শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা শহরজুড়ে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। প্রখর রোদে রাস্তার পিচ যেন গলে যাচ্চে বলে মনে হচ্ছে। এদিকে ঢাকার বাইরেও খুলনা বিভাগ এবং অন্তত চারটি জেলায় এর চেয়ে বেশি গরম অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত দুই দিনে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা বাড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী অন্তত এক সপ্তাহ গরমের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা নেই। বরং আগামী কয়েক দিন দেশের বেশির ভাগ এলাকায় গরমের কষ্ট বাড়তে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে, তার তীব্রতা বেড়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহে পরিণত হতে পারে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে। কোথাও কোথাও হালকা বাতাস বইলেও তাতে গরমের তীব্রতা কমছে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, আজ শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দিনের বাকি সময়, এমনকি রাতেও গরমের তীব্রতা একই থাকবে। আগামীকাল দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে দাবদাহ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বাকি এলাকাগুলোতে দাবদাহের তাপমাত্রা, অর্থাৎ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রয়েছে। এতে দিনের রোদ ফুরিয়ে গেলেও রাতেও গরম থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ শাহিনুর ইসলাম বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মেঘ-বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে দেশের কয়েকটি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হলেও তা কম সময় স্থায়ী হবে। ফলে গরমের তীব্রতা রয়ে যেতে পারে।
আজ শুক্রবার দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, অর্থাৎ ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
এদিকে তীব্র গরমের রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার মানুষের কষ্ট বেড়েছে। বিশেষ করে এ সময়ে যারা নানা কাজে ঘরের বাইরে যাতায়াত করছে, তাদের গরমের কষ্ট বেশি সহ্য করতে হচ্ছে। যেসব এলাকায় গাছপালা ও জলাশয় নেই, সেখানকার গরমের তীব্রতা অন্য এলাকাগুলোর তুলনায় বেশি।
গরমের তীব্রতা আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা আজকেও বাড়তে পারে। তবে বুধবার (১ মে) থেকে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার ( ২৮ এপ্রিল ) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৩১ মার্চ থেকে দেশে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এরমধ্যে কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রচণ্ড তাপে পুড়ছে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। প্রচণ্ড গরমে ঘটছে হিটস্ট্রোকের ঘটনা।
আবহাওয়াবিদ জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ আবহাওয়াবিদ আরও জানান, যশোর ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে বুধবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাজধানীসহ সারা দেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ
পরিস্থিতিতে আরো ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন ধরে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট
জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক
বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৮ এপ্রিল) হতে
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি
পেতে পারে।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর
থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়।
হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন