বিএনপির
বেশ কিছু নেতাকর্মীকে আটক
করা হয়েছে। আটক নেতাকর্মীদের মধ্যে
বিএনপির মিডিয়া ইউংয়ের প্রধানও রয়েছেন। জহির উদ্দিন স্বপন একদা বাম রাজনীতি করতেন।
তিনি দক্ষিণাঞ্চল থেকে উঠে আসা
জহির উদ্দিন স্বপন বাম
রাজনীতি থেকে বিএনপিতে যোগ
দেন। আবার এক-এগারোর সময়
তিনি ছিলেন একজন সংস্কারপন্থী। বেগম
খালেদা জিয়াকে যারা রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে
চেয়েছিল তাদের অন্যতম নেতা ছিলেন জহির
উদ্দিন স্বপন। তিনি পরবর্তীতে আবার
বিএনপিতে আসেন। এখন তারেক জিয়ার নির্দেশে
বিএনপির মিডিয়া উইং পরিচালনা করেছেন।
সম্প্রতি
তিনি গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গ্রেপ্তারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা
হচ্ছে। তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জহির উদ্দিন স্বপন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা
বলেছেন। তার মধ্যে একটি
হল তিনি আওয়ামী লীগের
বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী
লীগের দক্ষিণাঞ্চলের দুই জন হেভিওয়েট
নেতার সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ
করতেন। এই হেভিওয়েট নেতাদের সাথে যোগাযোগের সূত্র
ধরে তারেকের সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন। তার এই বক্তব্য
নিয়ে এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে
তুলকালাম চলছে।
বিভিন্ন
সূত্র থেকে আওয়ামী লীগের
বিভিন্ন নেতা ওই দুই
নেতার নাম জেনেছেন এবং
জহির উদ্দিন স্বপন রিমান্ডে এই বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশ
করেছে, সেটির সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। তবে এ ধরনের
বক্তব্য কতটুকু সত্য সে সম্পর্কে
নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া
যায়নি। এ ব্যাপারে যারা
স্বপনকে রিমান্ডে এনেছেন, তারাও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে
চাননি। তবে এ ধরনের
বক্তব্যের ফলে আওয়ামী লীগের
রাজনীতিতে হঠাৎ করে তোলপাড়
শুরু হয়েছে।
যে দুই জন নেতার
সঙ্গে তারেক জিয়ার যোগাযোগ হয়েছে বলে স্বপন দাবি
করেছেন, তাদের দুইজনই সংস্কারপন্থী। জহির উদ্দিন স্বপন এক-এগারোর সময় এই দুই
নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন এমন তথ্যও পাওয়া
যায়। সেই সময় আওয়ামী
লীগ বিএনপি উভয় পক্ষের সংস্কারপন্থীরাই
একসাথে কাজ করেছিলেন একটি রাজনৈতিক মেরুকরণের
লক্ষ্যে। এখন প্রশ্ন হল
যে সত্যি সত্যি কী তারেকের সঙ্গে
আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা
যোগাযোগ করেছিলেন?
কোন কোন
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন যে,
যোগাযোগ হলেও হতে পারে।
তবে এই যোগাযোগ রাজনৈতিকভাবে
তাৎপর্যহীন। আবার
কোন কোন নেতা মনে
করেন যে বিএনপি এখন আওয়ামী
লীগের মধ্যে নানারকম অবিশ্বাস, বিভক্তি এবং কোন্দল সৃষ্টি করার জন্য এই
ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এটি অসম্ভব
ব্যাপার। কারণ এ রকম
যোগাযোগ করলে সেটি আওয়ামী
লীগের হাইকমান্ড বা আওয়ামী লীগ সভাপতি জানবেন না এমনটি মনে
করার কোন কারণ নেই।
ওই দুই নেতা এখন
এমনিতেই কোণঠাসা
অবস্থায় আছেন। তারা এ রকম
ঝুঁকি নেবেন না।
আবার
অনেকে মনে করছেন যে
বিএনপির বিরুদ্ধে যেমন আওয়ামী লীগ
নানারকম অপপ্রচার করছে, বিশেষ করে বিএনপি ভাঙছে,
বিএনপিতে নানারকম ভাঙন প্রক্রিয়া, সেই
হিসেবে কাউন্টার প্রোপাগান্ডা হিসেবে এই ধরনের অপপ্রচার
গুলো করা হচ্ছে। আওয়ামী
লীগকে দুর্বল করে তোলা। আওয়ামী
লীগের নেতা কর্মীদের মনোবল
নষ্ট করার জন্য এটা করা
হচ্ছে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির আত্মঘাতী তৎপরতার পর এমনিতেই বিএনপির অবস্থা অনেকটা শোচনীয়। তারা খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে। দলের মধ্যে অবিশ্বাস সন্দেহ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মেজর হাফিজ এর বক্তব্য বিএনপির মধ্যে এক ধরনের নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কৌশলগত কারণে যদি তারা আওয়ামী লীগকেও বিতর্কিত করতে পারে বা আওয়ামী লীগের মধ্যেও বিভক্তি দেখাতে পারে তাহলে তাদের লাভ। সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই এটা করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
তবে এটি
সত্য বা মিথ্যা সেটি
অন্য বিষয়। তবে যদি উদ্দেশ্যপূর্ণভাবেও এই গুজব
ছড়ানো হয়, সেটি এখন
আওয়ামী লীগের মধ্যে
বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ফোরামে এ নিয়ে বেশ
আলোচনা হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগের
অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ তারেক জিয়া বৈঠক জহির উদ্দিন স্বপন
মন্তব্য করুন
তৃতীয় লিঙ্গ এলডিডিপি প্রকল্প সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপি খালেদা জিয়া তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
খায়রুন তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীর একজন। তবে সে আর দশজনের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে না, মানুষের কাছে চাঁদা চায় না কিংবা কারো কারো মতো অশ্লীল আচরণ করে মানুষকে বিব্রতও করে না। সময় করে একটু ঘাস কাটে, বাচ্চাকে সময় দেয়। তার পরিবারের সদস্যের যত্ন করতেই তার বেশির ভাগ সময় যায়। এভাবেই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হয় তার। যত স্বপ্ন পুরো পরিবার নিয়েই। সেই স্বপ্ন পূরণে সে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। আর স্বপ্ন পূরণে সহযাত্রী হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন—এমন বার্তা তিনি দিয়েছেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকেও তার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন বলে একটি সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। তবে তারেক জিয়া তাকে এখনই রাজনীতি না ছাড়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলেও সেই সূত্রটি বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী যখন পালিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় জিয়া পরিবারের সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিয়ে চলছে তুমুল গণ্ডগোল। বিশেষ করে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সব সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। এই অভিযোগে সিঁথি তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আইনগত নোটিশ পাঠিয়েছেন তারেক জিয়ার কাছে।