ইনসাইড পলিটিক্স

ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন: বর্ণহীন সংলাপকে রঙ্গিন করলো আওয়ামী লীগ?

প্রকাশ: ১১:৪৩ এএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন: বর্ণহীন সংলাপকে রঙ্গিন করলো আওয়ামী লীগ?

গত এক মাস ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রেন্ডিং টপিকগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল 'রাষ্ট্রপতির সংলাপ'। নতুন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ৩২টি দলকে বঙ্গভবন সংলাপের আমন্ত্রণ জানায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির ডাকা  এ সংলাপকে কয়েকটি রাজনৈতিক দল লোক দেখানোর সংলাপ বললেও শেষ মূহুর্তে আওয়ামী লীগের ক্যারিশমেটিক সিদ্ধান্তে ইউটার্ন নিয়েছে সব দলের রাজনৈতিক সমীকরণ। বিশেষ করে সব রাজনৈতিক দলের চাওয়া ও সুশীল সমাজের ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি গতকাল সোমবার মন্ত্রীপরিষদে পাস হয়েছে এবং  সে আইনে বলা হয়েছে, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। এমতাবস্থায় সার্চ কমিটি ও নির্বাচক কমিশনে কে কে থাকবে, এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

বলা হয়ে থাকে যে, কামান না দাগানোর ১০১টি কারণ থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু বারুদ না থাকলে বাকি একশটি কারণ জানারই দরকার নেই৷ তেমনি একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন ৷ সেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গত ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টিকে দিয়ে শুরু হওয়া রাষ্ট্রপতির এ সংলাপ গতকাল শেষ হয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনার মাধ্যমে। এর আগে বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংলাপ বর্জন করে। প্রথম দিকে অনেকেরই মনে হচ্ছিল সংলাপ বুঝি জলে যাচ্ছে। দিন চারেক আগেও মনে হচ্ছিল রাজনীতির গন্তব্য অনিশ্চিত। কিন্তু এক সময়ে বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ করা আন্দালিব রহমান পার্থের দল বিজেপির সংলাপে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্জন অর্জনে ইউটার্ন নেয়। আসলে রাজনীতির কৌশল কখন কোন পথে হাঁটতে শুরু করে তা বলতে পারা খুবই মুশকিল। বিএনপিসহ সাতটি রাজনৈতিক দল আলোচনায় না আসলেও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দল কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টিসহ বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি রাষ্ট্রপতির আহ্বানে বঙ্গভবনে নিজেদের কথা বলে যায়। 

সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইসি শক্তিশালীকরণসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগের বিষয়ে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন প্রয়োজন বলেও মনে করে আওয়ামী লীগ এবং সে আইন প্রণয়নের খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রীপরিষদে পাসও হয়েছে। খসড়ায় যেহেতু বলা হয়েছে, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, কাজেই সংলাপের পরবর্তী ধাপ সার্চ কমিটি হবে এবং সার্চ কমিটির মাধ্যমে একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সেই নির্বাচন কমিশন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলেই সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো আশ্বস্ত করেছেন। তবে ক্ষমতাসীন দলের আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারছে না বিএনপিসহ কয়েকটি দল। এরকম পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন যে, রাষ্ট্রপতি যদি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারেন, তাহলে প্রথমেই হোঁচট খাবে বিএনপিসহ সংলাপ বর্জনকারী দলগুলো। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা গেলে তা সব মহলের কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

তবে বিএনপির হুমকি-ধামকিও খুব একটা আমলে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগের নেতারা। এমনকি বিএনপিসহ সংলাপ বর্জনকারী দলগুলো নির্বাচন বর্জন করলেও শেষ পর্যন্ত সেটি নির্বাচনের পথে কোন বাঁধা হবে না বলেও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল মহল মনে করছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভিত্তিকই হবে। ইতোমধ্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গঠিত নতুন গণঅধিকার পরিষদ আগামী  নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলও নির্বাচনে আসবে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপির ভেতরেও গৃহযুদ্ধ চলছে। দলটির একটি অংশ বিশেষ করে তারেক পন্থীরা নির্বাচনে আসতে না চাইলেও তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা-কর্মীরা নির্বাচনের পক্ষে বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি রাজনৈতিক সংলাপ নিঃসন্দেহে অর্থবহ উচিত। রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ এবং তিনি জাতির অভিভাবক। তিনি যখন এ ধরনের বৈঠক করেন তখন সেই বৈঠকটি অবশ্য অর্থপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে এবার বিএনপিসহ কয়েকটি দল সংলাপে যায়নি। যতই ভিন্নমত পোষণ করেন না কেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংলাপের বিকল্প কিছুই নেই। আলাপ-আলোচনার মধ্যেই সংকট নিরসনের ওষুধ লুকায়িত আছে। ফলে যারা বর্জন করেছে তাদের বর্জন করাটি উচিত হয়নি। আবার উল্টো দিকে আওয়ামী লীগ ব্যতীত যেসমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এবারের সংলাপটি হয়েছে, সেসমস্ত দলগুলো বাংলাদেশের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াতে কতটুকু অবদান রাখতে পারবে, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে বিশ্লেষকদের।
 
বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন পছন্দ করেন এবং ভোটের মাধ্যমে মতপ্রকাশ করার এই সংস্কৃতি দেশের গণতন্ত্রের জন্য আশাবাদের একটি জায়গা। আর এই নির্বাচন কার্য পরিচালনা করা সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কিন্তু বিগত কিছু নির্বাচনের কারণে জনমনে নানা আশঙ্কা আর সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বর্তমান ইসির গ্রহণযোগ্যতা ও সক্ষমতা নিয়ে খোদ ইসির ভেতর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা এখন রাষ্ট্রপতির দিকে তাকিয়ে আছি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন অত্যাবশকীয়। ফলে নির্বাচন কমিশন আইন মোতাবেক আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সার্চ কমিটি গঠিত হবে। এখন পর্যন্ত যাই হোক না কেন, এগুলোকে কোনো বিষয় বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা। বরঞ্চ তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশনে কারা বসছে, সেটিই হলো আসল বিষয়। ইসি যদি নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করে এবং তারা যদি ব্যক্তিত্ববান হন, তাহলে কে বর্জন করলো, কে আসলে সেটি ম্যাটার করবে না এবং শেষ পর্যন্ত সব দলই ইসিকে গ্রহণ করবে। এমতাবস্থায় একটি নিরপেক্ষ ইসি গঠনই এখন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইসি   রাষ্ট্রপতি সংলাপ   আওয়ামী লীগ   বিএনপি   জাতীয় পার্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি, দাবি ফখরুলের

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান বদলায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার (১৫ মে) যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে জোটের শরিকদের ধারাবাহিক বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ব্রিফিংয়ে ডোনাল্ড লু’র সফর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের অবস্থানেই আছে, জনগণের চাওয়া-পাওয়ার বিপক্ষে তারা না। তবে কূটনৈতিক স্বার্থে যেকোনো সরকারের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখে থাকে।

সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের অপকৌশলের প্রয়েঅহ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

সরকার এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের অপকৌশলের প্রয়েঅহ করেছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
  
তিনি বলেন, সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতেই কাজ করছে বিএনপি ও যুগপতের শরিকরা। 

যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মকৌশল চূড়ান্ত করতে বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে প্রথম দফায় গণফোরামের একাংশ ও পিপলস্ পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে লিঁয়াজো কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দ্বিতীয় দফায় গণতন্ত্র মঞ্চে থাকা আরও ছয়টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।
  
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে দুই দফা ডোনাল্ড লু’র সফর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের চার মাস পর ফের ঢাকায় এলেন লু। তিন দিনের সফরে মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলঙ্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করেন ডোনাল্ড লু।  বিমানবন্দরে লু’কে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা বিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম।

ডোনাল্ড লু   বিএনপি   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযান

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত আওয়ামী লীগ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী, দলের ভেতর সুবিধাবাদী, লুটেরা এবং দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। কিন্তু ২৩ জুনের পর আওয়ামী লীগের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্র্যাকডাউন হবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং দলের সুনাম নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, দলের ভেতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলের ভেতরের কোন্দল, বিভক্তি এবং নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য দলকে ব্যবহার করা, দলের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করা এই সমস্ত বিষয়গুলোকে একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না। 

তিনি বলেন, আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ব্যস্ত। এবার আওয়ামী লীগ তাঁর প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর বার্ষিকী পালন করবে। এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের আবেগ অনুভূতি রয়েছে। ইতোমধ্যে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক জাঁকজমকপূর্ণভাবে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এখন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ঠিক পরপরই আওয়ামী লীগের ভেতর যারা কোন্দল সৃষ্টি করছেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় মাই ম্যান তৈরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্ম করছেন, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ লঙ্ঘন করছেন এবং দলের ভেতর নানা রকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং এই তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া হবে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, যে সমস্ত মন্ত্রী, এমপি এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করেছেন উপজেলা নির্বাচনে এবং জাতীয় নির্বাচনের পর এলাকায় কোন্দল জিইয়ে রেখেছেন তাদের সঙ্গে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন, সতর্ক করবেন এবং কোন্দল মিটিয়ে ফেলার জন্য একটি আল্টিমেটাম দেবেন। এই সময়ের মধ্যে যদি তারা কোন্দল না মেটায় এবং সহিংসতার পথ থেকে সরে না আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন গ্রহণ করা হবে। 

আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি অনেক সহ্য করেছেন। নির্বাচনের পর থেকে তিনি বারবার বলছেন যে, দলের ভেতরে যেন কেউ বিভক্তি সৃষ্টি না করে, নির্বাচনের পর এখন সকলে যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে কিন্তু বাস্তবতা হল যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী তারা কারও কথাই শুনছেন না। 

উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচনে না দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আহ্বানও সাড়া দেয়নি মন্ত্রী-এমপিরা। এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা পর্যবেক্ষণ করে দেখছেন যে, কোন কোন মন্ত্রী, এমপির আত্মীয়রা চর দখলের মতো এলাকা দখলের জন্য আধিপত্য বিস্তার করছেন এবং আত্মীয়করণ করছেন। যারা এটির সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের নামের তালিকা আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে দেওয়া হবে। তবে যারা দলের ভেতর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন এবং কোন্দল সৃষ্টি করছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু বলেননি। তারা মনে করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ক্ষমতাসীনদের চীন সফর: নজর রাখছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ এবং তার আদর্শিক জোট ১৪ দলের নেতাদের চীন সফরে হিড়িক পড়েছে। আওয়ামী লীগ এবং তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর এই চীন সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানামুখী আলাপ আলোচনা। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ১৪ দল এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের চীন সফরের ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছেন। তবে তারা এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হচ্ছেন না। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই মনে করছেন। 

রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এখন চীন সফর করছেন। রাশেদ খান মেনন ছাড়াও আওয়ামী লীগের শরিক এই জোটের অন্যান্য নেতারাও এই সফরে রয়েছেন। চীনপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত দিলীপ বড়ুয়া, শিরীন আখতার সহ শরিকদের প্রায় সবাই এই সফরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আর এই সফরের পরপরই আওয়ামী লীগের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের একটি ৫০ সদস্যের বিশাল দল যাচ্ছে চীন সফরে। সেই সফরে নেতৃত্ব দেবেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি তানভীর শাকিল জয়। এর পরপরই কাজী জাফরউল্লাহ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চীন সফরে যাবেন। 

পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চীন সফর নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে নানারকম প্রশ্ন উঠেছে। আর এই ব্যাপারে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র দৃষ্টি রাখছে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

হঠাৎ করে আওয়ামী লীগে চীন সফরের হিড়িক কেন এই নিয়ে নানামূখী আলোচনা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলছেন, এটি হঠাৎ করেই নয়। আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময়ে ভারত সফরও করেন। ভারতেও বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডের আলাপ আলোচনার জন্য মতবিনিময় করা হয়। ভারতীয় প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশে আসেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধি দল নিয়মিতভাবে যায়। কিন্তু এবার চীনের সফরগুলো সব পাশাপাশি সময় এসেছে। আমন্ত্রণ গুলো কাছাকাছি সময়ে এসেছে। এই জন্য বিষয়টিকে বড় করে দেখা হচ্ছে৷ এটি আসলে একটি রুটিন কাজ। 

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। আর এই রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণেই আওয়ামী লীগকে তারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন, চীনের আগ্রহেই এই সফরগুলো হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বলয়ে চীনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হিসেবে এই সফরকে দেখছেন অনেকে। 

তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নিকটতম বন্ধু হল প্রতিবেশী ভারত। চীন তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পার্টনার। আর এই কারণেই আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, ভারতের সাথে তাদের এক ধরনের রাজনৈতিক এবং মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্কের বন্ধন রয়েছে, যা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সৃষ্টি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চীনের অর্থনৈতিক বলয় বিস্তার এবং আওয়ামী লীগ এবং শরিকদের নেতৃবৃন্দের চীন সফর নিয়ে ভারত কোন মন্তব্য না করলেও বিষয়টি নিয়ে তারা দৃষ্টি রাখছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র এবং পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গেও এক সপ্তাহের মধ্যে সাক্ষাৎ করেছেন। কাজেই আওয়ামী লীগ যেন চীনমুখী রাজনীতির দিকে ঝুঁকে না পরে সে বিষয়ে  ভারতের নজর আছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয় নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ   চীন সফর   ভারত   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় আরও ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আছেন ১৭, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ২৬ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ৯ জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় দলটি। শুরুতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের কাছে। জবাব দিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে তাদের।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৩য় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ সাংগঠনিক বিভাগ থেকে ৫২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ৫২ জনের মধ্যে রংপুর বিভাগের ২২ জন। রাজশাহী বিভাগর আট জন। বরিশাল বিভাগে ৫ জন, ঢাকা বিভাগে চারজনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১ জন। ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, কুমিল্লায় ছয়জন, খুলনায় চারজন এবং চট্টগ্রামে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত ১৯৩ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলো। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে ফিরে আসায় কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ তুলেও নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করায় ৮০ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপে বহিষ্কার করা হয় ৬১ জনকে।

প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় বিএনপির ২৮ জন নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে জয়ী হন ৭ জন।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। গত রবিবার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।


বিএনপি   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র সফরকে ঘিরে বিএনপিতে হতাশা

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিএনপির আশা ভরসার কেন্দ্রস্থল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণ সরকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করতে পারবে না- এমন বক্তব্যগুলো বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে বহুল প্রচারিত ছিল। বিএনপির সব নেতারা প্রকাশ্যেই এ কথা বলত।

বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন র‌্যাবের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায় না তখন বিএনপি নেতারা উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। তারা দলীয় কার্যালয়ে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থাও করেছিলেন।

আবার ডোনাল্ড লু নির্বাচনের আগে যখন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছিলেন তখন বিএনপি নেতাদের প্রকাশ্যে মার্কিন বন্দনা করতে দেখা গেছে। ২৮ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই মার্কিন দূতাবাসে বা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বাসভবনে বিএনপির নেতাদের আনাগোনা ছিল। তারা সেখানে চা চক্রে মিলিত হয়েছেন, নৈশভোজে মিলিত হয়েছেন এবং বিভিন্ন রকমের শলাপরামর্শ করেছেন।

পিটার ডি হাস গত বছরের ১০ অক্টোবর বিএনপি যখন সমাবেশ করতে পারেনি তখনও একতরফা বিবৃতি দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বিতর্কিত সংগঠন মায়ের ডাকের এক নেতার বাসায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি বিএনপির প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি জানিয়েছিলেন। এভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর এক ধরনের প্রচ্ছন্ন সমর্থন এবং সহানুভূতি দেখিয়েছিল।

অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সহানুভূতি এবং পরোক্ষ সমর্থনের কারণেই বিএনপির আন্দোলনের পালে হাওয়া লেগেছিল। নেতাকর্মীদের মধ্যে একটি চাঙ্গা ভাব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে। যদিও ২৮ অক্টোবরের পর এই ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং এই আহ্বানের চিঠি নিয়ে পিটার ডি হাস তিনটি দলের নেতাদের কাছে গিয়েছিলেন এবং একটি সংলাপ আয়োজনের শেষ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই সংলাপ আয়োজনে বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কেউই সাড়া দেয়নি।

এখন নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে এবং ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার পরও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া এবং নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন। ডোনাল্ড লু’র আগে আফরিন আক্তার নির্বাচনের পরে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন এবং সেই সময় তিনি হোটেল ওয়েস্টিনে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং শামা ওবায়েদ আফরিন আক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যদিও সেই সাক্ষাতের পর তারা কোনও কিছুই সাংবাদিকদেরকে জানাননি। কিন্তু এবার ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। আর এটি বিএনপির মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।

বিএনপি মনে করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদেরকে আর আগের মতো গুরুত্ব দিচ্ছেন না, পাত্তা দিচ্ছে না। বরং সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে বিএনপিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। বিএনপি নেতারা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ, শামা ওবায়েদ, তাবিথ আউয়ালসহ যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন এবং মার্কিন দূতাবাসে যাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তাদেরকে দুষছেন। তারা মনে করছেন যে, বিএনপির মধ্যেই সমস্যা রয়েছে। বিএনপির নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারেননি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিএনপির বক্তব্যগুলো তারা সঠিকভাবে ও যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি। আর একারণেই ডোনাল্ড লু’র সফরের পর বিএনপির মধ্যে চলছে এক ধরনের হতাশা।


ডোনাল্ড লু   বাংলাদেশ   রাজনীতি   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন