস কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৬৩১ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ৬৬৪ দশমিক ৩৯, ছাগলের মাংস পাইকারি বাজার মূল্য ৯৫২ দশমিক ৫৮ টাকা ও খুচরা ১০০৩ দশমিক ৫৬, বয়লার মুরগী পাইকারি বাজার মূল্য ১৬২ দশমিক ৬৯ টাকা ও খুচরা ১৭৫ দশমিক ৩০, সোনালী মুরগী পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৬ দশমিক ১০ টাকা ও খুচরা ২৬২।

ডিম (পিস) পাইকারি বাজার মূল্য ৯ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১০ দশমিক ৪৯।

দেশী পেঁয়াজ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৫৩ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৬৫ দশমিক ৪০, দেশী রসুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৯৪ দশমিক ৬১ টাকা ও খুচরা ১২০ দশমিক ৮১, আদা আমদানিকৃত পাইকারি বাজার মূল্য ১২০ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ১৮০ দশমিক ২০, শুকনো মরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৫৩ দশমিক ২৬ টাকা ও খুচরা ৩২৭ দশমিক ৩৪, কাঁচামরিচ কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪৫ দশমিক ৪০ টাকা ও খুচরা ৬০ দশমিক ২০।

বাঁধাকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৩০, ফুলকপি কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৪ দশমিক ৫০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৬০, বেগুন কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩৮ দশমিক ২৫ টাকা ও খুচরা ৪৯ দশমিক ৭৫, সিম কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৪০ দশমিক ৮২ টাকা ও খুচরা ৪৮, আলু কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ২৩ দশমিক ৩০ টাকা ও খুচরা ২৮ দশমিক ৫৫, টমোটো কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ৩০ দশমিক ২০ টাকা ও খুচরা ৪০ দশমিক ২০, মিষ্টি কুমড়া কেজি পাইকারি বাজার মূল্য ১৬ দশমিক ৪৫ টাকা ও খুচরা ২৩ দশমিক ৩৮, খেঁজুর জাহিদী পাইকারি বাজার মূল্য ১৫৫ দশমিক ৫৩ টাকা ও খুচরা ১৮৫ দশমিক ০৭, মোটা চিড়া পাইকারি বাজার মূল্য ৫২ দশমিক ৭৫ টাকা ও খুচরা ৬০, সাগর কলা হালি পাইকারি বাজার মূল্য ২২ দশমিক ৬০ টাকা ও খুচরা ২৯ দশমিক ৭৮ ও বেসন পাইকারি বাজার মূল্য ৯৯ দশমিক ০২ টাকা ও খুচরা ১২১ দশমিক ৩০ টাকা।

মূল্য তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর   দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানের প্রথম দিনেই লেবুর হালি ৮০ টাকা!

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ১২ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র রমজানে ইফতারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিপিস লেবুর বাজারে বিক্রি হয়েছে পাঁচ টাকায়। ২০ টাকা হালিতে পাওয়া গেছে লেবু। তবে রমজান শুরুর প্রথম দিনেই এক লাফেই লেবুর হালি ৮০ টাকা হয়ে গেছে। এছাড়া শসা বাজারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

সবজির দামও রাতারাতি বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি বেগুনের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।

এদিকে শসা ও খিরা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সবধরনের সবজির দামও বেড়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস শুরু না হতেই বাজারে অস্বাভাবিক উত্তাপ ছড়িয়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। লেবু, শসা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ সেহরি ও ইফতার সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শসা এবং লেবুর দাম বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে। এক হালি লেবুর দাম সাইজ ভেদে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

রাজধানীর কুড়িল কুড়াতলী বাজারে লেবু কিনতে গিয়ে হতাশ কবিরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, রাস্তায় ঝাঁকা নিয়ে বসা লেবু বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে বড় সাইজের লেবু ৮০ টাকা হালি চেয়েছেন, আর একটু ছোট সাইজটা ৬০ টাকা। মাত্র কয়েকদিন আগেও একই লেবু কিনেছি ৪০ টাকায়। 

এদিকে রাজধানীর ভাটার নতুনবাজার, বাড্ডা ও রামপুরার বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে ছোট সাইজের লেবু  ৬০-৭০ টাকা হালি, মাঝাড়ি সাইজ ৭০-৮০ টাকা এবং বড় সাইজ লেবু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা হালিতে। দামাদামি করে সাধ্যের মধ্যে লেবু কিনছেন কেউ কেউ। 

রমজান   লেবুর দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানের আগে চিনির দাম বাড়লো কেজিতে ২০ টাকা

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।   

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।


বিএসএফআইসি   মাহে রমজান   চিনি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন