নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ এএম, ১২ জুন, ২০১৯
অ্যালার্ম বাজার একঘণ্টা পর ঘুম ভেঙে দেখলেন, সর্বনাশ! অফিস টাইম হয়ে গেছে। কোনোরকমে রেডি হয়ে চলে গেলেন আধাঘণ্টা দেরিতে। গিয়েই শুনলেন বস খুঁজেছে আপনাকে। আপনার আত্মা শুকিয়ে গেলো। এই স্ট্রেস কাটাতে খালিপেটেই এককাপ কফি নিয়ে বসে পড়লেন। এদিকে কিছুক্ষণ পরেই মিটিং, কিছু কাজও বাকি আছে। কারো সঙ্গে কথা বলতেও ভালো লাগছে না, অফিস থমথমে হয়ে আছে কেন বুঝতে পারছেন না। সারাটা দিন গেলো এমন অস্বস্তি নিয়ে। এজন্য দায়ী করবেন কাকে? অবশ্যই আপনিই দায়ী।
অফিসের শুরুতেই এমন কিছু বিশৃঙ্খলা আপনার সারাদিনটা নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আপনার করণীয়গুলো জেনে নিন-
কখনো দেরিতে পৌঁছাবেন না
আমাদের অনেকেরই অফিসের সঠিক সময় ধরতে দেরি হয়ে যায়। আপনি তো জানেনই অফিসে দেরি করে ঢুকলে আপনার বেতন কাটতে পারে, বস আপনাকে সময়মতো খুঁজে না পেয়ে রাগারাগি করতে পারে। আপনি নার্ভাস হয়ে টেনশন করতে করতে অফিসে ঢুকে কোনো কাজেও গতি পাবেন না আপনি। বস আপনাকে শোকজ করতে পারে, খুব বেশিদিন দেরি হলে আপনাকে স্যাকও করতে পারে। সবার কাছে আপনার ইমেজটাও খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব অফিসে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন।
সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ইজি হয়ে নিন
আপনি যেয়েই কাজে দিয়ে দিতে পারবেন না। নিজের এবং আশেপাশের সবার জন্য কমর্ময় পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্বটা কিন্তু আপনারও। তাই কয়েক মিনিটের জন্য হলেও সহকর্মীদের সঙ্গে সামান্য আলোচনা করে নিন। শুরুতে সবার সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করুন, হাই হ্যালো করুন, শরীর কেমন জিজ্ঞেস করুন, খেলা দেখলেন কিনা, কোথাও বের হয়েছিলেন কিনা- এগুলো টুকটাক কথা বলে নিতেই পারেন। এতে সহকর্মীরাও সহজ হলো, আপনি উদ্যম নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।
গিয়েই চা বা কফি নিয়ে বসবেন না
আগে সকালের নাস্তা নিয়ে ভাবুন। সকালে খেয়ে বের হলে সঙ্গে চা বা কফিটাও খেয়ে নিতে পারেন। তবে গবেষণা বলে, চা বা কফি একেবারে সকালে না খেয়ে একটু বেলা হলে খেয়ে নেওয়া ভালো। প্রথমে অফিসে গিয়ে কিছুটা চাঙা হোন। বস বা সহকর্মীদের খোঁজখবর নিয়ে তারপর কাজে বসবেন। এরপরে কিছু খেয়ে না বের হলে ব্রেকফাস্ট অফিসেই করে নিন। সেটা হজম হতে লাগলই তারপর চা বা কফি নিয়ে বসুন। পুরো উদ্যম নিয়ে এবার কাজে মন বসান। কারণ হুট করে ক্যাফেইন শরীরে গেলে শরীরও বিগড়ে যেতে পারে।
ইনবক্স খুলে মেসেজ, ই-মেইলের উত্তর দেওয়া
আপনি কাজে সক্রিয় থাকতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগটা ঠিক রাখতে হবে। গতকাল অফিস থেকে ফিরে বাসায় গিয়ে হয়ত ঠিকমতো ইনবক্স বা মেইল চেক হয়নি। চেক করলেও তার উত্তর দেওয়া বা পাঠানো বার্তা অনুযায়ী কাজটাও শেষ করতে পারেননি। অফিসে গিয়ে কাজে জড়িয়ে যাওয়ার আগেই সেগুলো ভালোভাবে চেক করুন, সেগুলোর উত্তর দিন, কাজ সেরে ফেলুন, ফিডব্যাক নিন সবসময়। আপনার কিছু জানার থাকলে সেটাও জিজ্ঞেস করে নিন।
কাজের সময়সূচি তৈরি না করে কাজ শুরু করবেন না
কাজে উদ্যোগী হওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই দিনের কাজের পূর্ব পরিকল্পনা করতে হবে, কাজ কীভাবে শুরু হবে এবং দিনের বিশেষ বিশেষ কাজগুলো কি কি সেগুলো লিখে রাখতে হবে। বেবৈ দেখতে হবে যে ওই দিনে আপনি কি কি কাজ করবেন বলে ঠিক করেছেন এবং তার জন্য আপনাকে কোনো কল বা কনফারেন্স এর প্রস্তুতি নিতে হবে কি না। নাহলে হুট করে যখন মিটিং বা কনফারেন্সে আপনাকে কল করা হলে দিশেহারা হয়ে পড়তে পারেন আপনি।
সহজ না কঠিন কাজ করবেন তা ভাবুন
গবেষণা মতে, আপনার কর্মশক্তি ও ইচ্ছাশক্তিই আপনার সবদিনের কাজ করতে সাহায্য করে। এজন্য আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব করার চেষ্টা করতে হবে। হেলাফেলায় সহজ আর কম জরুরি কাজগুলো আগে করে সময় অনেকটা পার করলেন। তারপর দেখলেন হাতে কত কাজ পড়ে আছে, আবার কঠিন কাজও জমে আছে। কিন্তু হাতে সময় অনেক কম। কি করবেন বুঝে পেলেন না। সবচেয়ে ভালো হয় অফিসে গিয়ে কিছুটা চাঙা হয়ে কঠিন কাজগুলো ধীরে ধীরে সেরে ফেলতে। দেখবেন মাথায় কোনো চাপ থাকবে না। এরপর ধীরেসুস্থে বাকি কাজ করবেন।
অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে করবেন না
যেহেতু দিনের শুরুতে আমাদের কর্মশক্তি বেশি থাকে তাই অনেকেই মনে করে এ সময় সে অনেক কাজ একসঙ্গে করতে পারবে। কিন্তু গবেষণা বলে অন্য কথা। অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে করতে গেলে কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই এক সময়ে মাত্র একটি কাজই করতে হবে। একগাদা কাজ দিয়ে দিন শুরু করলে সবটাতেই আপনি গুবলেট পাকিয়ে ফেলতে পারেন। তাই প্রতিটি কাজ আলাদাভাবে শুরু করুন। তাতে শুরু থেকেই পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারবেন।
ব্যক্তিগত সমস্যা অফিসে নয়
ব্যক্তিগত সমস্যা তো আপনার হতেই পারে। গতরাতে বা সকালে কোনো ঝামেলার নেতিবাচক প্রভাব আপনার মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই থাকবে। ধরুন অফিসেই কোনো ঝামেলা হয়েছে, বাড়িতেও কোনো সমস্যা হয়েছে। তার রেশ থাকলেও অফিসে এসে সেটা প্রকাশ করতে যাবেন না। আপনার বর্তমান কাজের ওপর তার কোনো প্রভাব পড়তে দিলে চলবে না। কাজের সময় ব্যক্তিগত বিষয়কে দূরে রাখতে। এসবের প্রভাব অফিসের কাজের ওপর পড়তে দেওয়া যাবে না। ফুরফুরে হয়ে ঢুকুন আর কাজে মন দিন।
শুরুতেই কোনো মিটিং বা বৈঠক না
সকালে অফিসে আসার পর আপনার ঘুম ঘুম ভাব থাকে, ঢিলেঢালাভাবে আপনি কাজ করেন। এসময়ে আপনার মনে আইডিয়া বা যুক্তিগুলো কমই আসে। তাই আপনার মিটিংগুলো দুপুরের আগে বা পরে বেছে নিন। তাহলে সারাদিনের কাজের ফলাফল আর উদ্যম নিয়ে সবার সামেন নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন
থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের
ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে
যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১। পরিষ্কারের
সময় সবার আগে ফ্রিজের মেইন সুইচ বন্ধ করে নিতে হবে। এরপর ফ্রিজের ভেতরে থাকা মাছ-মাংস
বা অন্যান্য সবকিছু বের করে রাখুন। এবারে পানিতে একটু ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মিশ্রণটিতে
নরম কাপড় ভিজিয়ে সেই কাপড় দিয়ে ফ্রিজের ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন।
২। একটি
পাত্রে বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে করে খাবারের
দুর্গন্ধ দুর হবে।
৩। শিরিষ
কাগজ বা এজাতীয় শক্ত কিছু দিয়ে কখনোই ফ্রিজ পরিষ্কার করবেন না। কারণ এগুলো দিয়ে পরিষ্কার
করতে গেলে ফ্রিজের প্লাস্টিক কোটিং নষ্ট হয়ে যাবে।
৪। বাজারে
বেশ কিছু অ্যামোনিয়া ফ্রি লিকুইড ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেগুলোর সাহায্যে ফ্রিজের বাইরের
অংশ পরিষ্কার করুন। এতে বাইরের প্লাস্টিকের আবরণ সুরক্ষিত থাকবে।
৫। ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে নরম কাপড় কিংবা ব্রাশ ভিজিয়ে সেটি দিয়ে ফ্রিজের দরজার রাবার পরিষ্কার করুন।এতে এর আঠালো ভাব দূর হবে।
মন্তব্য করুন
রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে
ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি
ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে
দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে
হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।
একজন কসমেটোলজিস্ট জানান,
গরমে বাইরে থেকে ফিরেই ত্বকে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। ভালো করে ত্বক ধুতে হবে।
তারপর ফেশওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। আলতোভাবে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ
ব্যালেন্স ঠিক করতে সহায়তা করে। এর ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয়।
এই গরমের জন্য টোনার হিসেবে শসা মিশ্রিত পানি ও গোলাপজল ব্যবহার
করা যেতে পারে। ফলের নির্যাসে তৈরি টোনার ত্বককে আরও কালো করে
দিতে পারে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি
বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।
নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে
মনোযোগী হতে হবে।
১.এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই, এক চামচ কমলার রস ও এক চামচ মুলতানি
মাটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত, পা, মুখ, গলা ও ঘাড়ে লাগান। যদি পুরো শরীরে
এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে চান তাহলে এর সঙ্গে কফি মেশাতে পারেন। কফি ত্বকের ট্যান দূর
করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
২.বেসনের সঙ্গে এক চামচ
হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মুখ, ঘাড়,
গলায় ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে, এবং বেসন ট্যান দূর
করতে ভূমিকা রাখে।
৩.ত্বকের কালচে দাগ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে আলুর রস ব্যবহার করতে
পারেন। এতে আছে অর্গানিক ব্লিচিং এজেন্ট, যা দাগ দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত আলুর
রস ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হবে।
৪.ঘরোয়া উপায়ে ট্যান
দূর করার কার্যকরী উপাদান পেঁপে ও মধুর প্যাক। পেঁপেতে আছে ব্লিচিং, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি,
অ্যান্টি-এইজিং, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। মধুতে আছে ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর করার
বিভিন্ন উপাদান। ত্বকের অস্বস্তি, জ্বালা, শুষ্কতা দূর করতে পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু
মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
৫.দুই টেবিল চামচ চালের
গুঁড়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি রোদে পোড়া দাগের
ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দুধে থাকা ল্যাকটিক
অ্যাসিড মরা চামড়া দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। চালের গুঁড়া ত্বকের অসম
রং দূর করতে কাজ করে।
মন্তব্য করুন
গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক
পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী।
প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও
ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে
পোড়া’ অবস্থা
থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে
মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে
থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।
মৃদু উপসর্গ
* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত
* ব্যথা
* চুলকানি
তীব্র উপসর্গ
* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা
* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি
* ফোলা ভাব
* জ্বর, শীত শীত ভাব
* মাথা ব্যথা
* চোখে আঁধার দেখা
করণীয়
* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে
* গোসল করিয়ে দিতে হবে
* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান
করাতে হবে
* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে
* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে
* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে
চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন
* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে
* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে
* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে
* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে
* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে
* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।
এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ
প্রতিরোধ
* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে
একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না
* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে
হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো
* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে
মন্তব্য করুন
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।
ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ
শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।
কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-
১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।
মন্তব্য করুন
দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--
সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।
দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।
গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।
আর্দ্র বাতাস: ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।
ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।
চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।
অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।
তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।
তীব্র গরম ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়
মন্তব্য করুন
ঈদুল আযহার বাকি দুই মাসেরও কম। এই কম সমেয়র কিছু প্রস্তুতি এখন থেকে নেওয়াই উচিত। তাহলে কোরবানি প্রস্তুতিতে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে কাজ। যেহেতু কোরবানি ঈদে মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণের ব্যাপার থাকে তাই ফ্রিজ আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন। ফ্রিজ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রোদের চোখ রাঙানি কমছেই না। এমন তপ্ত আবহাওয়ায় বাইরে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকে ট্যান পড়ে। পুরো চেহারা, হাত-পা, ঘাড়-গলায় ঘাম, ধুলোবালি জমে। অতি বেগুনি রশ্মি ও দূষণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। তাই গরমে ত্বকের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। নয়তো কালচে দাগ ত্বকে স্থায়ী হয়ে যাবে। কাজশেষে বাইরে থেকে ফেরার পরেও ত্বকের যত্নে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো অল্পতেই বুড়িয়ে যাবে ত্বক। উজ্জ্বলতাও হারাবে।
গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--