নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯
গানের স্কুলে খুব শখ করেই ভর্তি হয়েছিল নওশিন। বাবা-মায়েরও প্রবল আগ্রহ ছিল তাতে। মেয়ে ভালো গাইবে, সবাই তাকে চিনবে- তেমনটাই চাওয়া ছিল। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই সব কেমন তালগোল পাকিয়ে যেতে থাকে। গানের শিক্ষক তো বলেই বসলো যে গান নাকি সবার দ্বারা হয়না। ক্লাসে সবার দক্ষতা নাকি নওশিনের থেকে ভালো, তার গলায় গানগুলো বসছে না। অথচ নওশিন ভাবছে তার চেষ্টার তো কোনো ত্রুটি নেই, সমস্যা কোথায় তাহলে? সমস্যা হচ্ছে তার সুর তুলতে, সেটা ঠিকমতো পারছিল না, সময় লাগছিল। এই অভিযোগে, সহপাঠীরা কি ভাবছে মাথায় নিয়ে সে গানের স্কুল ছেড়েই দিল। কারণ সর্বদা মনে হতো আমি কিচ্ছু পারিনা, গান আসলেই আমাকে দিয়ে হবেনা।
এটাকে সহজ কথায় আমরা হীনমন্যতা বা ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স বলি। এর ফলে নিজেকে সব অবস্থায় তুচ্ছ আর অকেজো মনে হতে থাকে। এটা এমন অনুভূতি যা ব্যক্তিকে মনে করিয়ে দেয় সে অন্যদের তুলনায় নিচু বা নিকৃষ্ট কিছু। এতে করে সামনে এগোনো একেবারেই অসম্ভব হয়ে যায়।
কেন হয় হীনমন্যতা
এর নির্দিষ্ট কারণ নেই। ব্যক্তি আর পরিবেশভেদে এটি ভিন্ন হয়। পড়াশুনায় পিছিয়ে, দেখতে অসুন্দর হলে, অফিসে সবার সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কারো গলা ভাঙা বা তোতলামি থাকলে সে কারো সঙ্গে কথা বলতে চায় না। পাছে সবাই হাসবে সেই ভয়ে।
আবার কারো সন্তান যদি অসুস্থতা বা অটিজমে ভোগে, বাবা-মা তাকে লুকিয়ে রাখতে চায়। তারা ভাবে সমাজ বোধহয় সন্তানটিকে মেনে নেবে না। এর এমন অসংখ্য কারণ রয়েছে। এবার আসি এটাকে উতরে যাওয়ার কৌশলে-
সমস্যার কারণ খুঁজুন…
কেন বা কোন বিষয়ে আপনার মনে হীনমন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করুন। সমাধানের জন্য কারণ জানা জরুরি। আপনি সুন্দর মানুষ, আপনার চেয়ে মেধাবী কাউকে, কারো আর্থিক সচ্ছলতা, কারো সফলতা দেখলে আপনার নিজেকে খুব ছোট ভেবে মন খারাপ করেন। এগুলোই কি হীনমন্যতার প্রধান কারণ? এই উত্তর খুঁজে পেলে চিন্তা করে দেখুন। ভাবুন আপনার ভেতর এমন কিছু রয়েছে অন্য মানুষের মধ্যে নেই। আর আপনার মধ্যে কিছু না থাকা মানে সেটা আপনার দোষ নয়, সেটা আপনার বৈশিষ্ট্য। তখন দেখবেন হীনমন্যতা বোধ কমছে। আর কোনো দোষ থাকলে সেটা কাটিয়ে ফেলুন।
সব বিষয়ে পারফেকশন থাকে না
একটা মানুষের পক্ষে তো সব বিষয়ে পারফেক্ট হওয়া কখনো সম্ভব না। সেটা সবাই জানে। আপনি হয়ত ভালো গান গাইতে পারেন না, অফিসে আপনার পদোন্নতি হতে দেরি হচ্ছে, আপনি ভালো লিখতে পারছেন না- এগুলো নিয়ে এত ভেবে গুটিয়ে থাকার কোনো মানেই হয় না। আপনি হয়ত ভালো আঁকতে পারেন, সবার সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারেন। ভালোমন্দ মিলায় আপনি মানুষ। সবাই সবদিক দিয়ে অলরাউন্ডার হতে পারেনা।
অন্যের মত কেন হতে চাইবেন?
আপনি আপনার মতো করে সেরা হতে চেষ্টা করবেন, অন্যের অনুকরণ অবশ্যই করবেন না। অন্যের মতো হতে পারছি না- এটাই বেশি হীনমন্যতা তৈরি করে। আপনার যা আছে আপনি সেটাকেই ভালো করে গড়ুন, সবার মাঝে উদাহরণ তৈরি করুন। অন্যেরটা আপনাকে ভাবতে হবে না। অন্যের বৈশিষ্ট্য দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া যায়, অনুকরণ ঠিক না। এতে আপনার স্বকীয়তা কোথায় থাকলো?
বড় সমস্যা হলো ‘মানুষ কী ভাবল’ চিন্তাটি
মানুষ কি মনে করলো- এই ব্যাপারটা মাথা থেকে ঝাড়ুন। আমরা আজীবন এটা ভেবেই নিজেকে শেষ করি ‘না জানি এটার জন্য মানুষ আমাকে কি ভাবছে’! সবসময় মাথায় রাখবেন মানুষের কাজই অন্যকে নিয়ে চিন্তা করা। সেগুলো তাদের করতে দিন, তাকে নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আপনার নেই। যেমন আছেন তেমন থাকুন, নিজের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন। নিজস্ব গুণগুলো নিয়ে ভেবে একটা তালিকা করুন, সেগুলোকে কাজে লাগান। দোষ থাকলে সেটা নিজে বদলান। আর ভুলেও অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করবেন না। কারণ আমরা সবাই সবার চেয়ে আলাদা। সবাই আলাদা পরিবেশে আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে বেড়ে ওঠে।
সবসময় আফসোস
সময় পেলেই আমরা ভাবি যে, এটা যদি এমন হতো, এটা যদি অমন হতো। মানে কোনোকিছুই আমাদের মনমতো হয়না। আমরা যেটা করি সেটা নিজেরই অপছন্দ হয়। যে জিনিস হয়নি বা হচ্ছেনা, তা নিয়ে পড়ে না থেকে যা আছে বা হয়েছে তা নিয়েই খুশি থাকুন।
নেতিবাচক কথা বাদ দিন
আপনার যে গুণগুলো আছে সেগুলোকে আরও শাণিত করুন। আমার এত ধৈর্য হচ্ছে না, আমাকে দিয়ে এই কাজ হবে না, আমি বার বারই ব্যর্থ- এটা ভেবে কোনো কাজ শুরু করবেন না। ভাববেন যে ধৈর্য না থাক, আমি চেষ্টা করলেই পারবো। আজ না পারি, কাল অবশ্যই পারবো। নিজের মধ্যে সবসময় আত্মবিশ্বাস রাখুন।
নিজেকে সামাজিক করে তুলুন
আপনি যত গুটিয়ে থাকবেন, তত হীনমন্য হতে থাকবেন। লাজুক, মুখচোরা মানুষগুলো বেশি দ্বিধায় ভোগে। এজন্য আশেপাশের সবার সঙ্গে মিশুন। এতে আপনি বুঝবেন সবাই আপনাকে কেমন চোখে দেখে। আর এমন মানুষদের সঙ্গে মিশুন যারা আপনার বৈশিষ্ট্যগুলোকে নিয়েই ভালোবাসে। যারা সমালোচনা না করে আপনার ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেয়, তাদের সঙ্গে চলুন। নিজেকে প্রাধান্য দিতে শিখুন।
এর পাশাপাশি সবসময় অন্যকে সাহায্য করুন। বিপদগ্রস্থ মানুষ বিপদ কাটিয়ে আপনার দিকে তৃপ্তির হাসি দিলেই আপনার হীনমন্যতা অনেকটাই চলে যাবে। বুঝবেন যে আপনি সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যে বিষয়গুলোতে ভয় পান, সেই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন, সম্ভব হলে মুখোমুখি হন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
আমাদের অভিমান, অনুরাগ সমস্তই জমা হয় প্রিয়জনের নামে। সম্পর্কে প্রাধান্য বেশি থাকে বলে ভুল বোঝাবুঝির ভয়টাও থাকে বেশি। বিশেষ করে দুইজন দুই জায়গায় থাকলে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রাটা যেন বেড়ে যায়।
কাছে থাকলে একটুখানি ঠোঁটের হাসিতে, চোখের চাহনিতে যে কথা বোঝানো যায়, দূরে থাকলে তা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তাইতো একটি ইতিবাচক বিষয়ও নেতিবাচক হতে সময় লাগে না। কিন্তু এই ভুল বোঝাবুঝিকে বাড়তে দিলেই মুশকিল। সেখান থেকে জন্ম নিতে পারে আরো বড় দূরত্বের।
প্রেম কিংবা বিয়ে এই দুই সম্পর্কেও সঙ্গীর সঙ্গে নানা কারণে সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর এ থেকেই বাড়ে দূরত্ব। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যায়। তাই ভুল বোঝাবুঝির হলে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে দ্রুত। সমস্যা কাটিয়ে সম্পর্ক সুন্দর রাখার কিছু টিপস।
১. যখন কোনো বিষয় নিয়ে দুজনের ভুল বোঝাবুঝি হবে তখন দুই পক্ষের কথা শুনতে হবে। শুধু নিজের কথা বলে সঙ্গীর কথা না শুনলে সমাধান আসবে না কখনও। তাই দুজনের কথা বলার সুযোগ থাকবে। এর পর দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিন সমাধানের পথ কীভাবে খুঁজবেন।
২. ভুল বোঝাবুঝির প্রধান কারণ হল সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের অভাব। আমরা যেভাবে ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করার চেষ্টা করি সেটাই সম্পর্কের স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে। রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নিয়ে আসবে না বরং দূরত্ব বাড়াবে। তাই যে সমস্যাই হোক না কেন কথা বলে সমাধান করুন।
৩. সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে অনেকেই খুব রাগারাগি করেন কিংবা তাকে ছোট করে কথা বলেন। সম্পর্ক টিকে রাখতে অন্যজনকে সম্মান করা জরুরি। তাই রাগ থাকলেও সঙ্গীকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন তার কথা শুনুন। আপনার খারাপ আচরণ তার মনে স্থায়ীভাবে আপনার জন্য নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে।
৪. নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আলোচনার মাঝখানে বিভ্রান্ত না হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আবার দেখা যায় অনেকেই কথা বলার মাঝে রেগে যান যদি এমনটা করেন তাহলে আজ থেকেই এই অভ্যাস বাদ দিন।
৫. খুব বেশি আবেগতাড়িত না হয়ে সময় বিশেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন। আপনি যদি সবসময় নিজের আবেগ প্রকাশ করেন তাহলে সঙ্গীর কাছে আপনার গুরুত্ব কমে যেতে পারে। তাই সবার আগে এটা বুঝতে চেষ্টা করুন কোথায় এবং কখন নিজের আবেগ প্রকাশ করবেন।
৬. তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিয়ে অনেকেই ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করতে চান। এমন করা থেকে বিরত থাকুন। নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করুন। কারণ তৃতীয় পক্ষের কাছে নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা পরবর্তী সময়ে জটিলতা বাড়াতে পারে।
মন্তব্য করুন
ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন
থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের
ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে
যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১। পরিষ্কারের
সময় সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের ভেতরে থাকা মাছ-মাংস
বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মিশ্রণটিতে
নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।
২। একটি
পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে খাবারের
দুর্গন্ধ দুর হবে।
৩। শিরিষ
কাগজ বা এজাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ এগুলো দিয়ে পরিষ্কার
করতে গেলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যাবে।
৪। বাজারে
বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্যে ফ্রিজের বাইরের
অংশ পরিষ্কার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণ সুরক্ষিত থাকবে।
৫। ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ ভিজিয়ে সেটি দিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুন।এতে এর আঠালো ভাব দূর হবে।
মন্তব্য করুন
রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে
ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি
ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে
দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে
হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।
একজন কসমেটোলজিস্ট জানান,
গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে।
তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ
ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।
এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার
করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে
দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি
বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।
নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে
মনোযোগী হতে হবে।
১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি
মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে
এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর
করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ
হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়,
গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর
করতে ভূমিকা রাখে।
৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে
পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর
রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।
৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান
দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি,
অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার
বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু
মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
৫.দুই টেবিল চামচ চালের
গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের
ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক
অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম
রং দূর করতে কাজ করে।
মন্তব্য করুন
গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক
পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী।
প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও
ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে
পোড়া’ অবস্থা
থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে
মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে
থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।
মৃদু উপসর্গ
* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত
* ব্যথা
* চুলকানি
তীব্র উপসর্গ
* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা
* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি
* ফোলা ভাব
* জ্বর, শীত শীত ভাব
* মাথা ব্যথা
* চোখে আঁধার দেখা
করণীয়
* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে
* গোসল করিয়ে দিতে হবে
* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান
করাতে হবে
* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে
* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে
* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে
চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন
* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে
* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে
* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে
* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে
* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে
* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।
এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ
প্রতিরোধ
* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে
একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না
* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে
হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো
* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে
মন্তব্য করুন
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।
ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ
শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।
কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-
১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।
মন্তব্য করুন
আমাদের অভিমান, অনুরাগ সমস্তই জমা হয় প্রিয়জনের নামে। সম্পর্কে প্রাধান্য বেশি থাকে বলে ভুল বোঝাবুঝির ভয়টাও থাকে বেশি। বিশেষ করে দুইজন দুই জায়গায় থাকলে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রাটা যেন বেড়ে যায়। কাছে থাকলে একটুখানি ঠোঁটের হাসিতে, চোখের চাহনিতে যে কথা বোঝানো যায়, দূরে থাকলে তা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তাইতো একটি ইতিবাচক বিষয়ও নেতিবাচক হতে সময় লাগে না। কিন্তু এই ভুল বোঝাবুঝিকে বাড়তে দিলেই মুশকিল। সেখান থেকে জন্ম নিতে পারে আরো বড় দূরত্বের। প্রেম কিংবা বিয়ে এই দুই সম্পর্কেও সঙ্গীর সঙ্গে নানা কারণে সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর এ থেকেই বাড়ে দূরত্ব। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যায়। তাই ভুল বোঝাবুঝির হলে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে দ্রুত। সমস্যা কাটিয়ে সম্পর্ক সুন্দর রাখার কিছু টিপস।
ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।
গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।