লিভিং ইনসাইড

ক্লান্তি দূর করুন চা-কফি ছাড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২০ মে, ২০১৯


Thumbnail

কিছু ভালো লাগছে না, অফিসে বসেও শুধু ঘুম পাচ্ছে, কাজ করতে একদম ভালো লাগছে না। এসময়ে নিশ্চয়ই আপনি হাতে এককাপ চা বা কফি নিয়ে বসবেন। খালি বা ভরাপেটে এই চা কফি যে কতো ক্ষতি করে বসতে পারে, তা আপনি ভাবতেও পারবেন না। ক্যাফেইনের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হলে শরীরে নানা বিরূপ প্রতিক্রিয়া, রাতে নিদ্রাহীনতা ইত্যাদি দেখা যায়। ক্যাফেইন আপনাকে আসক্ত করে দেওয়ার আগে আপনি ক্যাফেইনকে ছাড়তে শুরু করুন। কিছু প্রাকৃতিক উপায়েই আপনি চা বা কফিকে এড়িয়ে চলতে পারেন।

চোখ সরান কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে

আমাদের অনেকটা সময় কাটে কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে থেকে। অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটারে কাজ করার পর ঝিমুনি মতো হওয়া এবং কাঁধ ও ঘাড় ব্যথা হয়। চোখ খোলা রাখাই দায় হয়ে যায়, চোখে কেমন শুষ্কভাব আসে। এটাকে বলে ‘Digital Eye Strain’। টানা কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে ক্ষতি করে। তাই ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন এবং একটু ঘুরে ফিরে বসুন এবং মিনিট ২০ পর পর দূরের কোনো স্থান বা বস্তুর দিকে তাকান। পারলে সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকান। চোখের দৃষ্টি প্রশান্তি পাবে।

প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবারের

রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে কিছুটা শারীরিক ও মানসিক অলসতা চলে আসে। আবার খুব বেশি খেলেও এই সমস্যা হয়। গবেষণা মতে, নিয়মিত পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার আমাদের চাঙা করে। বিশেষত সকালে আশঁযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো। এছাড়াও উচ্চমাত্রার প্রোটিন যেমন- ডিম, পিনাট বাটার, মটরশুঁটি, মসুর এবং ভিটামিন ‘সি’ও অপরিহার্য। এগুলো সারাদিন আপনাকে ক্লান্ত হতে দেবে না।

পর্যাপ্ত পানি পান করতেই হবে

গবেষণা মতে, শরীর থেকে ১-২% পানি হ্রাস পেলেও অবসাদের সৃষ্টি করে। এর বেশি পরিমাণে হলে তো আর কথাই থাকে না, অবসাদে মাথা তোলাই দায় হয়ে যাবে। শরীরের রক্ত পানি ব্যবহার করে অক্সিজেন ও শর্করা শরীরের বিভিন্ন অংশে বহন করে। ফলে শরীরে পানিস্বল্পতা হলেই অবসাদ, দ্বিধা, বুক ধড়ফড় করা, জ্ঞান হারানো ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, চা-কফি এড়িয়ে চলুন।

একটু বেরিয়ে আসুন

কাজের টেবিলে বসে খুব ঝিমুনি আসে আপনার। দুই-তিনকাপ চা বা কফি খেয়েও কোনো লাভ হয় না। তখন আর বসে না থেকে কিছুক্ষণের জন্যে বেরিয়ে পড়ুন, আলো হাওয়ার স্বাদ নিন। ক্ষণিকের জন্যে সূর্যের আলোয় যাওয়া আপনার ঝিমুনি ভাব দূর করে দিতে পারে নিমেষেই। হাঁটাহাঁটি করলে শরীররটাও একটু রিল্যাক্স হয়। আর সূর্যের আলো মস্তিষ্কের ‘হাইপোথ্যালামাস’কে ভালোভাবে চালিত করে। এটি শরীরকে একটা ছন্দে বেঁধে রাখে। এই ছন্দই ঘুম ও জেগে ওঠা নিয়ন্ত্রণ করে। অসময়ে ঘুম ঘুম ভাব হলে কিছুক্ষণের জন্যে বেরিয়ে পড়ুন, সূর্যের আলো উপভোগ করুন।

দ্রুত হাঁটাচলা করুন কিছুক্ষণ

অফিসের টেবিলে ভালো না লাগলে কিছুক্ষণের জন্য অফিসের মধ্যেই কোথাও হেঁটেচলে সবার সঙ্গে কথাবার্তা বলে আসুন। সেটা পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও। ঘুম ঘুম ভাবের মুহূর্তে শারীরিক ব্যায়াম করলে অবসাদ কিছু পরিমাণে প্রশমিত হয়ে যায়। আপনি ব্যায়াম করতে না পারলে দ্রুত পায়ে কিছুক্ষণ হেঁটে নিন। হাঁটলে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের হরমোন প্রবাহ বেড়ে যায়। মস্তিস্ক চাপমুক্ত হয়ে অবসাদ দূর হয়ে শরীর ফুরফুরে হয়ে ওঠে।

গভীর শ্বাস নিন

শান্তিতে বা স্বচ্ছন্দে না থাকলে কোনো কাজে শান্তি নেই। চুপচাপ বসে আগে নিজে শান্ত হন। দীর্ঘশ্বাস নিন, এতে একধরনের সজীবতা চলে আসে। শান্ত হয়ে দীর্ঘশ্বাস নিলে শরীর অতিরিক্ত অক্সিজেন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বহন করে শরীরে শক্তি এনে দেয়। দীর্ঘশ্বাস নিণে চাপ ও উদ্বেগও কমে। এই সুফল পেতে সঠিকভাবে শ্বাস নেওয়ার পদ্ধতিগুলো আগে জানুন।

গান শুনবেন বা করবেন

নিজের প্রিয় গান শোনা বা গলা ছেড়ে গাওয়ার মধ্যে আনন্দবোধ চলে আসে। কাজের মধ্যে হালকা সাউন্ডে গান শুনে দেখুন, আপনি কোথায় যেন হারিয়ে যাবেন। সুখ-দুঃখের স্মৃতি মনে পড়বে আপনার। মস্তিষ্কে কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটবে যা ভালোলাগার অনুভূতির মাধ্যমে চাঙা করে তুলবে। পছন্দের গান শোনা আপনার মস্তিষ্কে ‘ডোপামিন’ রাসায়নিক সরবরাহ করে। ফলে শরীর হালকা লাগবে। তাই ঘুমঘুম ভাব হলে অন্তত একটি পছন্দের গান শুনুন।

চুইংগাম চিবাতে থাকুন

ঝিমঝিম ভাব ধরলে মুখটা চালু রাখতে হবে। এটি মনকে কর্মতৎপ করে রাখবে। দিনের বেলায় ঘুম কাটানোর জন্যে চুইংগাম চিবানো খুবই কার্যকর উপায়। কারণ চিবানোর জন্যে ক্রমাগত চোয়াল নাড়ানোর ফলে রক্তসঞ্চালন ঘটে, যা মস্তিষ্কের কিছু অংশকে সচেতন রাখে।

পারলে একটু ঘুমিয়ে নিন

ঝিমুনি থেকে বাঁচতে ঘুমিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তবে বেশি সময় না, মাত্র ৫ থেকে ২০ মিনিটের অল্পনিদ্রাই যথেষ্ট। এটা শরীরকে যথেষ্ট চাঙা করে তুলতে পারে। একে বলা হয় ‘পাওয়ার ন্যাপ’। টানা অনেকক্ষণ ঘুমানোর থেকে ক্লান্তির সময় মাত্র ৫-১০ মিনিট ঘুমিয়ে নেওয়া অনেক বেশি কার্যকর, এটি স্মৃতি সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সৃজনশীল চিন্তা করতে সাহায্য করে। তাই সবথেকে ভালো উপায় হলো ৫/৬ মিনিটের একটা স্বল্পনিদ্রা দিয়ে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলা।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি মেটাবেন যেভাবে!

প্রকাশ: ০৮:১০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আমাদের অভিমান, অনুরাগ সমস্তই জমা হয় প্রিয়জনের নামে। সম্পর্কে প্রাধান্য বেশি থাকে বলে ভুল বোঝাবুঝির ভয়টাও থাকে বেশি। বিশেষ করে দুইজন দুই জায়গায় থাকলে ভুল বোঝাবুঝির মাত্রাটা যেন বেড়ে যায়।

কাছে থাকলে একটুখানি ঠোঁটের হাসিতে, চোখের চাহনিতে যে কথা বোঝানো যায়, দূরে থাকলে তা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর তাইতো একটি ইতিবাচক বিষয়ও নেতিবাচক হতে সময় লাগে না। কিন্তু এই ভুল বোঝাবুঝিকে বাড়তে দিলেই মুশকিল। সেখান থেকে জন্ম নিতে পারে আরো বড় দূরত্বের।

প্রেম কিংবা বিয়ে এই দুই সম্পর্কেও সঙ্গীর সঙ্গে  নানা কারণে সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি হয়। আর এ থেকেই বাড়ে দূরত্ব। এমনকি ভুল বোঝাবুঝির কারণে সম্পর্ক ভেঙেও যায়। তাই ভুল বোঝাবুঝির হলে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে দ্রুত। সমস্যা কাটিয়ে সম্পর্ক সুন্দর রাখার কিছু টিপস।

১. যখন কোনো বিষয় নিয়ে দুজনের ভুল বোঝাবুঝি হবে তখন দুই পক্ষের কথা শুনতে হবে। শুধু নিজের কথা বলে সঙ্গীর কথা না শুনলে সমাধান আসবে না কখনও। তাই দুজনের কথা বলার সুযোগ থাকবে। এর পর দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিন সমাধানের পথ কীভাবে খুঁজবেন।   

২. ভুল বোঝাবুঝির প্রধান কারণ হল সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের অভাব। আমরা যেভাবে ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করার চেষ্টা করি সেটাই সম্পর্কের স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে। রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া সমাধান নিয়ে আসবে না বরং দূরত্ব বাড়াবে। তাই যে সমস্যাই হোক না কেন কথা বলে সমাধান করুন।

৩. সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে অনেকেই খুব রাগারাগি করেন কিংবা তাকে ছোট করে কথা বলেন। সম্পর্ক টিকে রাখতে অন্যজনকে সম্মান করা জরুরি। তাই রাগ থাকলেও সঙ্গীকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন তার কথা শুনুন। আপনার খারাপ আচরণ তার মনে স্থায়ীভাবে আপনার জন্য নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে।  

৪. নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আলোচনার মাঝখানে বিভ্রান্ত না হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। আবার দেখা যায় অনেকেই কথা বলার মাঝে রেগে যান যদি এমনটা করেন তাহলে আজ থেকেই এই অভ্যাস বাদ দিন।

৫. খুব বেশি আবেগতাড়িত না হয়ে সময় বিশেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন। আপনি যদি সবসময় নিজের আবেগ প্রকাশ করেন তাহলে সঙ্গীর কাছে আপনার গুরুত্ব কমে যেতে পারে। তাই সবার আগে এটা বুঝতে চেষ্টা করুন কোথায় এবং কখন নিজের আবেগ প্রকাশ করবেন।

৬. তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিয়ে অনেকেই ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করতে চান। এমন করা থেকে বিরত থাকুন। নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধানের চেষ্টা করুন। কারণ তৃতীয় পক্ষের কাছে নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা পরবর্তী সময়ে জটিলতা বাড়াতে পারে।


সম্পর্ক   ভুল   বোঝাবুঝি  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

আসছে কোরবানির ঈদ, ফ্রিজ যত্নে যা করবেন

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১। পরিষ্কারের সময় সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের ভেতরে থাকা মাছ-মাংস বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মিশ্রণটিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।

২। একটি পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে খাবারের দুর্গন্ধ দুর হবে।

৩। শিরিষ কাগজ বা এজাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ এগুলো দিয়ে পরিষ্কার করতে গেলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যাবে।

৪। বাজারে বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্যে ফ্রিজের বাইরের অংশ পরিষ্কার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণ সুরক্ষিত থাকবে।

৫। ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ ভিজিয়ে সেটি দিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুন।এতে এর আঠালো ভাব দূর হবে।


কোরবানির ঈদ   ফ্রিজ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

গরমে কীভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।

একজন কসমেটোলজিস্ট জানান, গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে। তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।

এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে।


সহজে ঘরে বসেই তৈরি করুন ট্যান দূর করার প্যাক:

১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।

২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়, গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর করতে ভূমিকা রাখে।

৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।

৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৫.দুই টেবিল চামচ চালের গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম রং দূর করতে কাজ করে।


তীব্র তাপপ্রবাহ   গরম   ত্বক  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কোমল ত্বক যত্নে শিশুকে রোদ থেকে দুরে রাখুন

প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।

মৃদু উপসর্গ

* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত

* ব্যথা

* চুলকানি

তীব্র উপসর্গ

* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা

* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি

* ফোলা ভাব

* জ্বর, শীত শীত ভাব

* মাথা ব্যথা

* চোখে আঁধার দেখা

করণীয়

* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে

* গোসল করিয়ে দিতে হবে

* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান করাতে হবে

* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে

* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে

* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে

চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন

* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে

* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে

* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে

* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে

* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে

* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।

এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ

প্রতিরোধ

* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না

* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো

* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে


তাপ প্রবাহ   শিশু যত্ন  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

হিট স্ট্রোকের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।

ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।

হিটস্ট্রোকের লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।

কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-

১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।


হিট স্ট্রোক   লক্ষণ   চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন