ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা বন্ধে ছয় প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে গত বৃহস্পতিবার এক তরুণ গুলি চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করে। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ১৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো নতুন কিছু নয়। দেশটির ইতিহাসে এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে শত শত বার।
ফ্লোরিডার স্কুলের হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে দেশটিতে গণজাগরণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশটির তরুণরা শুরু করেছেন ‘নেভার এগেইন’ আন্দোলন। এদিকে এ ধরনের হামলা রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কুলের শিক্ষকদের অস্ত্র বহনের প্রস্তাব করেছেন। তবে ইতিহাসে কখনোই অস্ত্র দিয়ে হত্যাকাণ্ড রোধ করা যায় নি। বিশেষজ্ঞরা রক্তক্ষয়ী হামলা প্রতিরোধে ছয়টি প্রস্তাব করেছেন।

১. ঘাতকের নাম প্রকাশ করবেন না
আরিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ ড. শেরিন টাওয়ার্সের নেতৃত্বে একদল গবেষক বলেছেন, প্রতি ১৩ দিনে এ ধরণের গণহত্যার আশঙ্কা আছে। আর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড মানুষের মনে সংক্রমিত হচ্ছে। এমন কোনো হত্যাকাণ্ড নেই যেখানে ঘাতকের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় নি। তাই তিনি ঘাতকের নাম পরিচয় প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান। তারা ‘ডোন্ট নেইম দেম’ নামে একটি ক্যাম্পেইনও চালাচ্ছেন।
আরেক জন গবেষক ড. পিট ব্লেয়ার ঘাতকদের নাম প্রকাশের পক্ষে। তবে তিনি মনে করেন গণমাধ্যমকে এই হামলাগুলো প্রতিরোধে বীরদের সম্পর্কে প্রচারণা চালানোর উচিত। অনেক সাংবাদিক যেমন সিএনএনের এন্ডারসন কুপার এখন গণমাধ্যমে ঘাতকদের নাম প্রকাশ করেন না। নাম প্রকাশ না হলে অনেকেই ঘাতক হতে চাইবে না।

২. শিক্ষকদের বন্দুক বহন
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্যান্ডি হুক ইলিমেন্টারি স্কুলে গুলি চললে দ্রুত পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আর পুলিশ চার মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ততক্ষণে বন্দুক ২০ জনকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে। এ ধরণের হামলা রোধে শিক্ষকদের হাঁতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ১০ টি স্টেটে বন্দুক নিষিদ্ধ আর আটটিতে বন্ধুক গাড়িতে বন্দুক বহন করা যাবে। তবে বাকি ৩২ টি স্টেটে শিক্ষকরা স্কুলে বন্দুক বহন করতে পারে। এবছর ২০০ থেকে ৪০০ জন শিক্ষককে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে অস্ত্র বহন শিক্ষকদের জন্য দুঃখজনক। যেমন নাইন ইলেভেনের আগে বিমানের পাইলটরা অস্ত্র বহন সম্পর্কে এমনটাই ভাবতেন।

৩। প্রতি শ্রেণীকক্ষে দুইটি দরজা
মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে যখন গুলি চলছিল ১৭ বছর বয়সী ডেভিড হগ রান্নার ক্লাসরুমে আশ্রয় নেয়। এল আকৃতির এই রুমে দুটি দরজা ছিল। হগ ভেবেছিল যদি ঘাতক কক্ষে প্রবেশ করলে ষে অন্য দরজা দিয়ে পালাবে। তার এই সিদ্ধান্তকে বিশেষজ্ঞরা সমর্থন করেছে।
এ প্রসঙ্গে ড. পিট ব্লেয়ার বলেন, ‘ছোট্ট এলাকাতে আটকে পড়া মানুষ এই ধরণের ঘোটনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।’

৪। সঙ্কটাপন্ন নাগরিকদের কাছ থেকে অস্ত্র সরাতে হবে
লন্ডনে এলিয়ট রজার ২০১৪ সালে ছয় জনকে গুলি করে হত্যা করে। স্থানীয় শেরিফ বলেন এলিয়ট রজার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিল।
এই ঘটনার চার মাস পর ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতারা পুলিশ, নাগরিকদের মানসিক ভাবে বিপর্যস্তদের কাছ থেকে অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। তবে রাষ্ট্রীয় আইনে মানসিক ভাবে অসুস্থ কেউ অস্ত্র কিনতে পারে না। অস্ত্র বিক্রেতাদের ক্রেতাদের পূর্ব ইতিহাস জেনে অস্ত্র বিক্রয় করতে হয়। ক্রেতা যদি মানসিক ভাবে অসুস্থ কিংবা পূর্বে কোনো মানসিক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন তবে সে অস্ত্র কিনতে পারবে না।

৫। স্কুলে বিমানবন্দরের আদলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
স্কুলে বিমান বন্দরেরে আদলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে ঘাতক সহজে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না। ফ্লোরিডার স্কুলগুলোর জন্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যায়ে পাঁচটি মেটাল ডিটেক্টর ক্রয় করা হয়েছে। সেই সাথে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু স্কুল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কেন ট্রাম্প এই মেটাল ডিটেক্টর দরজা হামলা রোধে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দিহান। তিনি বলেন, ‘এই ব্যবস্থা ব্যবহারিক ভাবে কার্যকর নয়।’

৬। দ্বিতীয় সংশোধনী রদ
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অস্ত্রের ক্রেতাদের অধিকার সংরক্ষণ করে। দেশটির ১৭৯১ সালের দিত্বিয় সংশোধনীতে নাগরিকরা অস্ত্র রাখতে ও বহন করতে পারবে বলে অনুমোদন দেয়। এই আইন পরিবর্তনীয়। যেমন দেশটির ১৮ তম সংশোধনীতে এলকোহল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আর ২১ তম সংশোধনীতে এটি রদ করা হয়।

ফ্লোরিডার স্কুলে গুলি চলার পর দ্বিতীয় সংশোধনী বাতিলে অনেকে মত প্রকাশ করেছে। তবে শুধু জাতীয় সংবিধানই যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রে স্বাধীনতা দেয় না। দেশটির আরও ৪৪ টি স্টেটের সংবিধানেও নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অনুমতি দেয়। এই কারণে দ্বিতীয় সংশোধনী রদ করলেই অস্ত্র নিষিদ্ধ হবে না। এটি শুধু মাত্র মার্কিন নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অধিকার রদ করবে।

বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।

বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ববিদ্যালয়   ইসরাইল   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে: ম্যাখোঁ

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে। ইউরোপের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিতে প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মহাদেশের মার্কিনিদের অধীন হওয়া উচিত হবে না। এ সময় তিনি বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় অবস্থানের রূপরেখা প্রদান করেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউরোপের সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপীয় একাডেমি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনোভাবে সফল হতে দেওয়া যাবে না।

ম্যাখোঁ বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই কাজে দেবে না। কয়েক দশক ধরে এ খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

ম্যাখোঁ আরও বলেন, অধিক পরিমাণে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। এটি দ্রুত করতে হবে। আর ইউরোপীয়দের জন্য এসব প্রস্তুত করতে হবে। ইউরোপকে দেখাতে হবে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অধীন নয়।

বর্তমানে মার্কিন সামরিক ছত্রছায়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই বলে অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তা মনে করেন।


ইউরোপ   ধ্বংস   ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ   প্রতিরক্ষা শিল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের ওপর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ড্রোন ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। 

বিবিসি জানায়, ইরানের ড্রোনের ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া এই পদক্ষেপ ইরানের এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইরানি মনুষ্যবিহীন আকাশযান গোপনে বিক্রির সুবিধা ও অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে। 

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানি পণ্য চালানের সঙ্গে জড়িত দুটি কোম্পানি ও একটি জাহাজকেও টার্গেট করেছে ওয়াশিংটন।

১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

গত ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের ১৬ জন ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরানের ড্রোন কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।


ইরান   যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: ভোট দিলে বিনামূল্যে দেওয়া হবে মদ

প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। মোট সাত ধাপে ৪১ দিনব্যাপী ভোট নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ চলছে। 

ভারতে ভোটাভুটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা গেলও এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যায় কর্ণটকের বেঙ্গালুরুতে। সেখানে ভোটাররা ভোট দিতে তেমন একটা আসেন না।

তবে ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সেজন্য সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ডেক অব ব্রিয়ুস নামের একটি জনপ্রিয় মদের দোকান ঘোষণা দিয়েছে, ভোট দিয়ে এসে যে প্রথম ৫০ জন কাস্টমার তাদের দোকানে আসবেন তাদের বিনামূল্যে মদ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এছাড়া ভোটারদের ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পিসি রাও সংবাদমাধ্যম বেঙ্গালুরু মিররকে বলেছেন, 'ভিন্ন ভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁ ভিন্ন সেবা দেবে। কিছু জায়গায় বিনামূল্যে কফি দেওয়া হবে, কোথাও দোসা দেওয়া হবে। কিছু হোটেল-রেস্তোরাঁ ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার সরবরাহ করবে।'

শুধুমাত্র যে খাবারের দোকান ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে তাই নয়। ট্যাক্সি কোম্পানি এমনকি একটি  অ্যামিউজমেন্ট পার্কও ভোটারদের জন্য বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে। তবে এসব সেবা পেতে হলে ভোট দেওয়ার প্রমাণ স্বরূপ কালো মার্ক দেখাতে হবে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরুর মধ্যাঞ্চলে ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। উত্তর ব্যাঙ্গালুরুতে ভোট গ্রহণের হার ছিল ৫৪ দশমিক ৭। যেখানে পুরো দেশে গড় ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬৮ শতাংশ।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   মদ   নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: রাহুল-শশীদের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে আজ। এই পর্বে মোট ৮৮টি রাজ্যের ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে লড়াই হবে। যেখানে মোট ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ভোটার নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করবেন।

দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনি লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর, বিদায়ি সংসদের স্পিকার ওম বিড়লাসহ ভারতের একাধিক হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বলিউডের ড্রিমগার্ল হেমামালিনীর মতো গ্ল্যামার দুনিয়ার মহিরুহ। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন অ্যানি রাজা, নবনীত রানা, অরুণ গোভিল ও প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা।   

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের ঘোষণার সময় দ্বিতীয় দফায় ৮৯টি আসনে ভোটগ্রহণের ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল লোকসভা আসনে বিএসপি প্রার্থী অশোক ভালভির আচমকা মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। তাই দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। 

দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে রাজ্যের উত্তরাংশের পাহাড়প্রধান এলাকা দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে। 

দ্বিতীয় দফায় ভারতের যে ১৩ রাজ্যের ৮৮টি আসনে ভোট হচ্ছে। সেগুলো হলো- ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীর। 

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফা নির্বাচনে পুরো রাজ্যে ৬০ থেকে ৭৯ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারু-এই তিন কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৭৭ শতাংশ। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের চা-বাগানপ্রধান এলাকা জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছেন, এই নারীরা সবাই তার দলকেই ভোট দিয়েছেন। 

এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। চলবে প্রায় দুই মাস। ভোটপর্ব শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে। ওইদিন জানা যাবে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপির নরেন্দ্র মোদির সরকার ফের ক্ষমতায় আসছে, না রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে।

দ্বিতীয় দফার ভোটে সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়ানাড় লোকসভা আসন থেকে ফের নির্বাচনে লড়ছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিআই-এর অ্যানি রাজা এবং এনডিএ-এর কে সুরেন্দ্রন। কংগ্রেসের মুকেশ ধানগার উত্তরপ্রদেশের মথুরা লোকসভা আসন থেকে অভিনেত্রী-বর্তমান সংসদ-সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী হেমামালিনীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিদায়ি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আবারও রাজস্থানের কোটা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে প্রহ্লাদ গুঞ্জালকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংসদ-সদস্য শশী থারুর ফের কেরালার তিরুবনন্তপুরম লোকসভা আসনের প্রার্থী। বিজেপি তার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে রাজীব চন্দ্রশেখর এবং বামপন্থি পানিয়ান রবীন্দ্রনকে।


লোকসভা নির্বাচন   নির্বাচন   ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন