লিট ইনসাইড

পিতা, আমরা মুক্ত আকাশ দেখছি (পর্ব-৯)


Thumbnail

শুরু হলো শোকাবহ আগস্ট মাস। এ মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। আগস্ট ষড়যন্ত্রের আদ্যোপান্ত নিয়ে অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সারা জাগানো বই ‘পিতা, আমরা মুক্ত আকাশ দেখছি’ এর ধারাবাহিক পর্বের নবম পর্ব পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

একটি পত্রিকার অফিস। সম্পাদকের কক্ষে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের মধ্যে একজন প্রভাবশালী ছাত্রনেতাও রয়েছে। পত্রিকার সম্পাদক তাদের উদ্দেশে বলে চলেছেন, কিভাবে বঙ্গবন্ধু সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ চালাতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিদেশি সাহায্য যা পাওয়া যাচ্ছে, সবই চোরাপথে ভারতে চলে যাচ্ছে। তিনি যুক্তিতর্ক সহকারে উপস্থিত শ্রোতাদের বোঝাতে চেষ্টা করেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এমন অরাজক পরিবেশ বজায় রাখা হচ্ছে, যাতে করে এদেশ থেকে লেখাপড়া চিরকালের জন্য উঠে যায়। সম্পাদক সাহেব দাবি করেন, সব কিছুই করা হচ্ছে ভারতের পরামর্শে। এজন্য প্রশাসনের সব গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে একজন করে ভারতীয় উপদেষ্টা রাখা হয়েছে। তবে এ উপদেষ্টাদের জনসমক্ষে আসতে দেয়া হয় না।

সম্পাদকের মুখে এসব কথা শোনার পর ছাত্রনেতাটি আর চুপ থাকতে পারল না। সে জানায় এসব কথা যদি পত্রিকার রিপোর্টের মাধ্যমে জনসাধারণকে জানানো হয়, তা হলে সে অনায়াসে সাধারণ ছাত্রদের সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দিতে পারে। ছাত্রনেতার বক্তব্য -শোনার পর সম্পাদক সাহেব জানান, এ কাজগুলো অত্যন্ত সাবধানে করতে হবে এবং তার পত্রিকা এ ব্যাপারে সঠিক দায়িত্বই পালন করে যাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, উত্তর বঙ্গে খরা-বন্যার কারণে খাদ্যভাব দেখা দিয়েছে। সুতরাং সেখান থেকে এমন এক চমকদার রিপোর্ট তৈরি করা হবে, যাতে বর্তমান সরকারের প্রতি জনগণ সহজেই আস্থা হারিয়ে বসে।

বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদকের কক্ষে এ আলাপ-আলোচনার কয়েক দিন পর থেকেই দেখা গেল যে উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন স্থানে খাদ্যঘাটতির কথা, অনাহার-অনটনের কথা পত্রিকার পাতায় বেশ গুরুত্ব সহকারেই ছাপা হচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অরাজকতার কথা ফলাও করে পত্রিকার পৃষ্ঠায় স্থান পেতে থাকে। আসলে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে কয়েকজন সাংবাদিক কখনও –সূক্ষ্ণভাবে কখনও বা সাধারণভাবেই তাদের রিপোর্ট ও কলামের মাধ্যমে এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অতিরঞ্জিত ঘটনাবলী তুলে ধরেন যে জনগণ সত্যিই বঙ্গবন্ধু ফিচারের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটাই—যাতে জনগণ ধরে নেয় বঙ্গবন্ধুর সরকার দেশ এর পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

বেছে নেয়া কিছু সাংবাদিকদের এহেন ভূমিকার পাশাপাশি ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালাতে থাকল যে, বঙ্গবন্ধু ও তার প্রতিটি সহকর্মী রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছে। তারা বিদেশে টাকা জমাচ্ছে। যারা ইউরোপে টাকা জমানোর পথ জানে না, তারা ভারতে টাকা জমাচ্ছে কিংবা বিশাল সম্পদ গড়ে তুলছে। ভারতের সাথে বর্ডার বলে কিছু নেই। আওয়ামী লীগার মাত্রই চোরাচালানিতে জড়িয়ে পড়ছে। শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার পর্যন্ত রিলিফের মাল লুটেপুটে খাচ্ছে। 

তখন রেডক্রসের প্রধান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহকর্মী গাজী গোলাম মোস্তাফা তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম টার্গেট হলেন। তাঁর নামে সারা দেশে একথা ছড়িয়ে পড়ল যে তিনি রেডক্রসের সব মালামাল বিক্রি করে দিয়ে অগণিত টাকার মালিক হয়েছে অথচ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গাজী গোলাম মোস্তফাকে জেলখানায় বন্দি করা হলেও কোনো সরকারই তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ বা দুর্নীতির অভিযোগ সামান্যতম প্রমাণ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্রাকারীরা ঢাকা থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত গাজী গোলাম মোস্তফার নামে রেডক্রসের রিলিফ চুরির এমন গল্প নেই, যা প্রচার করেনি। এই অপপ্রচারের মূল লক্ষ্য অবশ্য রেডক্রস প্রধান নন, বঙ্গবন্ধুই ছিলেন। গাজী গোলাম মোস্তফার নমে বিভিন্ন গল্প মুখে-মুখে চালু করার পাশাপাশি নীলনকশা মাফিক রেডক্রসের রিলিফ অপব্যবহার সংক্রান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশ করা হত।

অপপ্রচার পর্বের এক পর্যায়ে ষড়যন্ত্রকারীরা উত্তর বঙ্গের এক গণ্ডগ্রামে রোকেয়া নামের এক পাগলিকে জোগাড় করল। তাকে মাছ ধরার জাল পরিয়ে ফটো তোলা হল। সেই ফটো যথারীতি পত্রিকায় ছাপানো হলেই সাধারণ মানুষের মধ্যে সাংঘাতিক রকমে প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। সাধারণ মানুষ সত্যিই বিশ্বাস করতে লাগল, উত্তর বঙ্গের গ্রামের মানুষ শুধু খাদ্যের অভাবে অনাহারে মারাই যাচ্ছে না, তারা বস্ত্রের অভাবে লজ্জা নিবারণ করতে পারছে না। সামান্য কাপড়ের অভাবে বাসন্তী মাছ ধরার জাল পরে লজ্জা নিবারণ করছে। আসলে সাধারণ মানুষকে নানা কৌশলে তখন এমনভাবে বিভ্রান্ত করে রাখা হয়েছিল, তারা একবারও চিন্তা করতে পারেনি যে সাধারণ মোটা কাপড়ের মশাড়ির চেয়ে মাছ ধরার জালের দাম অনেক বেশি। বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে হাবিবুর রহমান গং দেশব্যাপী এতই তৎপর ছিল। যড়যন্ত্রপ্রসূত ঘটনাবলী জনগণের কাছে বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনে হচ্ছিল। একটার সাথে আরেকটার যোগসূত্র আবিষ্কারের মানসিক অবস্থা তাদের ছিলা না। বরং দিন দিন মানুষকে এতটাই প্রভাবতি করা হয় যে তখন যুক্তিতর্ক দিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের পক্ষে কোনো কথা বললে সেটি অধিকাংশ লোকই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করত না। অন্যদিকে ষড়যন্ত্রকারীদের মস্তবড় সুবিধা ছিল এই যে, তারা বঙ্গবন্ধুর লোক নয় কিংবা বঙ্গবন্ধুর জন্য জান দিতে প্রস্তুত নয় একথা কাউকে বিশ্বাস করানো অত্যন্ত কঠিন কাজ ছিল।

দেশের শহর এবং গ্রামে হাবিবুর রহমান গং-এর লোক কোনো-না-কোনো পর্যায়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের কাজ আরও সহজ হয়ে গেল এ কারণে যে, বঙ্গবন্ধুর অনেক খাঁটি সমর্থক পর্যন্ত বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল। তারা ষড়যন্ত্রকে তো আঁচ করতে পারল না, উপরন্তু নিজেদের কাছে জাতির জনকের যেসকল পদক্ষেপ অপছন্দনীয় ছিল, সেগুলি সম্পর্কে প্রকাশ্যে সমালোচনামূলক বক্তব্য দিতে শুরু করল। বঙ্গবন্ধুর সমর্থক বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে হাটেবাজারে রাস্তাঘাটের চায়ের আড্ডায় যোগ দেখা অনেক সাধারণ কর্মী পর্যন্ত সরকারের সামান্যতম ভুলত্রুটির সমালোচনা করতে কোনোরূপ দ্বিধা করত না। তারা ঘূর্ণাক্ষরেও বুঝতে পারল না, তাদের এই সমালোচনার ফলে আসল ক্ষতি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের। এভাবে নিজেদের অজ্ঞাতসারেই তারা ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগীতে পরিণত হল। 

বঙ্গবন্ধু সরকারের ভালো কাজগুলির চাইতে দেশের জনগণের দৃষ্টি  অভাব-অভিযোগের দিকে ধরে রাখাটাই ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম সাফল্য। বঙ্গবন্ধুর  তরফ থেকে দেশের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জনগণকে বোঝানোর দায়িত্ব যাদের উপর দেয়া হয়েছিল, তাদের কেউ ছিল ষড়যন্ত্রকারীদেরই অংশ, আবার কেউ-বা নিজের আহাম্মকির কারণেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কাজ করছিল— আর এমন অপদার্থের অভাব তো পড়ার কথা নয়ই।


শোকাবহ আগস্ট মাস   বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

কবিতা

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

বিশ্বের সেরা এবং আকর্ষণীয় পাচ মসজিদ

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে জেনে নিন:


১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব:

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে যায়, এমন মসজিদের তালিকায় সবার প্রথমে আছে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদুল হারাম। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ। একসঙ্গে ১৫ লাখ মানুষ এখানে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের একটি এই মসজিদুল হারাম। মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাশরিফ এখানেই অবস্থিত।

তবে যে কেউ চাইলেই মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।


২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত:

২০০৭ সালে স্থাপিত এই মসজিদ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও আছে এই মসজিদে।

আরব আমিরাতে বসবাসকারীদের বেশির ভাগই প্রবাসী, যাঁরা মূলত শ্রমজীবী হিসেবে বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যান। এই বৈচিত্র্যময়তাই মসজিদটির নকশার মূল ভিত্তি। ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন।

প্রতিবছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু ২০১৭ সালেই এসেছেন প্রায় ৫৮ লাখ দর্শনার্থী। নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।


৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক:

ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর একটি তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। আর ইস্তাম্বুল বা গোটা ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ আয়া সোফিয়া। ৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার। কিন্তু ২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এটিকে আবার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।


৪. আল–আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল:

মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন জেরুজালেমের আল–আকসা মসজিদ।

বলা হয়ে থাকে, খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.)–র শাসনামলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় মসজিদটির নির্মাণকাজ। তবে বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। ‘হারাম আল শরিফ’ নামে পরিচিত এই চত্বরের চার দেয়ালের মধ্যে আছে কিবলি মসজিদ, কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) ও বুরাক মসজিদ। মূল আল–আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা। তবে পর্যটকের কাছে আল–আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা।

জেরুজালেমের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে ১৯৮১ সালে। এখানে প্রায় চার লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন । তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না। পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।


৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো:

আলজেরিয়ার জামা এল জাযের মসজিদের মিনার সবচেয়ে উঁচু, ৮৭০ ফুট। তারপরেই কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট। মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু।

আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। দেয়ালে মার্বেলের চোখধাঁধানো কারুকাজ। ছাদ অপসারণযোগ্য বলে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিরা রাতের আকাশও দেখতে পান।

দ্বিতীয় হাসান মসজিদের মিনার থেকে একটি লেজাররশ্মি মুসলমানদের কিবলা কাবাঘরের দিকে তাক করা। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর জন্য জগৎ–খ্যাত এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।


মসজিদ   সেরা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

মুখের ঠিকানা

প্রকাশ: ১২:১৬ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

স্পর্শে তুমি

প্রকাশ: ০৪:৪৫ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail




মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন