ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা বন্ধে ছয় প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে গত বৃহস্পতিবার এক তরুণ গুলি চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করে। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ১৪ জন। যুক্তরাষ্ট্রে গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো নতুন কিছু নয়। দেশটির ইতিহাসে এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে শত শত বার।
ফ্লোরিডার স্কুলের হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে দেশটিতে গণজাগরণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশটির তরুণরা শুরু করেছেন ‘নেভার এগেইন’ আন্দোলন। এদিকে এ ধরনের হামলা রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্কুলের শিক্ষকদের অস্ত্র বহনের প্রস্তাব করেছেন। তবে ইতিহাসে কখনোই অস্ত্র দিয়ে হত্যাকাণ্ড রোধ করা যায় নি। বিশেষজ্ঞরা রক্তক্ষয়ী হামলা প্রতিরোধে ছয়টি প্রস্তাব করেছেন।

১. ঘাতকের নাম প্রকাশ করবেন না
আরিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ ড. শেরিন টাওয়ার্সের নেতৃত্বে একদল গবেষক বলেছেন, প্রতি ১৩ দিনে এ ধরণের গণহত্যার আশঙ্কা আছে। আর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড মানুষের মনে সংক্রমিত হচ্ছে। এমন কোনো হত্যাকাণ্ড নেই যেখানে ঘাতকের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয় নি। তাই তিনি ঘাতকের নাম পরিচয় প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান। তারা ‘ডোন্ট নেইম দেম’ নামে একটি ক্যাম্পেইনও চালাচ্ছেন।
আরেক জন গবেষক ড. পিট ব্লেয়ার ঘাতকদের নাম প্রকাশের পক্ষে। তবে তিনি মনে করেন গণমাধ্যমকে এই হামলাগুলো প্রতিরোধে বীরদের সম্পর্কে প্রচারণা চালানোর উচিত। অনেক সাংবাদিক যেমন সিএনএনের এন্ডারসন কুপার এখন গণমাধ্যমে ঘাতকদের নাম প্রকাশ করেন না। নাম প্রকাশ না হলে অনেকেই ঘাতক হতে চাইবে না।

২. শিক্ষকদের বন্দুক বহন
২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্যান্ডি হুক ইলিমেন্টারি স্কুলে গুলি চললে দ্রুত পুলিশে খবর দেওয়া হয়। আর পুলিশ চার মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ততক্ষণে বন্দুক ২০ জনকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে। এ ধরণের হামলা রোধে শিক্ষকদের হাঁতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ১০ টি স্টেটে বন্দুক নিষিদ্ধ আর আটটিতে বন্ধুক গাড়িতে বন্দুক বহন করা যাবে। তবে বাকি ৩২ টি স্টেটে শিক্ষকরা স্কুলে বন্দুক বহন করতে পারে। এবছর ২০০ থেকে ৪০০ জন শিক্ষককে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে অস্ত্র বহন শিক্ষকদের জন্য দুঃখজনক। যেমন নাইন ইলেভেনের আগে বিমানের পাইলটরা অস্ত্র বহন সম্পর্কে এমনটাই ভাবতেন।

৩। প্রতি শ্রেণীকক্ষে দুইটি দরজা
মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে যখন গুলি চলছিল ১৭ বছর বয়সী ডেভিড হগ রান্নার ক্লাসরুমে আশ্রয় নেয়। এল আকৃতির এই রুমে দুটি দরজা ছিল। হগ ভেবেছিল যদি ঘাতক কক্ষে প্রবেশ করলে ষে অন্য দরজা দিয়ে পালাবে। তার এই সিদ্ধান্তকে বিশেষজ্ঞরা সমর্থন করেছে।
এ প্রসঙ্গে ড. পিট ব্লেয়ার বলেন, ‘ছোট্ট এলাকাতে আটকে পড়া মানুষ এই ধরণের ঘোটনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।’

৪। সঙ্কটাপন্ন নাগরিকদের কাছ থেকে অস্ত্র সরাতে হবে
লন্ডনে এলিয়ট রজার ২০১৪ সালে ছয় জনকে গুলি করে হত্যা করে। স্থানীয় শেরিফ বলেন এলিয়ট রজার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিল।
এই ঘটনার চার মাস পর ক্যালিফোর্নিয়ার আইন প্রণেতারা পুলিশ, নাগরিকদের মানসিক ভাবে বিপর্যস্তদের কাছ থেকে অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। তবে রাষ্ট্রীয় আইনে মানসিক ভাবে অসুস্থ কেউ অস্ত্র কিনতে পারে না। অস্ত্র বিক্রেতাদের ক্রেতাদের পূর্ব ইতিহাস জেনে অস্ত্র বিক্রয় করতে হয়। ক্রেতা যদি মানসিক ভাবে অসুস্থ কিংবা পূর্বে কোনো মানসিক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন তবে সে অস্ত্র কিনতে পারবে না।

৫। স্কুলে বিমানবন্দরের আদলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
স্কুলে বিমান বন্দরেরে আদলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে ঘাতক সহজে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না। ফ্লোরিডার স্কুলগুলোর জন্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যায়ে পাঁচটি মেটাল ডিটেক্টর ক্রয় করা হয়েছে। সেই সাথে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু স্কুল নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কেন ট্রাম্প এই মেটাল ডিটেক্টর দরজা হামলা রোধে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দিহান। তিনি বলেন, ‘এই ব্যবস্থা ব্যবহারিক ভাবে কার্যকর নয়।’

৬। দ্বিতীয় সংশোধনী রদ
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অস্ত্রের ক্রেতাদের অধিকার সংরক্ষণ করে। দেশটির ১৭৯১ সালের দিত্বিয় সংশোধনীতে নাগরিকরা অস্ত্র রাখতে ও বহন করতে পারবে বলে অনুমোদন দেয়। এই আইন পরিবর্তনীয়। যেমন দেশটির ১৮ তম সংশোধনীতে এলকোহল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আর ২১ তম সংশোধনীতে এটি রদ করা হয়।

ফ্লোরিডার স্কুলে গুলি চলার পর দ্বিতীয় সংশোধনী বাতিলে অনেকে মত প্রকাশ করেছে। তবে শুধু জাতীয় সংবিধানই যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রে স্বাধীনতা দেয় না। দেশটির আরও ৪৪ টি স্টেটের সংবিধানেও নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অনুমতি দেয়। এই কারণে দ্বিতীয় সংশোধনী রদ করলেই অস্ত্র নিষিদ্ধ হবে না। এটি শুধু মাত্র মার্কিন নাগরিকদের অস্ত্র বহনের অধিকার রদ করবে।

বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ দিলো পুতিন

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বারবার কথা বলছেন পুতিন। ইউক্রেনের আশপাশে পারমাণবিক অস্ত্র মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ এবং বিমানবাহিনীও অংশ নেবে এই মহড়ায়। 

সোমবার (৬ মে) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।

গত ফেব্রুয়ারিতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণেও তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের 'প্রকৃত' ঝুঁকি রয়েছে। 

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালীন নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্রের প্রস্তুতি ও ব্যবহার অনুশীলনের জন্য একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নন-স্ট্র্যাটেজিক পারমাণবিক অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নকশা করা হয় এবং এটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পরিবহন করা সম্ভব।

ক্রেমলিন বলেছে, 'কিছু পশ্চিমা কর্মকর্তার হুমকির মুখে' রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে 'অদূর ভবিষ্যতে' এই পারমাণবিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।

এতে রুশ বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর পাশাপাশি রাশিয়ার দক্ষিণ সামরিক জেলার সৈন্যরাও অংশ নেবেন। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এবং দখল করা ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত হয়েছে এই জেলা।

ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে পুতিনের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান হুমকিতে উদ্বিগ্ন পশ্চিমা কর্মকর্তারা।

গত বছর রাশিয়া ব্যাপক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞা চুক্তির অনুমোদন বাতিল করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত একটি চুক্তি প্রত্যাহার করেছে।


ইউক্রেন   পারমাণবিক মহড়া   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিদের রাফা ছাড়ার নির্দেশ দিলো ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাফাতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী।  সোমবার (০৬ মে) 'সীমিত পরিসরে' অভিযান চালানোর অংশ হিসেবে তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তবে এটা স্থল অভিযানের প্রস্তুতির অংশ কিনা সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের খবরে কিছু বলা হয়নি। খবর রয়টার্সের 

গত সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের ভাষ্য, রাফাতে হাজার হাজার হামাস যোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এখন এ অঞ্চলের দখল ছাড়া আমাদের বিজয় অসম্ভব। 

এদিকে রাফায় ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল সেখানে হামলা চালালে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব ও প্রতিবেশী দেশ মিশর। 

একটি স্থল অভিযান চালানোর আগে রাফাতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের ‘মানবিক এলাকায়’ চলে যাওয়া নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। 

সোমবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে টেক্সট ম্যাসেজ, ফোন কল এবং মিডিয়ায় ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 


ফিলিস্তিন   রাফা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মন্ত্রীর পিএসের গৃহকর্মীর বাসায় কোটি কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর (পিএস) গৃহকর্মীর বাসায় পাওয়া গেল কোটি কোটি টাকা।

সোমবার (৬ মে) দেশটির আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অভিযান চালিয়ে সেসব উদ্ধার করে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচির একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে ইডি। অভিযানে ২৫ কোটি রুপি নগদ উদ্ধার করা হয়। এসব আয় বহির্ভূত কালো অর্থ।

এ দিন ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের এক গৃহকর্মীর বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ৭০ বছর বয়সী আলমগীর একজন কংগ্রেস নেতা। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় আসনের বিধায়ক।

তবে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই টাকার স্তূপে ২০ থেকে ৩০ কোটি রুপি থাকতে পারে। এখনো গণনার কাজ চলছে। এসব খুব চতুরতার সঙ্গে এখানে লুকানো ছিল।

এ বিষয়ে ঝাড়খণ্ড বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শাহদেব বলেন, এই অর্থ উদ্ধারের ঘটনা ইঙ্গিত দেয়, চলমান লোকসভা নির্বাচনে তা ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিল।


মন্ত্রী   পিএস   ঝাড়খণ্ড   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অফিসে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যেই প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে হামলা হয়েছে কংগ্রেস অফিসে।

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আমেঠিতে বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের অফিসে হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। 

রবিবার (৫ মে) মধ্যরাতে  পার্টি অফিসের বাইরে পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

গাড়ি ভাংচুরের শব্দ পেয়ে পার্টি অফিসের সামনে আসেন দলীয় কর্মীরা। এ সময় কর্মীদের সাথে দুর্বৃত্তদের হট্টগোল হয়। পরে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মীরা।

ঘটনার পরই পার্টি অফিসে ছুটে আসেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল।

এই ঘটনায় কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা রাতেই উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভে নামেন। ঘটনার পরই পার্টি অফিসে ছুটে আসেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিজেপির দুর্বৃত্তরা উত্তরপ্রদেশের এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যুব কংগ্রেস নেতা শুভম সিংকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় দুই বিজেপি নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

মধ্যরাতের এই ঘটনার পর পার্টি অফিসে পৌঁছান কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। পার্টি অফিসের বাইরেই হাঙ্গামা শুরু করেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছান সিও মায়াঙ্ক দ্বিবেদীও। ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয়।

গোটা ঘটনার জন্য কংগ্রেস স্মৃতি ইরানিকে দায়ী করেছে। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমেঠির বিজেপি প্রার্থীকে অভিযুক্ত করে পোস্ট করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, 'স্মৃতি ইরানি এবং বিজেপি কর্মীরা আমেঠিতে ভয় পেয়ে গেছে। পরাজয়ের ভয়ে বিজেপির দুষ্কৃতীরা লাঠি, রড নিয়ে কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। অফিসের বাইরে রাখা গাড়িও ভাঙচুর করেছে তারা। আমেঠির মানুষ এবং কংগ্রেসের কর্মীদের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা হয়েছে। অনেকেই এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে।' 

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজও শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'ঘটনার সময় সাধারণ মানুষের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ নির্বাক। এই হামলা প্রমাণ করছে আমেঠিতে বিজেপি হারছে।' 


উত্তরপ্রদেশ   কংগ্রেস   হামলা   গাড়ি ভাঙচুর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোনা কিনতে দুবাই ছুটছেন ভারতীয়রা

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। এদের একটি বড় অংশই ভারতীয়। অন্যসময় এসব পর্যটক দুবাই ঘুরতে যান ধরে নিলেও এই সময়টায় যারা যাচ্ছেন, তাদের অনেকেরই উদ্দেশ্য ভিন্ন। এখন বহু ভারতীয় পর্যটক সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাঁকজমক শহরটিতে ছুটছেন কেবল সোনার কেনার উদ্দেশ্যে।

আগামী ১০ মে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব উদযাপন করবেন ভারতসহ গোটা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। অক্ষয় তৃতীয়া হলো হিন্দু পঞ্জিকার বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। এটি হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ সময়।

অক্ষয় শব্দের অর্থ হলো যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাস অনুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোনো শুভকাজ সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। আধুনিককালে এই তিথিতে সোনার বা রূপার গয়না কেনা হয়। মনে করা হয়, এই শুভ তিথিতে রত্ন বা জিনিসপত্র কিনলে গৃহে শুভযোগ হবে, সুখ-শান্তি ও সম্পদ বৃদ্ধি হবে। এই আশাতেই এদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কিছু না কিছু কিনে থাকেন।

বর্তমানে সোনা ক্রেতা ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেরই প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। অন্যবারের মতো এবারও অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে সোনাদানা কিনতে শহরটিতে ছুটছেন অনেকে।

লিয়ালি জুয়েলারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুরাগ সিনহা বলেন, হ্যাঁ! কিছু লোক সোনা কেনার জন্য ভারত থেকে দুবাই ভ্রমণ করেন, বিশেষ করে অক্ষয় তৃতীয়ার মতো উৎসবের সময়। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়না, কয়েন ও বার পাওয়া যায়। এ কারণে ভারত এবং অন্যান্য দেশের সোনা ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই।

পাভাদ গোল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফুল ঢাকন বলেন, দুবাইয়ের সোনার বাজার এর বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের জন্য পরিচিত। এটি অবশ্যই দুবাইকে সোনা কেনার জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য করে তুলেছে। অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপনকারী ভারতীয়রাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছেন।

বাফলেহ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ ভোরা জানান, ভারতীয় পর্যটকরা জানেন, অক্ষয় তৃতীয়ার সময় দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরনের অফার থাকে। তাই সেই অনুযায়ী তারা ভ্রমণের তারিখ নির্ধারণ করেন।

খালিজ টাইমসের খবর অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব চলাকালীন দুবাইয়ের অনেক জুয়েলার্স সোনা, হীরা এবং মূল্যবান ধাতব গহনা কেনার জন্য ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড়, গহনা বানাতে শূন্য মজুরি এবং উপহারের অফার দিচ্ছে।

কল্যাণ জুয়েলার্সের নির্বাহী পরিচালক রমেশ কল্যাণরামন বলেন, দুবাই সারা বছরই জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। তবে এই মৌসুমে ভারতীয় পর্যটকরা যদি মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ করেন, তাহলে তারা সোনা কেনার সম্ভাবনাই বেশি।


দুবাই   ভারত   সোনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন