নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ১৬ জুলাই, ২০১৯
বিশ্বজুড়ে চলছে স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার জয়জয়কার। গ্রীক ও রোমান রূপকথায় হাইড্রা (Hydra) নামক একপ্রকার পা-বিহীন জলজ অথবা উভচর প্রাণীর কথা বলা হয়েছে। এই প্রাণী গ্রীসের উপকূলীয় অঞ্চলে পানির নিচে এবং এবং উপকূলীয় ঝোপঝাড়ে বাস করতো। অক্টোপাসের মতো হাইড্রার অনেকগুলো বাহু ছিল এবং প্রত্যেক বাহুর শেষে একটি করে মাথা ছিল। তাই কেউই জানতো না হাইড্রার ঠিক কয়টি মাথা। তবে সবাই জানতো, হাইড্রার একটি মাথা কাটলে সেখান থেকে দুইটি মাথা গজাতো। সেই দুটি কাটলে আবার মাথা গজাতো চারটি। এভাবে ক্রমেই বাড়তো হাইড্রার মাথা, যা একসময় সবার মাথাব্যথার কারণে পরিণত হয়।
স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার হাইড্রার মাথার মতো ক্রমেই বাড়ছে বলে সব তথ্যউপাত্তে জানা যায়। আর বাড়ন্ত শিশুদের অনুসন্ধিৎসু মনের সুযোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া শতবাহু বাড়িয়ে অক্টোপাসের মতো পেঁচিয়ে ধরছে তাদের। ফলে বাড়ন্ত শিশুদের হাতে স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়া তাদের উপকার করছে নাকি ঝুঁকিতে ফেলছে তা নিয়ে ভাবতে হবে অভিভাবকদের।
কোন বয়স থেকে শুরু
কোন বয়সে বাচ্চাদের হাতে স্মার্টফোন দিতে হবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগের সুযোগ দিতে হবে তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আমার শিক্ষকতা জীবনে স্কুলের প্রাইমারি সেকশনের সবচেয়ে নিচের ক্লাসের বাচ্চাদের ক্লাসরুম পরিদর্শনকালে বেশ তৃপ্তি নিয়ে পরিদর্শক দলের দলনেতাকে বলেছিলাম- আমরা স্কুলে প্রথমদিন থেকে কম্পিউটার শিখাই। ভিআইপি দলনেতা হেসে বললেন ওরা তো ক্লাসে আসার আগে থেকেই কম্পিউটার চালানো শিখে যায়। হাতে বা চোখের সামনে মোবাইল না থাকলে শিশুরা আজকাল খেতেও চায় না। দাদী, নানী, বোন বা মায়ের মুখের ছড়া, কবিতা, রূপকথার গল্প, ঘুমপাড়ানি গানের বদলে স্থান নিয়েছে মোবাইল সোশ্যাল মিডিয়া। তাই ১৮ বছরের নিচে যারা সাংবিধানিক স্বীকৃতিতে শিশু- তাদের মোবাইলের অপব্যবহার নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
সোশ্যাল মিডিয়া কি প্রয়োজনীয়?
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা অস্বীকারের উপায় নেই। উঠতি বয়সীরা বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরিবারের সবার খোঁজ রাখতে এটা ব্যবহার করে। এখানে তারা মনের মতো কারো সন্ধান পায়, যার সঙ্গে মনের সুখ-দুঃখ, অনুভূতি, অর্জন, বিসর্জন, প্রয়োজন সবই শেয়ার করতে পারে। অনুভূতি প্রকাশের এই উপকারিতার কথা সর্বজনবিদিত। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকরা গ্রুপের মাধ্যমে পড়াশোনার কাজেই ব্যবহার করছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে এই স্মার্টফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ার মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা আগে যাচাই করা দরকার।
ডিলিটে ডেঞ্জার
মেইল, ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপগুলো থেকে উঠতি শিশুরা কখন কোথায় যোগাযোগ করছে তা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। আবার কিছু অ্যাপস আছে যেখান থেকে কোনো লেখা বা ছবি পাঠানোর পরপরই মুছে যায়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এই অ্যাপসের ব্যবহার বিপদের কারণও হতে পারে। এমন একটি অ্যাপ ব্যবহার করে অভিভাবকের সচেতনতার পরেও ১৩ বছরের মার্কিন কিশোরী নিকোলী লোভেল তার ২১ বছরের প্রতারক বন্ধু ডেভিডের দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে। পরে এই অ্যাপটি কিলার অ্যাপ নামে স্বীকৃত হয়। যেখানে ডিলিট, সেখানে ডেঞ্জার থাকতে পারে, অতএব সাবধান।
নিজেকে আড়াল করছে না তো
অভিভাবকদের বুঝতে হবে যে সোশ্যাল মিডিয়া নিজেকে আড়াল করার একটা অবলম্বন হতে পারে বাড়ন্ত কিশোরকিশোরীদের কাছে। যে কথা বা প্রশ্ন সামনাসামনি করা যায় না, যে ছবি দেখা বা দেখানো যায় না তা অনায়াসে সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে বলা বা দেখানো যায়। এক্ষেত্রে ছদ্মনামের ব্যবহারও বিচিত্র নয়। ফ্রান্সে একজন ভুক্তভোগী পিতা যখন তার কিশোরী কন্যাকে হারিয়ে ফেলেন, তখন জানা যায় তার স্কুলের এক সিনিয়র ছাত্রী নারী পাচারচক্রের সদস্য হিসেবে গোপনে যোগাযোগ রাখতো তার সঙ্গে। এই হতভাগ্য পিতার উপদেশ তাদেরকে অহেতুক সন্দেহ বা অতিরিক্ত খেয়াল রাখার কথা বললেও অভিভাবকদের হাল ছাড়া চলবে না।
যা নয়, তাও হয়
সোশ্যাল মিডিয়া নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন এবং নিজেকে অন্যের চোখে মূল্যায়নের দরজা খুলে দেয়। আর এমন বহু অ্যাপ রয়েছে, যা ব্যবহার করে ছবিতে নিজের প্রকৃত চেহারাকে বহুগুণে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা যায়। সেখানে অনেক লাইক, কমেন্ট পড়ে। ছবির মতো সুন্দর হতে গিয়ে খাওয়া ছেড়ে দেয় কখনো, কখনো বেশি খায়, কতো প্রসাধনীর ব্যবহার করে। বাস্তবে তেমন সুন্দর না হলে হতাশায় ভোগা, পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া, এমনকি আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয়। আমার শিক্ষকতা জীবনে পৃথক দুটি ঘটনায় একজন কিশোরী আত্মহত্যার প্রচেষ্টা প্রত্যক্ষ করেছি, যার নেপথ্যে ছিল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব। এখানের সব সত্যি নয়, তা বুঝাতে হবে।
মিথ্যা বলার প্রবণতা
বাড়ন্ত ছেলেমেয়েদের পক্ষে মিথ্যা বলাটা নতুন কিছু নয়। ওয়াশিংটন পোস্ট ২০১৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক ফিচারে প্রকাশ করে যে, কোনো ঝামেলা এড়াতে, নিষিদ্ধ কিছু করতে, নিজেকে বা নিজের ভাইবোন বা বন্ধুদের বাঁচাতে বা তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে সন্তানেরা মিথ্যা বলে থাকে। তবে এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা হলো নিজের গোপনীয়তা বজায় রাখতে মিথ্যা বলা। অভিভাবকরা হয়ত মনে করে শাস্তির ভয়ে তার একান্ত বাধ্য সন্তান হয়ত মিথ্যা বলছে। বাস্তবে তা নাও ঘটতে পারে। যারা সন্তানের সঙ্গে একান্ত বন্ধুবৎসল, সন্তানকে শাস্তি দেওয়ার বিপক্ষে তাদের সন্তানও মিথ্যা বলতে পারে। কারণ এর পিছনে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ও সোশ্যাল লাইফ। এই মিডিয়া বিভিন্ন চিন্তার জন্ম দেয়, যা মিথ্যাকে উৎসাহিত করে। আমার সামাজিক জীবন একান্তই আমার, সময় কাটানো আর বিনোদনের কৌশল আমিই ঠিক করবো- এই চিন্তাগুলো কিশোরদের মিথ্যা বলতে বাধ্য করে। কারণ সচেতন বাবা-মা তাদের এই চেতনার সঙ্গে একমত হতে পারেনা।
আসক্তি বোঝার উপায়
আজকাল ১৮ বছর হওয়ার আগেই সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন বা ট্যাব অভিভাবকরাই তুলে দেন। কিছুক্ষেত্রে টাকা জমিয়ে বা নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে স্মার্টফোন হাতে পায় বাড়ন্ত বাচ্চারা। যাইহোক, নিচের এক বা একাধিক লক্ষণ দেখলে অভিভাবক হিসেবে বিষয়টিকে যুগের হাওয়া বলে অবহেলা করা চলবে না-
* মাত্রাতিরিক্ত সময় ফোন, অ্যাপস, ডিভাইস নিয়ে কাটানো।
* ফোন নিয়ে মেতে থেকে সময়ের কাজ সময়মতো করতে না পারা।
* চেহারা বা আচরণে ভয়, দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা প্রকাশ করা।
* বন্ধু বা নিকটাত্মীয়দের এড়িয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকা।
* মোবাইলের চার্জ বা নেটওয়ার্ক না থাকলে উৎকণ্ঠা বা বিরক্তি প্রকাশ করা।
* নতুন মোবাইল বা ডিভাইস কিনে দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি বা জিদ করা।
* সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে যেতে না চাওয়া।
* ব্যক্তিগত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে অবহেলা।
* বইপড়া, টিভি দেখা, খেলাধুলা করার মতো বয়সোচিত বিনোদন কর্মকাণ্ডে অংশ না নেওয়া।
* ঘুম, নামাজ ইত্যাদির প্রতি অবহেলা।
অভিভাবক চাইলে তালিকাটা আরও বড় করতে পারবেন। কারণ পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় স্মার্টফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তরা যে ঠিক কি আচরণ করবে তা আগে থেকে ধারণা করা কঠিন। বাড়ন্ত শিশুরা খুব আবেগী, অভিমানী, জেদী, কল্পনাপ্রবণ, ভাবুক, নির্জিব, লাজুক, আত্মকেন্দ্রিক বা মিথ্যাবাদী হওয়াটা বিচিত্র কিছু না।
হতাশ হবেন না
সন্তানকে এইসব আসক্তি থেকে বাঁচানোর প্রথম শর্ত হলো হতাশ না হওয়া, যুগের হাওয়া বলে অবহেলা না করা। মনে রাখতে হবে এই সমস্যা শুধু আপনার ঘরেই নয়, মোটামুটি প্রতিটি ঘরেই। ইউরোপের তুলনায় আমরা স্মার্টফোন ব্যবহারের দিক থেকে একেবারে পিছিয়েও নেই। ইউরোপে এই সমস্যার একটা চিত্র তুলে ধরেছে শিশুদের জন্য নিরাপদ প্রযুক্তি ও নিরাপদ মিডিয়া নিয়ে কাজ করা একটি এনজিও কমনসেন্স মিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়-
স্মার্টফোন ও আসক্তি বিষয়ক ভাবনা |
শিশু |
অভিভাবক |
সন্তানের আসক্তি আছে ভাবেন |
|
৫৯% |
শিশুদের হাতে বিভিন্ন কারণে স্মার্টফোন থাকা জরুরি মনে করেন |
৭২% |
৪৮% |
প্রতিঘণ্টায় স্মার্টফোন চেক করেন |
৭৯% |
৬৯% |
সন্তানের ক্ষতি করছে বলে ভাবেন |
|
৭৭% |
নিজেকে আসক্ত ভাবেন |
৫০% |
|
মোবাইলকে কেন্দ্র করে সন্তান ও অভিভাবকের মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া হয় বলে ভাবেন |
৩২% |
৩৬% |
গাড়ি চালানোর সময়ে স্মার্টফোন চেক করেন বলে স্বীকার করেন |
|
৫৬% |
অভিভাবককে গাড়ি চালানোর সময়ে চেক করতে দেখেন |
৫১% |
|
প্রথমেই সমঝোতা
অভিভাবকদের মনে রাখতে হবে, ‘প্রতিরোধ প্রতিষেধকের চেয়ে উত্তম’ (Prevention is better than cure)। সুতরাং শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়ার আগে তার সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিন। কখন বা কতক্ষণ ব্যবহার করা যাবে, রাতে ও স্কুলের সময়ে ফোনটি কোথায় থাকবে, লক সিস্টেম বাবা-মা জানবে কিনা, কোন কোন অ্যাপ ব্যবহার করবে, অনিয়মের কি প্রতিফলন হবে ইত্যাদি বিষয়ে আলাপ শেষে মোবাইল দেওয়াই ভালো। আর শিশুদের বয়সবৃদ্ধি, পড়ালেখার কাজে প্রয়োজনীয়তা, বাজারে নতুন অ্যাপের আগমন- এসব বিষয় বিবেচনা করে নিয়মনীতি পরিবর্তন করতে হবে। প্রথমে শর্ত না দিলে পরবর্তীতে শর্তারোপ বেশি কঠিন।
নিজে না পারলে অন্যের সাহায্য
নজর দিন শিশুদের ফোন ব্যবহারের ওপর। কখন, কোথায়, কতক্ষণ তারা ফোনে সময় কাটাচ্ছে তা খেয়াল রাখুন। এতে গোপনীয়তা ভঙ্গের প্রসঙ্গ আনাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে সবকিছু। তারা সর্বদা বাবামায়ের কথা নাও শুনতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাদের গোপনীয়তা বজায় রাখবে এমন কারো সাহায্য নিন। প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানীদের কাছে যান।
রাতে সাবধান
ব্রডব্র্যান্ড বা রাউটারের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রাখুন। নির্দিষ্ট সময় পর বিশেষত রাতে ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে ঘুমাতে যান। তারপরও খেয়াল রাখুন অন্যভাবে মোবাইলটি ব্যবহার করছে কিনা। রাতে কখন ঘুমাতে হবে, সকালে কখন উঠতে হবে, পড়া, হোমওয়ার্ক, খাওয়া, অন্যকিছু শেখা- এসবের সময় ঠিক করে নিন সমঝোতার মাধ্যমে। জোর করে চাপিয়ে দেবেন না কোনোকিছু। মনোবিজ্ঞানী লেরি রোজেন এক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর আগে শিশুদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
নিজেই হোন রোল মডেল
শিশুদের এই আসক্তি থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের সন্তানের সামনে অনুকরণীয় রোল মডেল হতে হবে। অভিভাবক নিজেই যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত থাকেন, বাচ্চারা তো সুযোগ পাবেই। আসক্ত সন্তানদের সামনে অন্য আত্মীয়স্বজন ও পারিবারিক বন্ধুদেরও মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকতে নিষেধ করুন।
বিকল্প তৈরি করুন
এই আসক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখতে তার পছন্দের কিছু দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, সাতার, জুডো, কারাত অনুশীলন, শরীরচর্চা, বইপড়া, বাগান করা, সেলাই বা রান্না- এমন অনেককিছু নিয়ে ভাবতে হবে যা আপনার সন্তান ভালোবাসে।
আপনিও স্মার্ট হোন
প্রযুক্তির এই যুগে আপনাকেও হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। সন্তানের সোশ্যাল মিডিয়ার আইডি সম্পর্কে নিশ্চিত হোন। তার একাধিক আইডি আছে কিনা খোঁজ নিন। বন্ধুসুলভ আচরণ করে সবকিছু আপনার সঙ্গে আলোচনায় উৎসাহিত করুন। ফোনের পাসওয়ার্ড ও সেফটি লক সম্পর্কে জানুন। নিত্যনতুন উপকারী অ্যাপস সম্পর্কে জানুন যা নির্দিষ্ট সময়ের পর নেট বন্ধ করে দিতে পারে। আপত্তিকর ভিডিওক্লিপ ব্লক করে রাখার পদ্ধতিও রয়েছে। এগুলো শিখে নিন।
পুরস্কৃত করুন
আপনার উপদেশ ও রুটিন মেনে চললে এবং স্মার্টফোন, ডিভাইস ও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে দূরে থাকলে সন্তানকে পুরস্কৃত করুন। তাকে সময় দিন, বিনোদনের সুযোগ দিন। বিকল্প ছাড়া এই আসক্তি থেকে সন্তানকে দূরে রাখা অসম্ভবই বটে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে আমরা যে স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি তা আজকের পৃথিবীতে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া যদি আমাদের ব্যবহার করে তবে তা সবার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
লেখক: কলামিস্ট ও গবেষক। সেনাবাহিনী ও কর্পোরেট জগতে চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। বিদেশে স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এক দশক।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ
মন্তব্য করুন
গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক
পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী।
প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও
ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে
পোড়া’ অবস্থা
থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যেসব পরিবারে ত্বকের ক্যান্সারের ইতিহাস আছে, যেসব শিশুর ত্বকে
মোল (বড় আকারের তিল) আছে, যে শিশুর চামড়া ধবধবে সাদা, কিংবা সাদা চুল বেশি তাদের রোদে
থাকা ঝুঁকিপূর্ণ।
মৃদু উপসর্গ
* ত্বক লাল ও উত্তপ্ত
* ব্যথা
* চুলকানি
তীব্র উপসর্গ
* ত্বকে লালচে ভাব ও ফোসকা
* ব্যথা, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি
* ফোলা ভাব
* জ্বর, শীত শীত ভাব
* মাথা ব্যথা
* চোখে আঁধার দেখা
করণীয়
* তাড়াতাড়ি শিশুকে রোদ থেকে সরিয়ে ছায়ায় নিতে হবে
* গোসল করিয়ে দিতে হবে
* পরবর্তী দু-তিন দিনের জন্য বেশি বেশি পানীয় পান
করাতে হবে
* ব্যথা লাঘবে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে
* ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে
* বাইরে বের হওয়ার আগে রোদে পোড়া অংশ ঢেকে বের হতে হবে
চিকিৎসকের কাছে কখন নেবেন
* রোদে পুড়ে ফোসকা পড়লে। শরীরে বেশি ব্যথা হলে
* শিশুর মুখে ফোলাভাব দেখা দিলে
* শরীরের বড় অংশ রোদের তাপে পুড়ে গেলে
* সানবার্নের পর শিশুর জ্বর বা শীত শীত ভাব দেখা দিলে
* মাথা ব্যথা, মতিভ্রম বা অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থা দেখা দিলে
* শুষ্ক চোখ ও জিহ্বা এবং খুব তৃষ্ণার্ত ভাব দেখলে।
এগুলো পানিস্বল্পতার লক্ষণ
প্রতিরোধ
* গরমকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিশুকে
একটানা বেশিক্ষণ রোদের মধ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না
* বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে রোদচশমা, হ্যাট ও আরামদায়ক পোশাক পরাতে
হবে। সুতি কাপড়ের ঢোলা ফুলহাতা পোশাক পরানো ভালো
* ত্বকে সানস্ক্রিন মেখে দিতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করতে বলতে হবে
মন্তব্য করুন
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও চলমান এমন তাপপ্রবাহ নিয়ে কোন সুখবরই নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্র আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি।
ঢাকার আইসিডিডিআর’বি-এর তথ্য মতে, বাইরে তাপমাত্রা যাই হোক না কেন আমাদের শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাপমাত্রা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ
শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া, গরমে অচেতন হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, তীব্র মাথা ব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, ত্বক গরম ও শুষ্ক হয়ে যাওয়া, শারীরিক দুর্বলতা ও পেশিতে টান অনুভব করা, বমি হওয়া, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাস কষ্ট, মানসিক বিভ্রম, খিঁচুনি মত লক্ষন গুলো দেখা দিতে পারে।
কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অচেতন হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কাজগুলো করনে-
১. হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
২. রোগীর শরীরে বাতাস করতে হবে। কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে গা মুছে ফেলতে হবে।
৩. শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও কুচকিতে আইসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে।
মন্তব্য করুন
দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--
সূর্যের তাপ: ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। প্লাস্টিকের ব্যাকিংসহ মাঝারি রংয়ের ‘ড্রেইপ’ বা পাতলা পর্দা ৩৩ শতাংশ তাপ কমায় এবং ঘরে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়তা করে।
দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহা: রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।
গরম বাতাস বের করে দেয়া: ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।
আর্দ্র বাতাস: ঘর ঠাণ্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠাণ্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠাণ্ডা পানির বোতল রাখলে ঠাণ্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।
ঘরে গাছ রাখুন: ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।
চুলা বন্ধ রাখা: চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।
অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা: ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।
তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা: দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠাণ্ডা হয়ে আসে।
তীব্র গরম ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়
মন্তব্য করুন
ঈদে সুন্দর ও কোমল ত্বক পেতে কয়েক দিন আগে থেকে যত্ন নিতে হবে।
ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। উৎসবকে বরণ করে নিতে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। উৎসবের দিন নিজেকে একটু সুন্দর দেখতে কে না চায়। ঈদের আগে বাড়তি কাজের চাপ থাকে।
আর সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে চেহারায়। এক দিন ত্বকের যত্ন নিলে তার সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। তাই ঈদের বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই নিয়মিত নিতে হবে ত্বকের যত্ন। তাহলে চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, মালিন্য কিছুটা হলেও কমে আসবে।
আপনার ত্বকের ধরন কেমন সেটির ওপর নির্ভর করে আপনার পরিচর্যার ধরনটি কেমন হবে।
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যা
তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়। শসা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। মুখের বাড়তি তেলতেলে ভাব কমাতে শসার রস বেশ কার্যকর।
শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেসন ও টক দই বেশ কার্যকর। এক চা চামচ বেসন, সামান্য টক দই ও সামান্য হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে আধাঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের পরিচর্যায় একটু বাড়তি নজর দিতে হয়।
কারণ এ ধরনের ত্বক সহজেই খসখসে হয়ে যায়, ফেটে যায়। শুষ্ক ত্বকে মূলত তেলগ্রন্থি কম থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য সব সময় খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মধু, অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হয়।
স্বাভাবিক ত্বক
যাঁদের স্বাভাবিক ত্বক, তাঁরা বেশ ভাগ্যবান বলতে হবে। কারণ খুব বেশি বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে না এই ত্বক সুন্দর রাখতে। এই ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর থাকে। তাই ভালো মানের কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন। নিয়মমাফিক ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিক ত্বকে ঘরোয়া যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মসুর ডাল আর হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। পেঁপে, মধু, আলু যেকোনো কিছুর প্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
ত্বকের যত্নে সাধারণ কিছু টিপস
যেহেতু এখন গরমকাল, তাই বাইরে বের হলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভালো মানের সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ঘেমে গেলে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। বাইরে থেকে আসার পর সবার আগে মুখ পরিষ্কার করুন। ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। সামনে যেহেতু ঈদ, তাই আগেভাগেই পেডিকিউর, মেনিকিউর করে রাখুন। শরীরের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্লিচ করতে পারেন। ত্বকের মরা কোষ দূর করতে নিয়মিত স্ক্রাব করুন। সর্বোপরি ত্বকের সৌন্দর্য ও সুস্থতার জন্য অনেক পানি খেতে হবে। আর হেলদি একটা ডায়েট প্ল্যান থাকতে হবে। ঈদের আগে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে দুটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদের প্যাক
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য হলুদ বেশ পরিচিত একটি নাম। এর ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই। হলুদ রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুই চা চামচ লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো প্যাক
টমেটোতে লাইকোপিন নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের পিগমেনশন কমিয়ে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি ত্বকের ডেড সেল, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। টমেটো ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্লেন্ড করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গ্রীষ্মের দাপট চলছে সব জায়গাতে। রৌদ্র ঝলসানো গ্রীষ্মের দাপট ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে। শিশুর কোমল ত্বক যাতে রোদে পুড়ে না যায় সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। প্রখর রোদে মাত্র ১৫ মিনিট থাকলে ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা তৈরি হয়। যদিও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া কিংবা অস্বস্তিভাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যায় না। বারবার ‘রোদে পোড়া’ অবস্থা থেকে ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ বৈশাখ শুরুর আগেই হয়েছে দাবদাহ। ইতোমধ্যে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। সারা দেশের উপর দিয়ে বয়ে তীব্র হিট ওয়েভ বা তাপদাহ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপমাত্র বেড়েই চলেছে। তীব্র এই তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জন জীবনেও। এতে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। অনেকেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেশের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এর প্রমাণ আমরা পাচ্ছি প্রকৃতিতে। রাজধানীসহ সারা দেশে মৃদু থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এসি কেবল ব্যয়বহুল নয়, অনেকেই আছেন যারা এসিতে অল্প সময় থাকলেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। তাই প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম বিসনেস ইনদাইডের এক প্রতিবেদনে এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায়, সেই উপায় বলে দেয়া হয়েছে। তীব্র গরমে এসি ছাড়া ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়গুলো জেনে নেয়া যাক--
আমার দেখা চমৎকার একটা জুটি ছিল আলো-আকাশ। তাদের প্রেম ছিল সবার প্রেমের উদাহরণ। এত ভালোবাসার পরও তারা থাকতে পারেনি এক সাথে। হঠাৎ একদিন জানা গেল তাদের আর সম্পর্কে নেই। যারা এক সময় সবার প্রেমের উদাহরণ ছিলো, আজ তাদের বিচ্ছেদে দেখে সবাই একটু অবাক। তবে সম্পর্ক শেষ হওয়া নিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। কিন্তু জীবন তো একা কাটানো সম্ভব নয়। তাই নতুন সঙ্গী এসে জোটে তাদের জীবনেও।