কলকাতায়
আমার প্রথম সকাল। একটি বাংলা হোটেল থেকে নাস্তা সেড়ে চা খেতে বসলাম পাশের দোকানে। চায়ের
পাশাপাশি ছোট ছোট গ্লাসে বিক্রি হচ্ছে দুধ। দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২.৫ টাকা। কৌতুহল
বসত আমিও এক গ্লাস নিলাম। হালকা চিনি দিয়ে জাল দেয়ায় মিষ্টি স্বাদ। কেউ কেউ দুধের সাথে
রুটি খেয়ে নাস্তাও সেরে নিচ্ছেন। সময় বাড়ার সাথে সাথে দোকানের ভীড়ও বাড়তে শুরু করল।
কলকাতার রাস্তা ধরে হাটলে প্রায়ই দেখা মিলবে এমন সারি সারি দুধ ও মিষ্টান্নের দোকান।
মিষ্টিজাত পণ্যের দাম এতো কম কিভাবে জানতে চাইলে এক দোকানদার জানান খামারি থেকে সরাসরি
তার কাছে দুধ আসে তাই দুধ কম দামে পাওয়া যায়।
কিছু
বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি সরেজমিনে
চলে যাই হুগলি জেলার তারকেশ্বর গ্রামে। সেখানে আমূলসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের
ভিলেজ মিল্ক কালেকশন পয়েন্ট পরিদর্শন করি। সেখানের এক কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, “আমূলসহ কিছু
বেসরকারি ভেন্ডর যেভাবে
কাজ করছে তার জন্যই মূলত পুরো ভারতে
দুধের এই বিপ্লব। আমরা
গ্রামের প্রত্যন্ত পর্যন্ত গিয়ে খামারিদের কাছ
থেকে দুধ সংগ্রহ করি।
আমাদের নিজেদের কালেকশন বুথ আছে। কালেকশন
ম্যান আছে। খামারিদের কষ্ট
করতে হয় না। তারা
শুধু তাদের দুধ নিয়ে আসে
এবং দুধের মান অনুযায়ী ন্যায্য মুল্য নিয়ে যায়।
ঐ
গ্রামে আমূল ছাড়াও ছোট
বড় আরো অনেক ডেইরি
দেখা যায়। কপিলা ডেয়ারি
প্রতিষ্ঠাতার সাথে কথা বলে
জানা যায়, সরকার থেকে
তাদের জন্য বিভিন্ন রকমের
প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা
এইসব প্রশিক্ষণ কাছে লাগিয়ে বিভিন্ন
রকম কাজে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত
করছে। এছাড়াও তিনি নিজে দেখিয়েছেন
কিভাবে তিনি খামারিদের দুধগুলো
ফ্যাট মেপে তার দাম
নির্ধারণ করেছেন।
বর্তমানে
দুধ উৎপাদনে বিশ্বের এক নম্বর দেশ ভারত। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কর্পোরেট পরিসংখ্যান ডাটাবেস
(এফএওএসটিএটি) এর তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভারত রেকর্ড পরিমাণ ২০৯৯.৬ লক্ষ
টন দুধ উৎপাদন করে যা ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে ৬০০ লক্ষ টন বেশি। বিশ্বের মোট দুধ উৎপাদনের
২৩ শতাংশ শুধু ভারত থেকেই উৎপন্ন হয়। ভারতের ডেইরিই হলো একক বৃহত্তম কৃষিপণ্য যার অবদান
জাতীয় অর্থনীতিতে ৫ শতাংশ এবং গত ৫ বছরে যার চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬
দশমিক ৪ শতাংশ, যার আকার প্রায় ১৫৯.১৮ বিলিয়ন ডলার। ভারতের বর্তমান এই সমৃদ্ধ দুগ্ধ
শিল্পের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান যে ব্যাক্তির তিনি হলেন ড. ভার্গিস কুরিয়েন। আজ থেকে
প্রায় ৭০ বছর আগে দুধের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা ও সহজলভ্যতার বিষয়টি তিনি দৃঢ়ভাবে
উপলব্ধি করেছিলেন। তাঁর নিষ্ঠা, গবেষণা আর অক্লান্তিক প্রচেষ্টায় ভারত আজ পৃথিবীর মধ্যে
এক নম্বর দুধ উৎপাদনকারী দেশ। প্রচুর পরিমাণ দুধ উৎপাদন হওয়ায় দুধের চাহিদা মেটানোর
পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনেও ভারত অন্যতম।
প্রানিসম্পদ
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে দুধের চাহিদা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার টন।
কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশে দুধ উৎপাদন হয় প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টন। যা চাহিদার
তুলনায় প্রায় ২৫ লক্ষ টন কম। দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে না পারার পেছনে খারামিদের দুধের
ন্যায্য মুল্য না পাওয়া এবং মধ্যস্থতাকারী দ্বারা শোষিত হওয়াকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজারে যেদিন বেশি দুধ ওঠে ওইদিন দামই পাওয়া যায় না। যে দাম পাই সেই বিক্রি করি।
১৯৪৫
সালে ভারতের গুজরাটের দুগ্ধ খামারিরাও একই শোষণের শিকার
হয়ে আসছিল। দুধ বাজার ব্যবস্থা
পুরোপুরি ঠিকাদার এবং মধ্যস্থতাকারী দ্বারা
নিয়ন্ত্রিত ছিল। ‘পেস্টনজি এডুলজি’ নামক প্রতিষ্ঠানের চতুর
ব্যাবসায়ীরা খামারিদের ওপর একচেটিয়া রাজত্ব
কায়েম করেছিল, যেখানে তাদের নির্ধারিত দামেই খামারিদের দুধ বিক্রি করতে
হতো। কিন্তু দির্ঘদিন চলতে থাকা এই
শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয় খামারিরা। তাদের
এই আন্দোলনের নায়ক ছিলেন ত্রিভুবন
দাস প্যাটেল। খামারিদের বেঁচে থাকার লড়াইয়ে তাদের নেতা ত্রিভুবন দাস
প্যাটেল তখন কৃষককে ঐক্যবদ্ধ
করে পেস্টনজির শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়েছিলেন। তারা সকলে ঐক্যবদ্ধ
হয়ে একটি সমবায় তৈরি
করেন। ডেইরি খামারিদের ভাগ্যোন্নয়নে তারা যৌথভাবে কায়রা
জেলা সমবায় দুধ উৎপাদনকারী ইউনিয়ন
লিমিটেড (কেডিসিএমপিইউএল) নামে সমবায় তৈরি
করে আন্দোলন শুরু করেন, যেটিকে
পরবর্তীকালে ড. ভার্গিস কুরিয়েন
‘আমূল’ নামে নামকরন করেন।
ড.
কুরিয়েন ত্রিভুবন দাস প্যাটেলকে নিয়ে যে সমবায় আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন সেখানে সমবায়ীদের
ভূমিকা ছিল খামারীদের কাছে থেকে দুধ সংগ্রহ করা এবং দুধের গুণমান অনুযায়ী তাদের যথাযথ
মূল্য প্রদান করা। দ্বিতীয় ধাপে সেই দুধ চলে যায় জেলা পর্যায়ের সমবায়ে যেখানে দুধ এনে
প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং বাজারের জন্য প্রস্তুত করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে স্টেট
লেভেল মিল্ক ফেডারেশন, যেখানে দুধ এবং বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্যের যেমন: পনির, মাখন, ঘি
ইত্যাদির মার্কেটিং করা এবং এদের গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়। এই ৩ ধাপের প্রক্রিয়াটি
আমূল প্যাটার্ন নামেও পরিচিত। এর ফলে মধ্যস্থতাকারীকে পুরো ব্যাবস্থা থেকে নির্মুল
করা সম্ভব হয় এবং খামারিরা দুধের ন্যায্য মুল্য পেতে শুরু করে। এতে করে আরো খামারিরা
উৎসাহিত হয় এবং দুধ উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
এই
আমূল প্যাটার্ন খামারি এবং গ্রাহক উভয়ের জন্যই লাভজনক হওয়ায় এটি দ্রুত ছড়িয়ে পরে পুরো
ভারতজুড়ে। পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন শহর এবং গ্রাম ঘুরে দেখলে এই দুগ্ধ সমবায়গুলো দেখতে
পাওয়া যায়। দুধ উৎপাদনকারী খামারিরা কোন ঠিকাদার কিংবা মধ্যস্থতাকারী ছাড়া সরাসরি তাদের
দুধ এই সমবায়ে বিক্রি করেন। মেশিনের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ দুধের মান এবং ফ্যাটের পরিমাণ
নির্নয় করা হয় এবং সেই অনুযায়ী দুধের যে দাম আসে সেই দামে তারা তাদের দুধ বিক্রি করতে
পারছে। এর ফলে তারা শোষণের শিকার হয় না এবং আর্থিকভাবেও স্বচ্ছল থাকেন।
কলকাতার
ডেইরী প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেস ডেইরীর সিইও এস.কে সিং বলেন, ডেইরি খাতের উন্নয়নে প্রাইভেট
ভেন্ডর এবং গ্রামীণ খামারিরা নিজেরাতো অবদান রাখছেনই, পাশাপাশি সরকারও তাদের সর্বোচ্চ
সহযোগিতা করে আসছে। খামারিদের বীমার ব্যাবস্থা করে দিয়েছে যাতে গরু মারা গেলেও তারা
ক্ষতির শিকার না হয়।
এস.কে
সিং বলেন, প্রাইভেট কিংবা সরকারি ভেন্ডর গ্রামে গ্রামে থেকে দুধ সংগ্রহ করে করে দুধ
চিলিং রুমে সংরক্ষণ করে রাখেন এবং খামারির টাকা সাথে সাথে তাকে পরিশোধ করে দেন। এতে
করে খামারিরা উৎসাহিত হয় এবং আরও বেশি দুধ উৎপাদনে আগ্রহি হয়। ৩০ দিন খামারির কাছ থেকে
আমি দুধ নিলাম টাকা দিলাম না, তাহলে ওই গরিব খামারি গরুকে খাওয়াবে কি? অসুখ হলে চিকিৎসা
কিভাবে করাবে?
তিনি
জানান তাদের এক্সপ্রেস ডেইরী গ্রামীণ খামারিদের থেকে সরাসরি দুধ সংগ্রহ করেন। সেই দুধ
তারা পাস্তুরিত করে রাখেন। মহিষের দুধ থেকে তারা ক্রিম আলাদা করে ঘি, মাখন ইত্যাদি
পন্য তৈরি করছেন। যা তারা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন। এর ফলে লাভবান হচ্ছেন সবাই।
বাংলাদেশে
বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখলে দেখা যায়, দুধ উৎপাদনকারী খামারিদের দুর্দশা এবং হতাশা। কেউ
কেউ সরাসরি ক্রেতার কাছে দুধ বিক্রি করতে পারলেও, বেশিরভাগই ঠিকাদার কিংবা মধ্যস্থতাকারীর
ওপর নির্ভরশীল। সকালে গোয়ালা এসে দুধ নিয়ে যায় এবং তাদের নির্ধারিত দামেই খমারিদের
দুধ বিক্রি করতে হয় যা বাজারমূল্য থেকে অনেক কম। সেই দুধের টাকাও খামারিরা পায় মাস
শেষে। অনেকের পক্ষেই কোনো টাকা ছাড়া সারা মাস গরুর খরচ চালানো কষ্টকর হয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জের
খামারি মাহফুজা বেগম জানান গ্রামে দুধ বিক্রির গ্রাহক না থাকায় বাধ্য হয়ে তিনি গোয়ালার
কাছে দুধ বিক্রি করেন। তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের টাকা আছে দুধ কিন্না খাওয়ার? আমাগো
থাইকা দুধ নিয়া যাইয়া শহরে অনেক টাকায় বিক্রি করে। আমাগোরে টাকাও দেয় মাস শেষে। গরুর
খরচ চালাইতেই অবস্থা খারাপ।
বেশিরভাগ
খামারিদের কাছে দুধ সংরক্ষণের ব্যাবস্থা না থাকায় তারা কম টাকায় হলেও দিনের দুধ দিনেই
বিক্রি করে দিচ্ছেন। গাজীপুরের খামারি বাতেন মিয়া বলেন, বাজারে যেদিন বেশি দুধ ওঠে
ওইদিন দামই পাওয়া যায় না। আর দুধ বাড়ি ফেরত আইনাতো কোনো লাভ নাই, নষ্ট হইয়া যায়। তাই
যা পাই তাতেই বিক্রি করি।
তবে
দেশে খামারিদের এই চিত্র পরিবর্তনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন
প্রকল্প’ বাস্তবায়নে কাজ করছে। খামারিদের একত্রিত করার জন্য তারা
দেশব্যাপী প্রান্তিক খামারিদের নিয়ে বিভিন্ন ভ্যালুচেইন ভিত্তিক ৫ হাজার ৫০০টি প্রোডিউসার
গ্রুপ (পিজি) গঠন করেছে। যার সাথে সংযুক্ত রয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি খামারি।
তালিকাভুক্তদের জন্য থাকবে ফিল্ড স্কুল। যেখানে
খামারিদের খামার আধুনিকায়ন, দক্ষতা উন্নয়ন, নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করানো, উৎপাদিত
দুধ, মাংস ও ডিমের হাইজিন নিশ্চিত করা, দুধ ও মাংসের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, সচেতনতা
বৃদ্ধি এবং খামারে উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থাপনার উপরেও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও
সহায়তা দেয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ৪০০টি ভিলেজ মিল্ক কালেকশন সেন্টার ও ২০টি মিল্ক
হাব স্থাপন করা হবে। যেখানে খামারিরা ন্যায্য মুল্যে তাদের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে
পারবে।
দেশে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়ছে এবং বাংলাদেশ দুধ উৎপাদনে যে অবস্থানে আছে তাতে সামনের দিনগুলোতে উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়বে।
কোনো
খামারির গরু অসুস্থ হলে যেনো সহজেই চিকিৎসা পায় তার জন্য চালু করা হয়েছে মোবাইল ভেটেরিনারি
ক্লিনিক। দেশের ৬১ জেলার ৩৬০টি উপজেলায় চালু হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ প্রাণিচিকিৎসা ক্লিনিক।
খামারির দোরগোড়ায় চিকিৎসকসহ পৌঁছে যাবে এই ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক। কোনো প্রকার অর্থ
ছাড়া বিনা মুল্যে এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে যেকোনো খামারি। ফলে পশু মৃত্যুর হার কমবে
এবং খামারিরাও বড় ক্ষতির থেকে রেহাই পাবে।
প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, শুধুমাত্র গত দশ বছরে দেশে খামার বেড়েছে ১০ লাখ ২ হাজার, যেখানে
২০১০-১১ অর্থবছরে ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার। এ সময়ে গরুর খামার বেড়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৪৪০,
আগে ছিল ৭৯ হাজার ৮৫০। দেশে এখনও দুধের ঘাটতি থাকলেও গত ১০ বছরে দুধের উৎপাদন বেড়েছে
৮০ লাখ টনেরও বেশি। খুব শীঘ্রই এ ঘাটতি পুরন করে দুধ রপ্তানি করারও আশাবাদ ব্যাক্ত
করেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খামার ব্যবস্থাপনার
উন্নয়নে ‘বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রাণিসম্পদ
ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী
বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, এই বোর্ড মূলত দুধ উৎপাদন থেকে শুরু করে উৎপাদন পরবর্তী ভোক্তা
পর্যন্ত যাওয়া সব ধরনের কাজ করবে। যেমন- দুধ উৎপাদন করা, সংগ্রহ করা, দুধ প্রক্রিয়াজাতকরণের
মাধ্যমে বহমুখীভাবে বাজারজাতকরণসহ ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ
করবে। এছাড়া বোর্ডের আওতায় খামারিরা সংযুক্ত থাকবে। তবে যারা আগ্রহী নন তারা তাদের
মতো করে উৎপাদন করবে।
তিনি
বলেন, দেশে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়ছে এবং বাংলাদেশ দুধ উৎপাদনে যে অবস্থানে
আছে তাতে সামনের দিনগুলোতে উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়বে। উৎপাদন বাড়লে উৎপাদিত বাড়তি
দুধ যেন নষ্ট না হয়, উৎপাদনকারী খামারিরা যাতে কোনোভাবে ক্ষতির শিকার না হন এবং বাজার
ব্যবস্থা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনো সংকট তৈরি না হয় ইত্যাদি বিষয়াবলি গুলোকে সুষ্ঠুভাবে
দেখভাল করার জন্য সরকার বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড আইন পাশ করছে। আর এই আইনের বাস্তবায়ন
হলে খামারিরা সরাসরি লাভবান হবে।
‘প্রাণিসম্পদ
ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প’ এর সুফল ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে দেশের
বিভিন্ন পর্যায়ের খামারিরা। ‘বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০২২’
এবং ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়িত হলে আমূলের মত বাংলাদেশও
দুগ্ধ শিল্পে একটি বিপ্লব ঘটাবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
তৃতীয় লিঙ্গ এলডিডিপি প্রকল্প সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপি খালেদা জিয়া তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
খায়রুন তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর একজন। তবে সে আর দশজনের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে না, মানুষের কাছে চাঁদা চায় না কিংবা কারো কারো মতো অশ্লীল আচরণ করে মানুষকে বিব্রতও করে না। সময় করে একটু ঘাস কাটে, বাচ্চাকে সময় দেয়। তার পরিবারের সদস্যের যত্ন করতেই তার বেশির ভাগ সময় যায়। এভাবেই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয় তার। যত স্বপ্ন পুরো পরিবার নিয়েই। সেই স্বপ্ন পূরণে সে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। আর স্বপ্ন পূরণে সহযাত্রী হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন—এমন বার্তা তিনি দিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকেও তার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে তারেক জিয়া তাকে এখনই রাজনীতি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও সেই সূত্রটি বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী যখন পালিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় জিয়া পরিবারের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে চলছে তুমুল গণ্ডগোল। বিশেষ করে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এই অভিযোগে সিঁথি তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আইনগত নোটিশ পাঠিয়েছেন তারেক জিয়ার কাছে।