গতকাল জনসভা
শেষ হয় সন্ধ্যায়। জনসভার পর বিএনপি নেতারা ছিলেন খোশমেজাজে। তারা লন্ডনে তারেক জিয়ার
প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তাকে ফোন করেন। ওই প্রান্ত থেকে তারেক জিয়া কি বলেন তা শোনার
জন্য স্পিকার অন করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন
বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা। এ সময় তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অকথ্য ভাষায়
গালাগালি করেন। তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন ভীরু, নপুংসক
নেতা হিসেবে চিহ্নিত করেন। অন্যান্য নেতারা তারেক জিয়ার এই অশ্রাব্য গালিগালাজ ও নোংরা
কথায় হতবিহ্বল হয়ে পরেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চেহারা মুহুর্তেই ফ্যাঁকাসে হয়ে
যায়। তারেক জিয়া নির্দেশ দেয় যে, এভাবে আন্দোলনের কর্মসূচি হবে না। এভাবে কর্মসূচি
করে সরকারের পতন ঘটানো যাবে না। দরকার আক্রমণাত্মক কর্মসূচির। আমার দরকার লাশ।
তারেক জিয়া
এই ধরণের বক্তব্যের পর জানিয়ে দেন যে, আগামীকাল তিনি দেশকে সহিংস দেখতে চান, জ্বালাও
পোড়াও দেখতে চান। রাজপথে যেন আগুন ঝড়ে। আর তারই ফলশ্রুতিতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখে
বিএনপির মারমুখি চেহারা লক্ষ্য করা যায়।
তারেক জিয়া
মির্জা ফখরুল ইসলামকে গালি দিয়েই ক্ষান্ত হননি। তিনি বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের নেতা
যারা তার একান্ত অনুগত, তাদেরকে নির্দেশ দেন, তারা যেন বিভিন্ন প্রবেশমুখে অবস্থা নেয়
এবং একটি সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করে। তারেক জিয়া অন্তত পাঁচজন বিএনপি নেতাকে টেলিফোন
করেন এবং আগামীকাল কিছু একটা ঘটানো জন্য অন্তত কিছু লাশ ফালানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর প্রেক্ষিতেই আজকের সহিংস ঘটনা ঘটেছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গতকাল তারেক
জিয়ার ফোনের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য। তিনি বলেছেন
একজন রাজনৈতিক নেতা এত নিম্নমানের এবং নোংরা ভাষায় কথা বলতে পারেন তা না শুনলে বিশ্বাস
করা যায় না। বিএনপি যেভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিল তাতে জনগণের মধ্যে যেমন
একটি অবস্থান হচ্ছিল তেমনি আন্তর্জাতিক মহলেও বিএনপির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখা যাচ্ছিল।
কিন্তু আজকে বিএনপি সকাল থেকে যেভাবে মারমুখী অবস্থান গ্রহণ করল, এটি আবার বিভিন্ন
মহলের কাছে বিএনপি অবস্থান এবং রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
বিএনপির সিনিয়র
নেতারা এটি চাননি। তারা চেয়েছিল আস্তে আস্তে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের
উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে। কিন্তু তারেক জিয়া সেই পুরনো পথেই চলে গেলেন। তারেক
জিয়ার কারণেই এখন বিএনপি আবার সেই জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিতে ফিরে গেল। এই ঘটনাগুলো ঘটিয়ে
তারেক জিয়া সরকারকে চাপে ফেলতা চায় বলেও কোন কোন মহল মনে করছেন।
তবে বিএনপির
কোন কোন নেতা বলছেন যে, তারেক জিয়া সবসময় বিএনপিকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং তার মূল লক্ষ্য
একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নয়। তিনি সরকারকে কোণঠাসা করে সরকারের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ
আদায় করতে চান। সে কারণেই তার কাছে জ্বালাও পোড়াও এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।
তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল লন্ডন মহাসমাবেশ ২৮ জুলাই
মন্তব্য করুন
তৃতীয় লিঙ্গ এলডিডিপি প্রকল্প সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপি খালেদা জিয়া তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
খায়রুন তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর একজন। তবে সে আর দশজনের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে না, মানুষের কাছে চাঁদা চায় না কিংবা কারো কারো মতো অশ্লীল আচরণ করে মানুষকে বিব্রতও করে না। সময় করে একটু ঘাস কাটে, বাচ্চাকে সময় দেয়। তার পরিবারের সদস্যের যত্ন করতেই তার বেশির ভাগ সময় যায়। এভাবেই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয় তার। যত স্বপ্ন পুরো পরিবার নিয়েই। সেই স্বপ্ন পূরণে সে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। আর স্বপ্ন পূরণে সহযাত্রী হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন—এমন বার্তা তিনি দিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকেও তার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে তারেক জিয়া তাকে এখনই রাজনীতি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও সেই সূত্রটি বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী যখন পালিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় জিয়া পরিবারের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে চলছে তুমুল গণ্ডগোল। বিশেষ করে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এই অভিযোগে সিঁথি তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আইনগত নোটিশ পাঠিয়েছেন তারেক জিয়ার কাছে।